
স্টাফ রিপোর্টার ॥
ভোলায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালন করা হয়েছে। সোমবার (১৬ই সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পযর্ন্ত ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভোলার মিলনায়তনে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে হযরত মোহাম্মদ (সা.) এর জীবন, কর্ম ও শিক্ষার উপর আলোচনা সভা, ইসলামী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
শুরুতে ক্বিরাত, হামদ নাত, কবিতা আবৃত্তি ও রচনা প্রতিযোগীতায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ শেষে আলোচনা ও দোয়া মুনাজাতে ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভোলার উপ-পরিচালক আরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মঞ্জুর হোসেন, এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মাস্টার ট্রেইনার মুফতি রিয়াজ উদ্দিন কাশেমী, ফিল্ড অফিসার আলী আজগরসহ বিভিন্ন ইসলামিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রশিক্ষক ও ছাত্র/ছাত্রীসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে বক্তরা বলেন, হযরত মুহাম্মদ (সা.) পৃথিবীতে এসেছিলেন তাওহিদের মহান বাণী নিয়ে। প্রচার করেছেন শান্তির ধর্ম ইসলাম। তাঁর আবির্ভাব এবং ইসলামের শান্তির বাণীর প্রচার সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করে। সৌদি আরবের মক্কা নগরের বিখ্যাত কুরাইশ বংশে ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) জন্মগ্রহণ করেন। ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দের একই দিনে তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন।
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর বাবা আবদুল্লাহ ও মা আমিনা। জন্মের আগেই রাসুল (সা.) তাঁর বাবাকে হারান এবং ছয় বছর বয়সে তিনি মাতৃহারা হন। সমগ্র আরব জাহান যখন পৌত্তলিকতা ও অনাচারের অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল, সেই আইয়ামে জাহেলিয়ার যুগে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে সারা বিশ্বজগতের জন্য রহমতস্বরূপ পাঠিয়েছিলেন সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহ।

বিনয়, সহিষ্ণুতা, দয়া, সহমর্মিতাসহ সব মানবিক সৎগুণের সর্বোচ্চ বিকাশ ঘটেছিল হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর মধ্যে। শ্রেষ্ঠ মানবিক গুণাবলির অধিকারী হিসেবে তিনি ধর্ম-বর্ণ-সম্প্রদায় নির্বিশেষে সর্বকালে সর্বজনস্বীকৃত।
পরে, বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ শেষে ভোলা সদর উপজেলার মডেল মসজিদের খতিব মাওলানা ইব্রাহীম রুহি দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২:২৩:২৭ ১৭০ বার পঠিত