স্টাফ রিপোর্টার ॥
ভোলায় জমিজমা বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (১৭ই সেপ্টেম্বর) বেলা ২টার দিকে ভোলা সদর উপজেলার পৌর বাপ্তা ৩নং ওয়ার্ড গোরস্থান সড়ক হানিফ মিয়ার বাসার সামনে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্তরা হলেন, সুরমা বেগম (৪৫) স্বামী বাচ্চু মোল্লা, জোবায়েদ (২২) পিতা বাচ্চু মোল্লা ও সুরমার স্বামী বাচ্চু মোল্লা (৫৫)সহ অজ্ঞাত প্রায় ১৫/২০ জন। সকলের বাড়ী ভোলা পৌর বাপ্তা ৩নং ওয়ার্ড গোরস্থান সড়ক নামক এলাকায়।
আহতরা হলেন, তাসনুর বেগম (৫০) স্বামী মোহাম্মদ হানিফ ফরাজী ও মোহাম্মদ ইব্রাহীম (২০) পিতা হানিফ ফরাজী। তারা বর্তমানে ভোলা সদর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, সুরমা ও বাচ্চু গংদের সাথে দীর্ঘদিন জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে হানিফ ফরাজী গংদের সাথে। পূর্বে একাধিক মারামারি ও বিরোধপূর্ণ জমি দখল করাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের ভোলার আদালতে মামলাও চলমান রয়েছে। মোহম্মদ ইব্রাহীম বাসা থেকে দুই বস্তা পাউডার দুধ নিয়ে ভোলা বাসস্ট্যান্ড যাওয়ার পথে বাড়ীর সামনেই পূর্বের বিরোধের জেরে পূর্বে থেকেই ওঁৎ পেতে থাকা সুরমার ও তার ছেলে জোবায়েত, স্বামী বাচ্চু মোল্লাসহ অজ্ঞাত প্রায় ১৫/২০জন বহিরাগত সন্ত্রাসীরা মিলে এসএস পাইপ দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর ও ধারালো ছুরি দিয়ে মাথায় কোপ দেয়। এতে ইব্রাহীমের ডাক চিৎকারে মা তাসনুর বেগম এগিয়ে আসলে তাকেও হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ করে কোপ দেয়। পরে তাদের ডাকচিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে তাদের উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করেন। আহত হাসনুর বেগমের মাথায় ছুরির আঘাতে প্রায় ৭/৮টি সেলাই করতে হয়েছে। এছাড়া ইব্রাহীমের ডান হাতেও ৪/৫টি সেলাইসহ তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলাফুলা জখমের চিহৃ দেখা গেছে। পরে ইব্রাহীমের সাথে থাকা দুই বস্তা গুড়া দুধ (যার বাজার মূল্য প্রায় ১ লক্ষ টাকা) হামলাকারীরা নিয়ে যায়।
এছাড়াও অভিযুক্ত সুরমা বেগমের ছেলে জোবায়েদ গত ২০২২ সালে জেলা পরিষদ মাঠে ভোলা সদর মডেল থানার পুলিশের উপর হামলার এজাহার ভুক্ত আসামী বলে অভিযোগ উঠেছে। ভোলার কিশোর গ্যাং এর প্রধান হিসেবেও এলাকায় প্রভাব বিস্তার করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বর্তমান ঘটনায়ও তার গঠিত কিশোর গ্যাং সদস্যদের এই হামলায় ব্যবহার করার অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবার।
এবিষয়ে অভিযুক্ত সুরমা বেগম ও বাচ্চু মোল্লাহ গংদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তারা সাংবাদিক শুনে কেটে পরেন।
এ ব্যাপারে ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান পাটাওয়ারী বলেন, ঘটনা শুনেছি তবে এখনো কেউ অভিযোগ করেনি, অভিযোগ করা হলে তার আলোকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২:২৯:২৭ ৬৪ বার পঠিত