এইচ এ শরীফ: বোরহানউদ্দিন ॥
ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশের দুই এএসআই পুলিশ সদস্য ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ধরতে গিয়ে হামলার শিকার হন। পরে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করলে নারী পুরুষসহ ৬ জন গ্রেপ্তার হয়। সোমবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭ দিকে উপজেলার বড় মানিকা ৬নং ওয়ার্ডে এই তুলকালাম কান্ড ঘটে।
পুলিশের ভাষ্যমতে, বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড় মানিকা ৬নং ওয়ার্ডের উত্তর বাটামারা আলিমুদ্দিন বাজার সংলগ্ন এলাকার নসুর ছেলে মাদকাসক্ত রুবেলের বিরুদ্ধে একটি নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করে আদালত।
পুলিশের দুই সদস্য গতকাল তাদেরকে গ্রেফতারে অভিযানে গেলে রুবেলের লোকজন তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাদেরকে গুরুতর আহত করে। এতে ঐ দুই পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। হামলায় আহত দুই পুলিশ সদস্য হলেন, বোরহানউদ্দিন থানার এ.এস.আই মো. নুরুল ইসলাম ও এ.এস.আই মোহাম্মদ আলমাস হোসেন।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ বাদী হয়ে বোরহানউদ্দিন থানায় নিয়মিত মামলা হয়। যার মামলা নং-১১। নিয়মিত মামলার আসামিদের মধ্যে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। তারা হলেন, মোঃ খোকন (৩৪) পিতা নসু মিয়া, মোঃ লোকমান (৪৫) পিতা মৃত আঃ শহিদ, মোঃ বাবুল (৪৫) পিতা মৃত বজলুল রহমান, তানিয়া বেগম (২৫) স্বামী মিজান, বিবি কুলসুম স্বামী তৈয়ব, মোঃ আলম (৫০) পিতা আঃ রহিম। এরা সবাই বড় মানিকা ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
অন্যদিকে স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, আসামি ধরতে গিয়ে পুলিশ হামলার শিকার হয়েছে এটা অন্যায়, তাই বলে নিরঅপরাধ কাউকে যাতে হয়রানি না করা হয়।
পুলিশ হয়রানি করবে না বললেও মূল আমাসী ধরাছোঁয়ার বাহিরে রেখে আজ নিরপরাধীদের ধরে আদালতে প্রেরণ করে।
ভোলা জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শরীফুল হক জানান, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে আসামি ৬ জন গ্রেপ্তার হয়েছে, আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। আরো জড়িত থাকলে গ্রেপ্তার হবে।
নিরপরাধ কাউকে গ্রেপ্তার করেছেন কিনা প্রশ্নে পুলিশ বলেন, নিরপরাধ কাউকে পুলিশের পক্ষ থেকে হয়রানি করা হবে না। এ ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেয়াও হবেনা।
বাংলাদেশ সময়: ১:২৭:০১ ১৫২ বার পঠিত