বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধি ॥
উত্তর পূর্ব কুতুবা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বোরহানউদ্দিন মডেল মাদরাসায় ভর্তির অভিযোগ করেছেন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো: সফিকুল ইসলাম।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ পত্রে তিনি বলেন, বিনীত নিবেদন এই যে, আমি উত্তর পূর্ব কুতুবা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে কর্মরত আছি। মহোদয় আপনি গত ৪.১১.২৪ইং তারিখে আমার বিদ্যালয়টি আকস্মিক পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিতি কম দেখতে পান(কপিসংযুক্ত) আপনার পরিদর্শনের পর আমরা শিক্ষকগণ হোমভিজিটের করতে বাড়িতে গমন করি। শিক্ষার্থীদের বাড়িতে অবস্থান করে জানতে পারি অত্র বোরহান উদ্দিন পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের ২০২৪ সালে বোরহান উদ্দিন মডেল একাডেমী নামে একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়। উক্ত প্রতিষ্ঠানে আমাদের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষকগণ শেয়ারহোল্ডার রয়েছেন। তাদের মধ্যে বোরহানউদ্দিন পৌর ১নং ওয়ার্ডে গঙ্গাচরণ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্মরত সহকারি শিক্ষক মোঃ বিল্লাল হোসেন রয়েছেন। ২০২৪ সালের দূর্গা পূজারসহ স্কুল বন্ধ থাকায় বোরহান উদ্দিন মডেল একাডেমীর শেয়ারহোল্ডার মোঃ বিল্লাল হোসেন (পরিচালক) এর নেতৃত্বে আমার স্কুলের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকগণকে ভুল বুঝিয়ে একাডেমিতে জোরপূর্বক ভর্তি করান। শিক্ষার্থীরা হলেন খাদিজা বেগম দ্বিতীয় শ্রেণীর রোল নং ০৯, অন্তরা দ্বিতীয় শ্রেণীর রোল নং-১০, তানিয়া তৃতীয় শ্রেণীর রোল নং-১৭, আব্দুল্লাহ বুখারী প্রাক রোল নং-০২। এছাড়া বোরহানউদ্দিন মডেল একাডেমী ২০২৪ ইনসালে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে এ অস অন্তর্ভুক্ত হওয়ায়, আমার বিদ্যামাদ্রাসার বই সংগ্রহ করে (প্লে থেকে ইবতেদায়ী পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত) পাঠদানের কার্যক্রম শুরু করেন। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওচঊগওঝ এ অসৎ উপায়ে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায়, আমার বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীর অভিভাবকদের বোঝানো হয়েছে যে উক্ত প্রতিষ্ঠানটি সরকারিভাবে আমরাও ইএমএসকোড পেয়েছি এবং বিক্রম সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী উপবৃত্তি প্রদান করতে পারব। অথচ মহোদয় তাদের প্রতিষ্ঠানে আমি উপস্থিত হয়ে দেখি তারা ছাত্র-ছাত্রীদেরকে এবতেদায়ি ও নূরানী শাখার বই পড়াইতেছে (ছবি সংযুক্ত)।
অতএব মহোদয়ের নিকট আকুল আবেদন দয়া পূর্বক উক্ত প্রতিষ্ঠানটি ওচঊগওঝ থেকে বাতিলসহ আমার বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ফেরত পাইতে পারি এবং উক্ত বিদ্যালয়ের পরিচালক বা শেয়ারহোল্ডারগণ ক্যাচমেন্ট এরিয়য়ার বাসা/বাড়িতে গিয়ে কোনো শিক্ষার্থীদের ভর্তি না করালে আমার বিদ্যালয়ের উপস্থিতি বৃদ্ধি পাবে। অভিযুক্ত শিক্ষক বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করিতে মহোদয়ের একান্ত মর্জি হয়।
এবিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার বলেন, ওই মাদরাসায় একটা টিম আমরা গিয়েছিলাম। মডেল একাডেমির প্রধান আমাকে বললেন, ছাত্র ছাত্রী আমরা আনছি। ওনার ছাত্র যদি বলে তারা চলে যাবে, আমি নিজে গিয়ে দিয়ে আসবো। এখানে বিল্লাল হোসেনের কাগজে পত্রে সবজায়গায় বিল্লাল এর নাম আছে। সেখানে অভিযোগকারী নিজে উপস্থিত ছিলেন। ওনাকে বললাম আপনার যে যে অভিযোগ ছিরো তারা নি®পত্তি করে নিছে। তাহলে আপনারা উভয়ই বসে বিষয়টি মিমাংসা করে নিন। সমস্যা হইছে এটা সত্য, নিজেরাই বলছে ঠিক করে নিবে।
বাংলাদেশ সময়: ১:৪৮:৩৮ ২৯৩ বার পঠিত