কোয়েল পাখির খামারে স্বপ্ন বুনছেন লালমোহনের ফরিদ

প্রচ্ছদ » অর্থনীতি » কোয়েল পাখির খামারে স্বপ্ন বুনছেন লালমোহনের ফরিদ
বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫



---

লালমোহন প্রতিনিধি ॥

ভোলার লালমোহন উপজেলায় কোয়েল পাখির খামারে স্বপ্ন বুনছেন মো. সাইফুল ইসলাম ফরিদ নামে এক যুবক। উপজেলার পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পাঙাশিয়া এলাকার ইউনুস মৌলভী বাড়ির নিজ বসতঘরের ছাদে কোয়েল পাখির খামার করেছেন তিনি। তার খামারে বর্তমানে ৫শত কোয়েল পাখি রয়েছে। এই খামার থেকে গত দুই মাস ধরে চারশ থেকে সাড়ে চারশ ডিম সংগ্রহ করছেন যুবক সাইফুল ইসলাম ফরিদ। প্রতি পিস ডিম খুচরা ৩ টাকা ও পাইকারী আড়াই টাকায় বিক্রি করছেন তিনি। এতে করে তার প্রতি মাসে বিক্রি হয় ৫০ হাজার টাকার ডিম। এখান থেকে খরচ বাদে তার প্রতি মাসে আয় অন্তত ২০ হাজার টাকা।

কোয়েল পাখির খামারি যুবক সাইফুল ইসলাম ফরিদ বলেন, গত ৩ মাস আগে শখের বশে ১৫শত কোয়েল পাখি নিয়ে বসতঘরের ছাদে খামার করি। তবে এরমধ্যে অধিকাংশই ছিল পুরুষ পাখি। যার জন্য এক হাজারের মতো পাখি প্রতি পিস ৫০ টাকা করে স্থানীয় লোকজনের কাছে বিক্রি করে দেই। এখন খামারে পাঁচশত কোয়েল পাখি রয়েছে। গত দুই মাস ধরে এসব কোয়েল পাখি প্রতিদিন গড়ে সাড়ে চারশর মতো ডিম দিচ্ছে। বাজারে প্রতি পিস ডিম পাইকারি বিক্রি করি আড়াই টাকায়, আর খুচরা প্রতি পিস ডিম ৩ টাকা করে বিক্রি করি। বর্তমানে খামারে পাখির সংখ্যা কম হওয়ায় প্রতিদিন যেসব ডিম হয় তা খুচরাই বিক্রি করতে পারি। এ ছাড়া বীজ ডিম প্রতি পিস ৪ টাকা এবং বাচ্চা প্রতি পিস ৮ টাকায় বিক্রি করছি।

তিনি আরো বলেন, এতে করে মাসে অন্তত ৫০ হাজার টাকার ডিম বিক্রি হয়। এসব কোয়েল পাখিকে লেয়ার-১ নামে দানাদার খাদ্য খাওয়াই। খাদ্য, বিদ্যুৎ বিল এবং ওষুধ বাবদ খামারের পেছনে আমার প্রতি মাসে ব্যয় প্রায় ৩০ হাজার টাকার মতো। খামারের স্বল্প সংখ্যক পাখি থেকেও প্রতিমাসে ২০ হাজার টাকার মতো আয় হয়। তবে এই স্বল্প কোয়েলের খামারেই যেহেতু মোটামুটি ভালো আয় হচ্ছে, তাই ভেবেছি আগামী কয়েক মাসের মধ্যে কোয়েলের সংখ্যা আরো বাড়াবো। আশা করছি তখন আরো বেশি লাভবান হতে পারবো ইনশাআল্লাহ।

এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. মো. রইস উদ্দিন জানান, নতুন যেসব উদ্যোক্তা রয়েছেন আমরা তাদের নিয়মিত প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে থাকি। একইসঙ্গে এসব উদ্যোক্তাদের খামার নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করেন আমাদের কর্মকর্তারা। তাদের পশু-পাখির কোনো ধরনের ওষুধ বা চিকিৎসা প্রয়োজন হলে তাও আমাদের উপজেলা প্রাণিস¤পদ দফতর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল থেকে দেয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২:০৭:২৮   ১২৮ বার পঠিত  







পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

অর্থনীতি’র আরও খবর


মেঘনা-তেঁতুলিয়ায় ভরা মৌসুমেও কাংখিত ইলিশের দেখা নেই
ভোলায় ছাত্র-জনতার প্রবল বাধার মুখে ইন্ট্রাকো কোম্পানির গ্যাস নেওয়ার অবৈধ চেষ্টা ব্যার্থ
চরফ্যাশনে ক্ষুদ্র কৃষকদের মাঝে সার বীজ ও শিক্ষার্থীদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ
ভোলায় সার কারখানা স্থাপনে মিললো গ্যাস সরবরাহের অনুমতি
ভোলায় চিকিৎসার অভাবে মরছে গবাদি পশু, জনবল সংকটে প্রাণী সম্পদ দপ্তর
ভোলায় সফল খামারিদের পুরস্কার ও সনদ বিতরণ
বিদ্যুৎ বিভ্রাটে বন্ধ ২০ বরফকল
এক আইড় ১৮ হাজারে বিক্রি!
ভোলায় মাছের দামে ঊর্ধ্বগতি, ক্রেতাদের ক্ষোভ
ভোলায় সনাতন পদ্ধতির লবণ শিল্পকে জাগিয়ে তুলছে উদ্যোক্তা ইয়াদ



আর্কাইভ