আল আমিন ॥
বাজার চালিত পেশাগত দক্ষতা, স্থানান্তরযোগ্য দক্ষতা এবং চাকরির নিয়োগসহ স্কুলের বাইরে কিশোরী এবং যুবতী মহিলাদের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা। প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য চাকরির নিয়োগ বৃদ্ধির জন্য নিয়োগকর্তাদের সাথে ইকো-সোশ্যাল ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও) এর উদ্যোগে বুধবার (৬ই নভেম্বর) বিকেলে ভোলা শহরের যুগিরঘোলস্থ মাটির হান্ডি রেস্টুরেন্টে প্রকল্প মনিটরিং অফিসার মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে সংযোগ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভাপতির বক্তব্যে মাহফুজুর রহমান বলেন, আমরা ইকো-সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ESDO) কে প্রতিনিধিত্ব করি। ইকো-সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ESDO) জীবিকা, দক্ষতা উন্নয়ন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার ক্ষেত্রে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। যেমন পানি ও স্যানিটেশন, পুষ্টি, মা ও শিশুর স্বাস্থ্য সেবা বৃদ্ধি পর্যবেক্ষণ, টিকাদান, আর্সেনিক প্রশমন এবং বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের চাহিদাকে গুরত্ব দিয়ে ১৯৮৮ সালের সূচনালগ্ন থেকে (ESDO) এর লক্ষ্য “আমরা সকল বৈষম্যমুক্ত একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ চাই”।
আমরা ইউনিসেফের সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তেতে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা থেকে ঝরে পড়া সবচেয়ে প্রান্তিক কিশোরী মেয়ে এবং যুবতী মহিলাদের (১৫-২৪ বছর) চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগগুলি চিহ্নিত করে, বাজারের সুযোগ, চাহিদা, পরিষেবা প্রদানকারী বা দক্ষতার সুযোগ অন্বেষণ করে দেশের সাতটি নির্বাচিত জেলা ভোলা, বরিশাল, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, গাজীপুর, শেরপুর ও জামালপুর জেলায় অল্টারনেটিভ লার্নিং প্রোগ্রাম (এএলপি) এর মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা থেকে ঝরে পড়া, দরিদ্র ও সুবিধা বঞ্চিত কিশোরী ও যুবতী (১৫-২৪ বছর) মেয়েদের দক্ষতা উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছি।
তিনি আরও বলেন, উপরন্তু, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে কিশোরী মেয়ে এবং যুবতী মহিলাদের জন্য কর্মসংস্থান বা বিকল্প শিক্ষার সুযোগ তৈরি করতে বিকল্প শিক্ষার পথ অনুসন্ধান করা। আমাদের প্রকল্পের উদ্দেশ্য শিরোনাম “Empowering the most disadvantaged adolescent girls and young women through eco system based Alternative Learning Programme (ALP) for market driven transferable skills“.
এই প্রকল্পের আওতায় কিশোরী ও যুবতী মেয়েদের দক্ষতা উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করা হবে। প্রশিক্ষণ শেষে কর্মসংস্থানের চুড়ান্ত লক্ষ্য নিশ্চিতকরণের জন্য ইএসডিও-এএলপি- ইউনিসেফ প্রোগ্রাম, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা থেকে ঝড়ে পড়া, দরিদ্র ও সুবিধা বঞ্চিত বেকার যুব নারীদের বিভিন্ন দক্ষতা উন্নয়ণমূলক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থান করবে, যাতে দরিদ্র ও অতিদরিদ্র পরিবারের এসব নারীদের বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা নির্দিষ্ট সময় পরপর চাকুরী মেলার আয়োজন করে থাকি যেখানে তারা তাদের দক্ষতা এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে একটা চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে পারে। এই (ALP) প্রোগ্রামে শিক্ষানবিশ প্রশিক্ষণ, উদ্যোক্তা উন্নয়ন এবং কেন্দ্র ভিত্তিক প্রশিক্ষণ নামে তিন মডেলে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
এসময় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের যাঁরা উপস্থিত ছিলেন, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ভোলা সদর উপজেলা প্রোগ্রাম অফিসার চামেলি বেগম, ভোলা সদর উপজেলা তথ্য অফিসার আফরিন হক, দৈনিক আজকের ভোলার স্টাফ রিপোর্টার আল আমিন, বাংলাবাজার টিটিসির ডিরেক্টর মিজানুর রহমান, ভোলা যমুনা ইলেকট্রনিকসের ব্রাঞ্চ পরিচালক পলাশ বারেল, মোহনা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্রতিনিধি তানভীর হাসান, আলম আর্টের সত্ত্বাধিকারী মো. আলম, মাসুম ডিজিটাল আর্টের পরিচালক মো. মাসুম, ইউনিটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চেয়ারম্যান মো. আলাউদ্দিনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১:৪৩:৫০ ১৩২ বার পঠিত