এইচ এ শরীফ, বোরহানউদ্দিন ॥
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকার লালবাগে নিহত হওয়ার পাঁচ মাস পর ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ইউনিয়নের মুলাইপত্তন গ্রামের নয়ন (২৩) এর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
সে ঔ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের নুরুল ইসলামের ছেলে। গত ৫ই আগস্টে গুলিতে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরে ৯ আগষ্ট মৃত্যুবরণ করেন এই নয়ন।
সোমবার সকাল ১১টার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারি কর্মকর্তা (ভূমি) মোঃ মেহেদী হাসানের উপস্থিতিতে কবর থেকে তার লাশ উত্তোলন করা হয়।
এ সময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর আবদুর রাজ্জাক ডিএমপি লালবাগ থানা এবং ভোলা জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও সহকারী সার্জন বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ডাঃ শাশ্বত মিস্ত্রী চন্দন উপস্থিত ছিলেন।
স্বৈরাচার হাসিনা সরকারকে বিতারিত করতে সারাদেশে দলমত নির্বিশেষে অনেকেই দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছে, এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রাণ হাড়িয়েছে দ্বীপ জেলা ভোলার মানুষ।
অর্ধশতাধিক নিহতের মধ্যে একজন নয়ন, যার মরদেহ তদন্তের স্বার্থে আজ সকালে কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। এ দেখে শহীদ নয়নের মায়ের কান্নায় আকাশ বাতাস ভাড়ি হয়ে উঠেছে, পাড়া প্রতিবেশিরাও একই দুঃখে চোখের পানি ফেলছে। নয়নের পিতা নুরুল ইসলাম জানান, আমার সন্তানকে এভাবে পাখির মত গুলি করে মেরে ফেলেছে, আমাকে এখন কে কামাই করে খাওয়াবে আল্লাহ।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, নয়ন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে লালবাগ থানা বেড়িবাঁধ সংলগ্ন শানিন গার্মেন্ট এর সামনে পাকা রাস্তায় হাজী সেলিমের গুন্ডা বাহিনীর গুলিতে মারা যায়। পরে ময়নাতদন্ত ছাড়াই গ্রামের বাড়ীতে এনে তার মরদেহ পারিবারিকভাবে দাফন করা হয়। পরবর্তীতে তার বাবা বাদী হয়ে লালবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তাই ময়নাতদন্তের জন্য চীফ মেট্রোপলিটন মেজিস্ট্রেট আদালতের নির্দেশে তার লাশ উত্তোলন করা হয়। এসময় সার্বিক সহযোগিতা করেন বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশ।
উল্লেখ্য, এই মামলায় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সাবেক এমপি হাজী সেলিম, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও মুক্তিযোদ্ধামন্ত্রীসহ মোট ৯৭জনের বিরুদ্ধে আসামি করা হয়েছে। মামলা নং ৯/৮/২৪।
কিছুদিন আগে একই উপজেলার দেউলা ইউনিয়নের শহীদ ইয়াছিনের লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১:৩৬:০৩ ১০৯ বার পঠিত