
স্টাফ রিপোর্টার ॥
ভোলার পশ্চিম ইলিশা ৪নং ওয়ার্ড পূর্ব কাজির চরে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারী) নুরুউদ্দিন কয়েল বাহিনীর সদস্যরা মোঃ ফারুক মুন্সি, মোঃ করিম, মোঃ রহিম, মোঃ মনির, মোঃ মন্নান, মোঃ মাইনুদ্দিন মিজিসহ মুখ বাঁধা প্রায় পঞ্চাশের অধিক লোক নিয়ে ঘর দুয়ার ভাংচুর লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ মাধ্যমে এক কুটি টাকার ক্ষতি করেছে। স্থানীয় লোকজন ঝড় হলে তারা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
মোঃ কবিরের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নুরুদ্দিন কয়েল একজন ভূমিদস্যু, ডাকাত, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজি প্রকৃতির লোক। সে দীর্ঘদিন যাবত চরের জায়গা জমির মালিকানা লোকদের থেকে জমি জোর জবরদস্তি করে দখল করার চেষ্টা করে, বিভিন্ন ভাবে তাদের প্রতি হামলা চালায়, তাদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে।জমি দখল ও চাঁদা দিতে রাজি না হলে তাদেরকে মেরে ফেলতে হুমকি দেয় এবং অতর্কিত হামলা চালিয়ে মোঃ কবির, মোঃ কাজল বাদশা, রহমান হাওলাদার, মোঃ সাদ্দাম, মোঃ জাহাঙ্গীরের ঘর দুয়ার ভাংচুর লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। এতে তাদের মহিলা পুরুষসহ দশ জন গুরুতর আহত হয়ে ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। এই নুরুদ্দিন কয়েল বাহিনীর বিরুদ্ধে ভোলা সদর থানায় একটি চাঁদাবাজি মামলা রয়েছে, যে মামলার নম্বর হলো এমপি ৫৯২/২৪। পরিকল্পিতভাবে এই দখলদারি, চাঁদাবাজি থেকে আমরা কাজির চরবাসী যেন মুক্তি পেতে পারি। এই কামনা করি প্রশাসনের কাছে।
মরিয়ম বেগম জানান, আমাদের ঘরটি পুড়ে ফেলেছ। ঘরে ছিল ফ্রিজ একটি, খাট ৪টি, ওয়াল সুকেজ ১টি, ড্রেসিং টেবিল ১টি, ডাইনিং টেবিল ও ছয়টি চেয়ার, ধান ৮০ মন, কানের দুল এক জোড়া, চেইন একটি, কেশ টাকা দেড় লাখ, গরু ৪টি। আমাদের সব শেষ হয়ে গেছে। আমাদের পাশের চারটি ঘর ভাংচুর লুটপাট করে নিয়ে গেছে। কৃষ্ণ বাবুর গের থেকে ৩০টি গরু, ভেড়া, ছাগল সহ সকল কিছু লুটপাট করে তার ঘরটি পুড়িয়ে দিয়েছে।
স্থানীয় লোকজন বলেন, সন্ত্রাস চাঁদাবাজ এই নুরুদ্দিন কয়েলের জন্য আমাদের এই চরে বসবাস অযোগ্য হয়ে পড়েছে। আমরা প্রশাসনের কাছে এই নুরুদ্দিন কয়েলের চাঁদাবাজি এবং সন্ত্রাসী থেকে মুক্তি চাই।
নুরুদ্দিন কয়েলের সাথে যোগাযোগ করলে সে বলে আমার কোন লোক চরে যায়নি ঘর দুয়ার ভাংচুর অগ্নিসংযোগের বিষয়ে আমি কিছু জানিনা।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৩৪:৩১ ৮৫ বার পঠিত