ভোলার বাজারে শেষ সময়ে কেনাকাটার ধুম, দেশি পণ্যের চাহিদা বেশি

প্রচ্ছদ » অর্থনীতি » ভোলার বাজারে শেষ সময়ে কেনাকাটার ধুম, দেশি পণ্যের চাহিদা বেশি
শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫



---

ইব্রাহিম আকতার আকাশ ॥

ঈদের বাকী আর মাত্র দু-একদিন। শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটার ধুম। কেনাকাটায় ছোট-বড়, ধনী-গরিব কেউই পিছিয়ে নেই। নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী ছুটছেন ক্রেতারা। ফুটপাত থেকে শুরু করে চকবাজার, শপিংমল, নামীদামি ব্রান্ডের শো-রুম গুলোতেও রয়েছে উপচে পড়া ভীড়। ক্রেতাদের এমন উপচে পড়া ভিড়ে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে ভোলার ঈদ বাজার।

শুক্রবার (২৮ মার্চ) শহরের চক বাজার, কে জাহান সুপার মার্কেট, জিয়া সুপার মার্কেটসহ বেশকটি মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, গভীর রাত পর্যন্ত শহরের ফুটপাত থেকে অভিজাত শপিংমল পর্যন্ত সব জায়গায় চলছে কেনাকাটা। প্রতিটি মার্কেটে ক্রেতাদের ভিড়ে হিমশিম খাচ্ছে বিক্রেতারা। যেন দম ফেলার মতোও সময় পাচ্ছেন না তারা।

দিনের বেলায় তীব্র গরম থাকার কারনে স্বস্তিতে পোশাক কিনতে পরিবার পরিজন নিয়ে সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কেনাকাটায় ঝুঁকছেন ক্রেতারা। গভীর রাতেও ক্রেতাদের ভীড়ে অনুভূত হচ্ছে তীব্র গরম, কিন্তু সেই গরমকে উপেক্ষা করে হাঁক ডাকে মুখোরিত ভোলার মার্কেটগুলো।

শহরের নামীদামী র্ব্যান্ড চন্দ্রবিন্দু, বিন্দু ফ্যাশন, সেইলর, দর্জিবাড়ি, বন্ড ফ্যাশন হাউজ গুলোতেও রয়েছে ক্রেতাদের উপছে পড়া ভীড়। এসকল শো-রুম গুলোতে ছোট-বড় সকলেরই পোশাক পাওয়া যাচ্ছে। নতুন নতুন কালেকশন থাকায় শো-রুম গুলোতেও ভীড় করছেন তরুণ-তরুণীরা।

তবে বিক্রেতারা বলছেন, এবার ঈদে বিদেশি পণ্যের চাইতে দেশী পণ্যের চাহিদা বেশি। দেশী পণ্যের গুণগতমান ও দাম ভালো হওয়ায় স্বাচ্ছন্দ্যে কেনাকাটা করছেন মানুষ। তবে পিছিয়ে নেই, বিদেশী পণ্যও। ভারতীয় ও পাকিস্তানি পণ্যও কিনছেন ক্রেতারা।

মেয়েদের পোশাকের মধ্যে রয়েছে সারারা, গারারা, পাকিস্তানি, আলিফ-লায়লা ইত্যাদি জাতীয় থ্রি-পিচ। ছেলেদের রয়েছে বাহারী রকমের পাঞ্জাবি ও প্যান্ট।

বিক্রেতারা আরো বলেন, গতবছরের তুলনায় এবছর বেচাকেনা কিছুটা ভালো। শেষ সময়ে তা পুরোপুরি জমে উঠেছে।

ক্রেতারা বলছেন, বাজারে নতুন নতুন পোশাকের কালেকশন থাকায় স্বস্তিতে কেনাকাটা করছেন তারা। কিছুকিছু পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, আবার কিছুকিছু পণ্যের দাম আগের মতই রয়েছে। তবে, ভোক্তা অধিকারের মাধ্যমে বাজার মনিটরিং করে পোশাকের মূল্য ঠিক রাখার দাবী ক্রেতাদের।

কয়েকজন ক্রেতার সাথে কথা বলে জানা গেছে, পণ্যের দাম তুলনামূলক কিছুটা কম থাকায় স্বজনদের জন্য চাহিদা মাফিক পোশাক কিনতে পেরে তারা সন্তুষ্ট।

--- 

ভোলার বাজারে কেনাকাটা করতে আসা রাকিব উদ্দিন ওমি নামের এক ক্রেতা জানান, পরিবারের সকলের জন্য চাহিদামতো পোশাক কিনতে পেরেছেন তিনি। ইফতার শেষে সন্ধ্যার পর পরিবার নিয়ে এসেছেন স্বস্তিতে কেনাকাটা করবেন বলে। তবে এসে মার্কেটগুলোতে উপচে পড়া ভীড় দেখে কিছুটা অবাক হয়েছেন।

ফারজানা আঁখি নামের এক নারী ক্রেতা জানান, শহরের চন্দ্রবিন্দু ফ্যাশন হাউজ থেকে তার বাজেটের মধ্যে স্বাচ্ছন্দ্যে একটি পোশাক কিনতে পেরেছেন, কিন্তু বাজেট প্রকাশ করেননি। তবে শহরের অধিকাংশ শো-রুমগুলোতে ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী পোশাক থাকায় ক্রেতাদের জন্য কেনাকাটায় সহজ হয়েছে।

চকবাজার মার্কেটের দোকানি মেহেদি হাসান জানান, অধিকাংশই নারী ক্রেতারা কেনাকাটায় আসছেন। নারীদের চাপে পুরুষ ক্রেতারা কোনঠাসা হয়ে পোশাকের দাম তেমন একটা বলছেন না। আবার একজন নারীর সঙ্গে একাধিকজন এসে ভীড় করছেন।

খালেক ম্যানশনের দোকানি মঞ্জিল জানান, গতবারের তুলনায় এবারের ঈদে ক্রেতাদের সমাগম বেশি হওয়ায় বেচাকেনা ভালো হচ্ছে। পোশাক অনুযায়ী দাম সাধ্যের মধ্যে হওয়ায় তেমন একটা বিড়ম্বনা হচ্ছে না।

বাংলাদেশ সময়: ২৩:৩৮:৫৭   ১৩৬ বার পঠিত  







পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

অর্থনীতি’র আরও খবর


যেভাবে মনপুরার ৫০ টাকার ডাব ঢাকায় এসে হয় ১৫০ টাকা
ভোলায় ঝড়োবৃষ্টি ও বজ্রপাতে ফসলের ক্ষতি
বোরহানউদ্দিনে ট্রাস্ট ইসলামি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিঃ এর কর্মী সমাবেশ
ভোলায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন আন কাটা মাড়াইয়ে ব্যাস্ত কৃষক
ভোলায় খামারিদের নিয়ে বাজার সংযোগ বাড়াতে কর্মশালা
লালমোহনে কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার দিয়ে বোরো কাটার উদ্বোধন
প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে আন্তঃদেশীয় সহযোগিতার নতুন অধ্যায় পাকিস্তানে জিজেইউএস প্রতিনিধি দলের সফর
ভোলায় বোরো ধান কাটার ‘মাঠ দিবস’ উদযাপন
লালমোহনে ৬৬ হাজার টন বোরো ধান উৎপাদনের সম্ভাবনা
ভোলায় মাছধরায় নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে আজ, জেলেদের ব্যাপক প্রস্তুতি



আর্কাইভ