
এইচ এ শরীফ, বোরহানউদ্দিন ॥
ভোলার বোরহানউদ্দিনের কাচিয়া ইউনিয়নে ইরিগেশন পাম্প ড্রেনেজ ভাঙচুরের অভিযোগ স্থানীয় বাসেদ হাওলাদার, জসিম হাওলাদার পিতা মৃত সুলতান হাওলাদার ও মিলন লস্কর গংদের বিরুদ্ধে।
যানা যায়, গত ১১ জানুয়ারি (শনিবার) গভীর রাতে উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের রতনপুর বাজার সংলগ্ন সবুজ বিশ্বাস পিতা আলী হোসেন এর ইরিগেশন পাম্প ড্রেনে এই ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী সবুজ বিশ্বাস স্থানীয় গণমাধ্যমে অভিযোগ করে বলেন, আমি বিগত ২৫ বছরের মতো অত্র এলাকায় ইরি ধান চাষাবাদ করার জন্য এই এলাকার কৃষকদের জমিতে ড্রেনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করি। আর এই পানি সরবরাহ করার মাধ্যমে কৃষকরা মৌসুমে শেষে অনেক ধান উৎপন্ন করে নিজেরা আর্থিক ভাবে লাভবান সহ দেশের কৃষিখাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
তিনি বলেন, শনিবার গভীর রাতে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে বাসেদ, মিলন,জামাল, সহ ১০-১২ জন এসে গভীর রাতে আমার ইরিগেশন ড্রেন ভাঙচুর করে । আর এতে এই এলাকায় ইরি ধান চাষাবাদ হুমকির মুখে পড়ে , যা এলাকার কৃষক ও দেশের কৃষিখাতে ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়তে পারে।
বর্তমানে কৃষকেরা তাদের জমি চাষ দেওয়া শুরু করেন, এখন পানির অপেক্ষায়, এর মধ্যেই এই ভাংচুর। তাদের যদি কোন কিছু চাহিদা বা দেনা পাওনা থাকে তাহলে দেশের প্রচলিত আইন আছে, স্থানীয় ব্যক্তিরা আছেন তাদের কিন্তু রাতের আধারে এসে এভাবে আমার পা¤প ড্রেনেজ ভেঙ্গে কৃষকের এরকম ক্ষতি আমরা কখনো কল্পনা করি নাই আমরা তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।
স্থানীয় কয়েকজন কৃষক অভিযোগ করে বলেন, প্রতিপক্ষের সাথে, জমিজমা সংক্রান্ত কোন বিরোধ থাকলে সেটা বিচার শালিসির মাধ্যমে সমাধান করা যেতে পারে, ড্রেন ভাঙচুর করে ইরি ধান চাষাবাদে হুমকির মুখে পেলে দিয়ে কৃষকের পেটে লাথি মারা ঠিক হয় নি। আমরা দুশ্চিন্তা আছি অধো কি আমাদের ইরিধান চাষ হবে কি না।
স্থানীয় মফিজ হাওলাদার জানান, তাদের উভয় পক্ষের জমি সংক্রান্ত বিরোধ হইলে আমরা স্থানীয় ভাবে উপজেলা সার্ভেয়ার সহ তাদের এ বিরোধ নিবারকের জন্য সমস্যা সমাধান করে জমি মেপে সীমানা নির্ধারণ করে দেই।
কিন্তু হটাৎ তাঁরা কেন রাতে ড্রেনেজ ভাংচুর করলো তা আমার দৃষ্টিগোচর নয়।
বাংলাদেশ সময়: ১:১৭:২৭ ১০৩ বার পঠিত