মুগ ডাল চাষে সফলতার মুখ দেখলেন ছাদেক মিয়া

প্রচ্ছদ » অর্থনীতি » মুগ ডাল চাষে সফলতার মুখ দেখলেন ছাদেক মিয়া
সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫



---

খলিল উদ্দিন ফরিদ, চরফ্যাশন থেকে ফিরে ॥

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার ওমরপুর ইউনিয়নের মো: ছাদেক মিয়া পল্লী-কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর অর্থায়নে এবং পরিবার উন্নয়ন সংন্থা (এফডিএ) এর সহযোগিতায় ডাল ফসল উৎপাদন, বীজ সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াজাতকরন ও বাজারজাতকরণ বিষয়ক প্রশিক্ষণে অংশ নেন এবং পরিবার উন্নয়ন সংস্থা (এফডিএ) এর সহায়তা পাওয়ায় তিনি নিজের ৪ বিঘা জমিতে বারি মুগ-৬ চাষ করেন।

মুগ ডাল চাষ করে তিনি সাফল্য পেয়েছেন। প্রথমবারের মতো তিনি নিজের ৪ বিঘা জমিতে উচ্চ ফলনশীল বারি মুগ-৬ চাষ করেন। উচ্চ ফলনশীল এসব বীজে ফলন বেশি। উৎপাদন খরচ কম এবং চাহিদাও ব্যাপক।

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মুগ ডাল চাষ। জেলায় এবছর মুগ ডালের বাম্পার ফলন হয়েছে, হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। লবনাক্ততার জন্য পতিত থাকা জমিতে পরিবার উন্নয়ন সংস্থা (এফডিএ) এর সহযোগিতায় বারি মুগ-৬ ডালের চাষ করছেন স্থানীয় কৃষকরা। বারি মুগ-৬ জাতের ডালের চাহিদা থাকায় এর আবাদ সম্প্রসারণ বেশি হয়েছে ভোলার জেলার চরফ্যাশন উপজেলায়। ফলন আসার পরে ৩ ধাপে মুগ ডাল উত্তোলন করতে পারেন ডাল চাষিরা। মুগ ডাল উত্তোলনে পুরুষদের পাশাপাশি শ্রম দিচ্ছেন নারী সদস্যরা। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত মাঠ থেকে মুগ তোলেন কৃষকরা। উৎপাদন ভালো এবং লাভ বেশি হওয়ায় নতুন নতুন কৃষি উদ্যোক্তরা আগ্রহী হচ্ছেন মুগ ডাল চাষে।

মুগ ডাল চাষি মো: ছাদেক মিয়া বলেন, এ বছর মুগ ডাল চাষ ভালো হয়েছে। আমি ৪ বিঘা জমিতে বারি মুগ-৬ চাষ করি যার খরচ হয়েছে ষোল হাজার টাকার মতো আমি আশা করি এ বছর প্রায় এক লক্ষ টাকার মতো লাভ করতে পারবো। তিনি আরও বলেন, পল্লী-কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর অর্থায়নে এবং পরিবার উন্নয়ন সংন্থা (এফডিএ) এর বাস্তবায়নে প্রক্রিয়াজাতকরণের মেশিন চরফ্যাশন উপজেলায় উদ্যোক্তা সদস্যদের মাঝে বিতরন করার ফলে ডাল মাড়াই, ডাল ভাঙ্গানো, সকল কাজই এই মেশিনের মাধ্যমে খুব সহজেই করতে পারি। উক্ত প্রযুক্তি থাকার ফলে শ্রমিক খরচ কম লাগে এবং সময় ও অর্থের অপচয় কম হয়।

পরিবার উন্নয়ন সংন্থা (এফডিএ) এর কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো: মনিরুল ইসলাম বলেন, মুগডাল অত্যন্ত কম সময়ের ফসল। এই ডাল আবাদ করলে মাত্র দুই মাসের মধ্যে ফসল ঘরে তোলা যায়। ডাল ফসল শেকড়ের গুটির মাধ্যমে বায়ুম-লে নাইট্রোজেন আবদ্ধ করে মাটির উর্বরতা বাড়ায়। ফলে পরবর্তী বছরে জমিতে ইউরিয়া সারের পরিমান কম লাগে।

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো: নাজমুল হুদা বলেন, কৃষি বিভাগ এর পাশাপাশি বেসরকারী সংস্থা পরিবার উন্নয়ন সংস্থা (এফডিএ) কৃষকদের সঠিক পরামর্শ দেয়ায় উচ্চ ফলনশীল জাতের বারি মুগ-৬ এর বাম্পার ফলন হয়েছে। এ মুগে পোকার আক্রমণ হয়না। স্থানীয় জাতের তুলনায় বারি মুগ-৬ জাতে ৩গুণ বেশি ফলন পাওয়া যায়। মুগ ডাল তোলার পর মুগের গাছ ও পাতা মাটির সাথে মিশিয়ে দিলে জমিতে জৈব সার তৈরি হয়। পরবর্তীতে ফসলের ভাল ফলন পাওয়া যায়। ডাল চাষে অন্য যে কোনো ফসলের তুলনায় সেচ ও সার কম প্রয়োগ করতে হয়। তাই, মুগ ডাল চাষ করে কৃষক একদিকে যেমন পরিবারের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে পারবে, অন্যদিকে বাজারে বিক্রি করে আর্থিক দিক দিয়ে লাভবান হতে পারবে।

বাংলাদেশ সময়: ১:০০:০০   ১৩৬ বার পঠিত  







পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

অর্থনীতি’র আরও খবর


যেভাবে মনপুরার ৫০ টাকার ডাব ঢাকায় এসে হয় ১৫০ টাকা
ভোলায় ঝড়োবৃষ্টি ও বজ্রপাতে ফসলের ক্ষতি
বোরহানউদ্দিনে ট্রাস্ট ইসলামি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিঃ এর কর্মী সমাবেশ
ভোলায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন আন কাটা মাড়াইয়ে ব্যাস্ত কৃষক
ভোলায় খামারিদের নিয়ে বাজার সংযোগ বাড়াতে কর্মশালা
লালমোহনে কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার দিয়ে বোরো কাটার উদ্বোধন
প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে আন্তঃদেশীয় সহযোগিতার নতুন অধ্যায় পাকিস্তানে জিজেইউএস প্রতিনিধি দলের সফর
ভোলায় বোরো ধান কাটার ‘মাঠ দিবস’ উদযাপন
লালমোহনে ৬৬ হাজার টন বোরো ধান উৎপাদনের সম্ভাবনা
ভোলায় মাছধরায় নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে আজ, জেলেদের ব্যাপক প্রস্তুতি



আর্কাইভ