
বিশেষ প্রতিনিধি ॥
ষড়ঋতুর বাংলাদেশ। আর এই ঋতু পরিবর্তনের মধ্যদিয়ে বাংলার প্রকৃতিতে চলে রূপের পালাবদল। বর্তমানে প্রকৃতিতে মোহনীয় সৌন্দর্য নিয়ে হাজির হয়েছে কৃষ্ণচূড়া ফুল। টকটকে লাল অথবা গাঢ় কমলা লাল ছোপে ভরা এই কৃষ্ণচূড়া মুহূর্তেই সবার মন রাঙিয়ে দেয়। এই কৃষ্ণচূড়া গ্রীষ্মের অতিপরিচিত ফুল। বর্তমানে ভোলার লালমোহন উপজেলার শহর থেকে গ্রাম, সবখানেই কৃষ্ণচূড়ার চোখ ধাঁধানো ফুল ফুটেছে। পথে-প্রান্তরে কৃষ্ণচূড়ার গাছে সবুজ পাতার ফাঁকে আগুন রঙের কৃষ্ণচূড়ার ফুল দেখে পুলকিত সৌন্দর্যপিপাসু মানুষ।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, কৃষ্ণচূড়া একটি বৃক্ষ জাতীয় উদ্ভিদ। ডেলোনিক্স রেজিয়া কৃষ্ণচূড়ার বৈজ্ঞানিক নাম। অনেকে কৃষ্ণচূড়া গাছকে গুলমোহর নামেও জানেন। তবে সবচেয়ে বেশি পরিচিত কৃষ্ণচূড়া নামেই। কৃষ্ণচূড়া তিনটি রঙের হয় থাকে; লাল, সাদা ও হলুদ।
লালমোহন পৌরশহরের ওয়েস্টার্ণপাড়ার ডাকবাংলো এলাকায় নিজের সৌন্দর্য ছড়িয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে বেশ কয়েকটি কৃষ্ণচূড়া গাছ। সেসব গাছে ফুটে রয়েছে লাল রঙের ফুল। ওইস্থান দিয়ে যাতায়াতকারী পথচারী ও সৌন্দর্যপিপাসু মানুষজন প্রায় সময়ই দাঁড়িয়ে উপভোগ করছেন কৃষ্ণচূড়া ফুলের সৌন্দর্য।
মো. কামাল, রফিক, শাহীন ও ফরহাদ নামে কয়েকজন পথচারী জানান, এই কৃষ্ণচূড়া ফুল দেখতে অত্যন্ত সুন্দর। ফুলগুলোর দিকে তাকালেই নিমিষেই যেন মনজুড়িয়ে যায়। এখান দিকে যাওয়ার সময় অনেক সময়ই এই ফুলের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করি।
পৌরশহরের কলেজপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. ফয়েজ উল্যাহ বলেন, সরকারি শাহবাজপুর কলেজ মাঠের পশ্চিম পাশে কয়েকটি কৃষ্ণচূড়া গাছ রয়েছে। বর্তমানে ওই গাছগুলোতে লাল রঙের ফুল ফুটেছে। যা খুবই সুন্দর। প্রতিদিন সকাল ও বিকেলে এই মাঠে বহু মানুষ হাঁটতে আসেন। সে সময় তারা এই কৃষ্ণচূড়ার ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করেন। অনেকে আবার নিজেদের মুঠোফোনে এই কৃষ্ণচূড়া ফুলের অপরূপ সৌন্দর্য ক্যামেরাবন্দি করে নিচ্ছেন।
লালমোহন উপজেলার পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের গজারিয়া এলাকার মো. আল-মামুন জানান, আমাদের এলাকায়ও কয়েকটি কৃষ্ণচূড়া গাছ রয়েছে। ওই গাছগুলো এখন ফুলে ফুলে ভরে গেছে। কৃষ্ণচূড়া ফুলের অতুলনীয় সৌন্দর্য আকৃষ্ট করছে প্রকৃতিপ্রেমীদের। অনেক শিক্ষার্থীরা আবার এই কৃষ্ণচূড়া গাছের নিচে এসে আড্ডা জমায়।
লালমোহন উপজেলা রেঞ্জ-বন কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র বলেন, বনজ বৃক্ষ হিসেবে কৃষ্ণচূড়াকে দেখা হয় না। এটাকে শোভাবর্ধণ হিসেবে দেখা হয় এবং শোভাবর্ধণ হিসেবেই মূলত এই গাছকে রোপণ করা হয়। এখন কৃষ্ণচূড়া ফুলের মৌসুম চলছে। তাই এই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মানুষের বাড়ি ও বাগানে যেসব কৃষ্ণচূড়া গাছ রয়েছে সেগুলোতে বর্তমানে ফুল ফুটেছে। আর এই ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করছেন বিভিন্ন বয়স ও শ্রেণির মানুষজন।
বাংলাদেশ সময়: ১:১৩:৩২ ৭৯ বার পঠিত