
স্টাফ রিপোর্টার ॥
ভোলা দৌলতখানের চর খলিফা ইউনিয়নের দিদার উল্লাহ ৬নং ওয়ার্ডে মন্নান মাস্টার মোড় আফাজ উদ্দিন খান বাড়িতে গত (২৪ এপ্রিল) বেলা ১১টার সময় নানার ওয়ারিশ কৃত স¤পত্তি বিক্রিত গ্রহীতাকে দাতা হিসেবে বুঝিয়ে দিতে গেলে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে
ফজলে হোসেন রাব্বি সাগর নেতৃত্বে মোহাম্মদ সিরাজ খান, মোয়াজ্জেম হোসেন রনি, মোঃ সেলিম খান, মোঃ মাকসুদ, মোঃ হাদিছসহ ১৫ থেকে ২০ জন মিলে তাদের হাতে থাকা দা, লাঠি, লোহার রডসহ বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মোসাম্মদ এসমে তারা, বিবি রাহিমা, জেসমিন বেগম, রাবেয়া বেগম, আতিকুর রহমানকে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে পিটিয়ে দুজনের ডান হাত ভাঙ্গাসহ মাথায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম করে। আহত ব্যক্তিদের ডাকচিৎকারে এলাকার লোকজন আসলে থানার প্রশাসনকে অবগত করেন। হামলাকারীরা পুলিশ আসার কথা শুনে দৌড়ে পালিয়ে যান।
যাওয়ার সময় দুজনের গলা থেকে দুটি স্বর্ণের চেইন কানের বালা দুটি এন্ড্রয়েড সেট মোবাইল নগদ টাকাসহ প্রায় চার লক্ষ টাকার স্বর্ণের জিনিস মোবাইল নিয়ে যায় পরে এলাকার লোকজন আহত ব্যক্তিদের অচেতন অবস্থায় ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। বর্তমানে আহত ব্যক্তিগণ মুমূর্ষ অবস্থায় রয়েছেন।
উক্ত বিষয়ে আহত আতিকুর রহমান, এসমে তারা, বিবি রাহিমা সহ অনেকে জানান, গত তিন বছর যাবত ১৬ শতাংশ জমি বিক্রয় ও দখল নিয়ে ২০২৪ সালে মামা নূরে আলম খান এবং সিরাজ খানদের গ্রুপের মধ্যে ওয়ারিশ এবং প্রকৃত জায়গা মালিক নিয়ে বিবাদ চলমান ছিল। আওয়ামী দোসর সিরাজ খান গং বর্তমানে কিছু বিএনপির প্রভাবশালী নেতৃবৃন্দের নেতৃত্বে নূরে আলমদের জমি জবর দখল করার জন্য বিভিন্ন কৌশল চালাচ্ছেন এবং মোটা অংকের টাকা দাবি করছেন আরো জানান, সিরাজ খান গং ইতিপূর্বে মাদ্রাসা ও স্কুলের জমির দলিল যাল জলিয়াতি করে আত্মসাৎ করেছেন। কিছুদিন পূর্বে চরপাতার সাবেক চেয়ারম্যান নাজিমুদ্দিন হাওলাদার ও দৌলতখান থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মধ্যস্ততায় সালিশ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত উভয় পক্ষের ফয়সালায় সেখানে এই জমির বাবদ শান্তিমূলক পরিবেশের জন্য সিরাজ খান গং জমির প্রকৃত মালিক নূরে আলম খানের কাছ থেকে ৬০ হাজার দেওয়া হয়। এমতাবস্থায় সিরাজ খান আর কোন জোর ঝামেলা করবেন না বলে স্বীকৃতি দিয়ে উক্ত টাকা গ্রহণ করেন। পূর্বের পয়সালা না মেনে টাকার উপর আসক্ত হয়ে আবার পুনরায় টাকা দাবি করেন। নুর আলম খান গং টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের উপর ক্ষিপ্ত পূর্ব পরিকল্পিতভাবে গত ২৪ এপ্রিল অনুমান বেলা ১১টার সময় নানার ওয়ারিশ সূত্রে সম্পত্তি মালিক তাহা ক্রয়কৃত গ্রহীতাকে দাতা হিসেবে বুঝিয়ে দিতে গেলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ফজলে হোসেন রাব্বি সাগর নেতৃত্বে মোহাম্মদ সিরাজ খান, মোয়াজ্জেম হোসেন রনি, মোঃ সেলিম খান, মোঃ মাকসুদ, মোঃ হাদিছসহ ১৫ থেকে ২০জন মিলে তাদের হাতে থাকা দা, লাঠি, লোহার রডসহ বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মোসাম্মদ এসমে তারা, বিবি রাহিমা, জেসমিন বেগম, রাবেয়া বেগম, আতিকুর রহমানকে এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে পিটিয়ে দুজনের ডান হাত ভাঙ্গাসহ মাথায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম করে।
প্রতিপক্ষ সিরাজ খান এর কাছে বিরোধের বিষয়ে জানার জন্য মুঠো ফোনে ফোন করলে সে ফোন রিসিভ করেন নাই। উক্ত বিষয়ে দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান জানান উক্ত ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি তবে বিষয়টা নিয়ে ইতিপূর্বে কয়েক বার সালিশ হওয়ায় পরবর্তীতে সাবেক এমপি হাফিজ ইব্রাহিম এর কাছে মধ্যস্ততার জন্য যাবে বলে জানা গেছে। তবে উক্ত ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যকর পরিবেশ বিরাজ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১:২১:৪৬ ৬০ বার পঠিত