
আদিল হোসেন তপু ॥
নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, লঞ্চঘাট গুলোতে যে অরাজগতা হয় তার বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিশেষ করে ঘাট ইজারাদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ৫ টাকার টিকেট ১০টাকা নেওয়ার এখন আর সুযোগ নেই আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি, এবং সকলকে সোচ্চার হতে হবে। কেননা এখন আর আগের সেই স্বৈরাচারী সরকারের সময় নেই। স্বৈরাচারী সরকারের সময় যা খুশি তা করেছে সেটা যেনো আর না হয়। ভবিষ্যতে যারা সরকারের আসবেন আশাকরি তারা শিক্ষানিবেন অতিত থেকে যে কি করলে কি হয়। আমরা যত দিন আছি ততোদিন আর অরাজগতা সৃষ্টি হবে না।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) ভোলার দৌলতখানের বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল লঞ্চঘাট পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে আধুনিক লঞ্চ ঘাট ও জেটি প্রকল্পের স্থান পরিদর্শনে ২ সফরে ভোলায় আসেন তিনি।

নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, ভোলার চার পাশেপাশেই নদী। এই দ্বীপজেলা ভোলায় যে ঘাটগুলো রয়েছে তা পর্যাপ্ত নয়। এবং এই ঘাটগুলোতে তেমন কোন সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায় না অউন্নত থাকায়। এই পরিপেক্ষিতে ভোলাতে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে বেশ কিছু ঘাট পূর্ননির্মিত হচ্ছে। ভোলার এই ঘাটগুলো যাত্রীছাউনিসহ আধুনিক সকল সুযোগ সুবিধাসহ নির্মিত হচ্ছে। যাতে ঝড় বাদলেও লঞ্চে যাত্রী পারাপারে দূর্ভোগ না হয়।এই ঘাটগুলো ভোলার সদরের ইলিশা, দৌলতখান, তজুমউদ্দিন ও মনপুরায় নির্মিতি হবে। এই ঘাটগুলো নির্মানে স্থানীয় বাসিন্দা ও সাধারণ মানুষদের একটু অসুবিধা হলেও উন্নয়নের জন্য সকলের সহযোগীতা কামনা করছি।
এ সময় তিনি আরও বলেন, নৌ পথের নিরাপত্তা ও ঘাটের চাদাবাজি বন্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, চাঁদাবাজি বন্ধে পুলিশ ও কোস্টগার্ড যৌথভাবে কাজ করবে। এছাড়াও দক্ষিণাঞ্চল নৌপথ সচল রাখতে ড্রেজিং কার্যক্রম এবং ভোলা-মনপুরাসহ সুবিধাজনক পয়েন্টে ফেরি সার্ভিস চালুর কথাও জানান তিনি।
এ সময় বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, ভোলার জেলা প্রশাসক মোঃ আজাদ জাহানসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:০৯:০০ ১৫২ বার পঠিত