স্টাফ রিপোর্টার ॥
ভোলায় বাসুরের বিরুদ্ধে দুই সন্তান জননীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের পশ্চিম কানাই নগর ৪নং ওয়ার্ডে স্বামী মহসিন হাওলাদারের বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত বাসুরের নাম জাহাঙ্গীর হাওলাদার। তিনি একই এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে ও স্বামী মহসিন হাওলাদারের বড় ভাই।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, স্বামী মহসিন হাওলাদার ও তার স্ত্রী মিতু আক্তারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সম্পর্কের অবনতি চলে আসছে। ধারই ধারাবাহিকতায় স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক উন্নত করার জন্য দীর্ঘদিন বিভিন্নভাবে কুপ্রস্তাব ও উত্ত্যক্ত করে আসছেন অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর হাওলাদার। ঘটনার দিন শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে মিতু আক্তার তার বড় বোন খাদিজাকে সাথে নিয়ে স্বামী মহসিন হাওলাদারের বাড়ীতে যায়। ব্যবসায়ীক কাজে স্বামী বাড়ীতে না যাওয়ায় বাসুর জাহাঙ্গীর হাওলাদার ঘটনার দিন রাত আড়াইটার দিকে ঘরের দরজা ঠকঠক করে নাড়া দেন। পরে মহসিনের স্ত্রী নিজের স্বামী মনে করে গেইট খুলে দেখতে পান বাসুর জাহাঙ্গীর হাওলাদার। গেইট খোলার সাথে সাথেই মিতু আক্তারকে জড়িয়ে কুপ্রস্তাব দিতে থাকেন অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর। একপর্যায়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ চেষ্টা করেন। পরে তাদের চেচামেচিতে পাশের রুমে থাকা মিতুর বড় বোন খাদিজা ঘুম থেকে উঠে সামনের রুমে এসে দেখেন মিতুর সাথে জোরজবরদস্তি করতেছেন। পরে তাদের ডাকচিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর হাওলাদার পালিয়ে যান। মিতুর শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের দাগ দেখা গেছে। এ ঘটনায় বর্তমানে মিতু ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর হাওলাদার বলেন, মিতু আমার ছোট ভাই মহসিন হাওলাদারের সাবেক স্ত্রী। তাদের মধ্যে পারিবারিক অভ্যন্তরীণ কোন্দলে প্রায় ৭/৮ মাস আগে কোর্টের মাধ্যমে ডিভোর্স হয়েছে। ডিভোর্সের পরে আমার ভাই মহসিন হাওলাদারকে অপহরণ করে তুলে জোরপূর্বক আবার বিবাহ পড়িয়েছেন। এ ঘটনা শুনে আমরা আমার ভাইকে পুলিশি সহায়তায় উদ্ধার করে তাদের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা দিয়েছি। বর্তমানে মামলাটি ভোলা ডিবি পুলিশের কাছে তদন্তাধীন রয়েছে এবং আমাদের বিরুদ্ধেও মিতু বাদী হয়ে দুটো মামলা দিয়েছেন বর্তমানে যা বিচারাধীন রয়েছে। এসবের মধ্যে ঘটনার দিন আমার ভাইর সাবেক স্ত্রী মিতু আমাদের বাড়ীতে এসে উঠে। আমরা তাকে পুলিশ ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মাধমে বুঝিয়ে শুনিয়ে ঘর থেকে বের করে দিয়েছি। আমার বিরুদ্ধে মিতুর আনিত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
এ বিষয়ে ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, এঘটনায় এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১:১৭:০১ ১২৩ বার পঠিত