সাইয়েদুস শাবাব: ঈমাম হোসাইন (রা:) এর শাহাদাতের তাৎপর্য ও শিক্ষা

প্রচ্ছদ » ইসলাম » সাইয়েদুস শাবাব: ঈমাম হোসাইন (রা:) এর শাহাদাতের তাৎপর্য ও শিক্ষা
বুধবার, ১৭ জুলাই ২০২৪



---

 

: মুহাম্মদ শওকাত হোসেন :

১০ মহররম, পবিত্র আশুরা। বিশ্ব ইতিহাসে স্মরণীয় ও তাৎপর্যমন্ডিত দিবস। মহানবী (সঃ) এর পূর্বেও এদিনে বিভিন্ন নবী (আঃ) দের জামানায় অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে। তবে সকল ঘটনার শ্রেষ্ঠ ঘটনা, মানবতার ইতিহাসে জঘন্যতম নির্মম নিষ্ঠুর ঘটনা ঘঠেছে ৬১ হিজরীর ১০ মহররমে ইরাকের কারবালা প্রান্তরে। মহানবী সঃ এর কলিজার টুকরা আহলে বাইতের প্রজ্জলিত দীপশিখা ইমাম হোসাইন ইবনে আলী (রা:) (বেহেশতে যুবকদের নেতা) এদিনে ইয়াজিদের লেলিয়ে দেয়া হানাদার বাহিনীর হাতে নির্মম- নৃশংসভাবে শহীদ হয়েছেন। এ সাহাদাতের ঘটনা বিশ্বব্যাপী সকল তৌহিদবাদী মুসলমানদের হৃদয়কে বিদীর্ন করেছে। দ্বীন ইসলামের মশালকে আরো আলোকোজ্জল করেছে। কিয়ামত পর্যন্ত সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে চিরন্তন প্রেরনা যোগাচ্ছে। তাই ইসলামী আন্দোলনের সেরা শহীদ শহীদে কারবালার ঘটনা সমূহ জানার সঙ্গেঁ সঙ্গেঁ এর প্রকৃত শিক্ষা ও তাৎপর্যকে উপলব্ধি করা ও বাস্তবে মেনে চলা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য।

ইসলামী আন্দোলনের ইতিহাসের পহেলা শহীদ শহীদে কারবালাকে মুল্যায়ন করতে হলে আমাদেরকে একটু পেছনে যেতে হবে। নিছক রাষ্ট্র ক্ষমতাকে নিস্কন্ঠক করার লক্ষে ইয়াজিদ কুফার গর্ভনর ইবনে জিয়াদকে দিয়ে হযরত হুসাইন (রা:) স-পরিবারে হত্যা করেছে, শুধু এটুকু ভাবলে ঘটনার অবমুল্যায়ন হবে। মুলৎ কারবালার নির্মম নৃশংস হত্যাকান্ডের মধ্যে রয়েছে ইসলামী আদর্শ ও ইসলাম ধর্মের এক ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ তাৎপর্যময় ঘটনা। কারবালার শহীদদের প্রবাহিত রক্তের সঙ্গেঁ ইসলামী আদর্শের যে জ্যোতিময় আলোক বর্তিকা অনাগত কালের জন্য বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে সেই আলোকোজ্জল পথে বিশ্ব মুসলিম পথ চলার চীরপ্রেরনা লাভ করবে। তাই পবিত্র আশুরাকে অনুবাধন এবং মুল্যায়নের ক্ষেত্রে আমাদেরকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে।

হযরত আলী (রা:) এর খিলাফতের সময়েই আমীর মোয়াবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান নানা অজুহাতে খলিফার আনুগত্য না করে দামেস্ক ভিত্তিক আলাদা রাজতন্ত্রের বীজ বপন করেন। একক ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থা এবং মুসলিম ঐক্যে এখান থেকেই ভাংগন শুরু হয়। বিচ্ছিন্নতাবাদী উগ্র খারেজীদের হাতে হযরত আলী (রা:) এর সাহাদাতের সুযোগে কুটকৌশলে তিনি খিলাফতের উত্তরাধীকার হযরত হাসান (রা:) এর সঙ্গেঁ একটি চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে নিজের পথ নিস্কন্ঠক করেন। সুযোগ পেয়ে চুক্তি ভঙ্গ করে তিনি পুত্র ইয়াজিদকে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করার জন্য সকল ব্যবস্থা পাঁকা পোখতো করেন। এবং নিজের জীবদ্দশায়-ই চুক্তিমাফিক খেলাফতের উত্তরাধীকারী হযরত হোসাইন (রা:) কে বঞ্চিত করে ফাসেক-ফোজ্জার দুষ্ট-দুরাচার ইয়াজিদকে খলিফার আসনে বসিয়ে সকলের কাছ থেকে ‘বাইয়াত’ আনুগত্য অর্জনের প্রানান্তকর চেষ্টা চালান। এক্ষেত্রে হুজুর (সা:) এর দৌহিত্র নবী বংশের যোগ্য উত্তরাধীকারী ইমাম হোসাইন (রাঃ) সহ বেশ কিছু প্রভাবশালী সাহাবা ও ব্যাক্তিত্ব ইয়াজিদের আনুগত্য গ্রহণে অসম্মতি জানান। আমীর মোয়াবিয়ার জীবদ্দশায় তিনি তাঁর কু-পুত্র ইয়াজিদকে উত্তরাধীকারী মনোনীত করে ছলে বলে কলে কৌশলে নানাভাবে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করেন। সুযোগ সুবিধা ও ক্ষমতার প্রলোভনে কোথাও কোথাও কিছুটা সফল হলেও মক্কা মদীনায় সফল হন নি। হযরত ইমাম হোসাইন (রা:) ছাড়াও আবদুরøাহ ইবনে ওমর, আবদুল্লাহ ইবনে যুবাইর, আবদুর রহমান ইবনে আবু বকর সহ নেতৃস্থানীয় সাহাবী ও ব্যক্তিত্বগন ইয়াজিদকে ক্ষমতাসীন করার তীব্র বিরোধীতা করেন।

আমীর মোয়াবিয়ার মৃত্যুর পরে ইয়াজিদ এদের বাইয়াত (আনুগত্য) অর্জনের জন্য বেপরোয়া হয়ে উঠে। মদীনার গর্ভনর অলিদ ইবনে উৎবাকে এ ব্যাপারে কড়া চিঠির মাধ্যমে নির্দেশ দেয়। ওয়ালিদ হযরত হোসাইন (রাঃ)কে ডেকে এনে ইয়াজিদের চিঠি শুনিয়ে বাইয়াতের জন্য অনুরোধ জানান। হযরত হোসাইন (রাঃ) এর সঙ্গেঁ ছিল হাশেমী বংশের ১৯জন শক্তিশালী যুবক। তিনি ঘৃনাভরে ইয়াজিদের আনুগত্যের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে বীরদর্পে চলে যান। ওখানে অবস্থানকারী মোয়াবিয়ার ঘনিষ্ঠজন মারোয়ান হোসাইন (রা:)কে গ্রেফতার এবং প্রয়োজনে হত্যার জন্য ওয়ালিদকে পরামর্শ দেন। কিন্তু ওয়ালিদ তা প্রত্যাখ্যান করে চুপকরে ছিলেন।

অনেকে হযরত হোসাইন (রাঃ) এর কুফা গমনকে অদুরদর্শী ও হঠকারী সিদ্ধান্ত বলে সমালোচনা করেন। আসলে মোটেই তা সত্য নয়। ইমাম সবদিক চিন্তা ভাবনা করে তার পরিষদের সঙ্গেঁ পরামর্শ করেই এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। ইয়াজিদ হযরত হোসাইন (রা:)কে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছিল। এ সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য ইমামের নিকট ছিল। হজ্বের সময় আরাফার ময়দানে তাকে হত্যার জন্য গুপ্ত ঘাতক নিয়োগ করেছিল। তাই হজ্বের আগের দিন ৮ জিলহজ্ব ইমাম মক্কা ত্যাগ করে কুফার উদ্দেশ্যে রওনা হন। অন্যদিকে খেলাফতের আমল থেকে কুফা ছিল সামরিক ও বানিজ্য নগরী। তাই এখানেই হযরত আলী (রা:) রাজধানী স্থাপন করেছিলেন। কুফাবাসী বারবার প্রনিনিধি ও পত্র পাঠিয়ে ইমামকে কুফায় আসার আমন্ত্রন জানিয়েছিল। ইমাম তাঁর চাচাত ভাই মুসলিম বিন আকিলকে সরেজমিনে দেখার জন্য কুফায় পাঠিয়েছিলেন। মুসলিম বিন আকিল ১৪ হাজার সৈন্য ইমামের হয়ে ইয়াজিদের সঙ্গেঁ যুদ্ধের জন্য সংগ্রহ করেছিলেন। কুফাবাসী গণভাবে ইমামকে সমর্থন দিয়ে তাঁর আগমনের অপেক্ষায় ছিল। এমতাবস্থায় ইয়াজিদ নোমান বিন বশিরকে বাদ দিয়ে ইবনে জিয়াদকে কুফার গর্ভনর করে পাঠালে তাঁর নৃশংসতা, হত্যা, সন্ত্রাসের ফলে কুফাবাসী ভয়ে চুপসে যায়। পরিস্থিতি পাল্টে যায়। মুসলিম বিন আকিল বন্দী হন এবং শাহাদাত বরণ করেন।

অন্যদিকে ইতোমধ্যেই ইমাম ৮ জিলহজ্ব কুফা অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন। প্রবীন সাহাবাগণ তাকে বারণ করেছিল ঠিকই কিন্তু ইমাম সবকিছু ভেবে তাঁর সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন। কারণ এ প্রেক্ষাপটে এর বিকল্প একটাই ছিল ইয়াজিদের কাছে বাইয়াত হওয়া। ইমাম তাঁর চেয়ে সবকিছু জেনে বুঝে সাহাদাতের রাস্তায় অগ্রসর হলেন। নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও ঈমান ও আদর্শের উপর অটল থেকে চরম ত্যাগের পথ বেছে নিলেন।

ইমাম হোসাইন (রাঃ) এর কুফা গমনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেম মুফতী মোহাম্মদ শফি (র:) বলেছেন, ইমামের উদ্দেশ্য ছিল ঃ

১। কুরআন সুন্নাহর আইন যথাযথভাবে প্রচলিত করা।

২। পুনরায় ইসলামের ইনসাফ কায়েম করা।

৩। ইসলামে নবুয়ত পদ্ধতির খেলাফতের স্থলে রাজতন্ত্র ও স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বিদায়াত ঠেকানোর জন্য একাধারে জ্বিহাদ পরিচালনা অব্যাহত রাখা।

৪। ন্যায়ের মোকাবিলায় অর্থ শক্তির প্রদর্শনী দেখে ভীত না হওয়ায়।

৫। ন্যায়ের সংগ্রামে নিজের জানমাল সন্তানাদী সবকিছু ক্রুবান করে দেওয়া।

৬। ভয়ভীতি ও বিপদে বিচলিত না হওয়া। আর সকল অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করা এবং একমাত্র তাঁর প্রতি ভরসা রাখা।

সবশেষে সর্বাবস্থায় আল্লাহ তায়ালার শোকর গোজারী করা। এক কথায় হযরত হোসাইন (রা:) মহানবী (স:) এর রেখে যাওয়া ‘দ্বীন’ উমাইয়াদের হাতে পরে যে ক্ষতিগ্রস্থ ও বিকৃতির শিকার হয়েছিল তার থেকে উদ্ধারের লক্ষে তার সংস্কার আন্দোলন শুরু করেছিলেন। ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা আর অন্যায়ের প্রতিরোধই ছিল তাঁর মূল লক্ষ্য। সত্য পথের সিপাহাসালার হিসেবে নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও সামান্য পিছপা হননি তার মিশন থেকে।

মুসলিম বিন আকিলের হত্যাকান্ডের মতো কঠিন শোক সংবাদ শুনেও তিনি তার লক্ষ পথে অবিচল ছিলেন। তিনি তার সঙ্গী সাথীদেরকে তাঁর সঙ্গঁ ত্যাগ করে চলে যাওয়ার জন্য অনেককে বাধ্য করেছেন। মক্কা থেকে বের হওয়ার প্রাক্কালে তার ভাই মোহাম্মদ ইবনে হানিফার কাছে যে পত্র লিখে গেছেন তাতেই তার লক্ষ উদ্দেশ্য বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দিয়েছেন।

একই ভাবে তিনি তাঁর কুফা গমনের প্রেক্ষাপট উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য সব কিছুই বিবৃত করেছেন ইবনে আব্বাস, ইবনে ওমর, আবদুর রহমান ইবনে আবু বকর, কবি ফারাজদাক সহ অনেকের নিকট।

কারবালার যুদ্ধে মূলৎ ইবনে জেয়াদের নেতৃতে ইয়াজেদী রাষ্ট্র শক্তি ১জন মহান ব্যাক্তিকে তাঁর পরিবার সহ নির্মূল করার প্রয়াস চালিয়েছেন। সেখানে একে একে যুদ্ধ করে ঐ পরিবারের প্রায় সকল পুরুষ অনেক শত্রু সেনাকে নিহত করে প্রাণ বিষর্জন দিয়ে শহীদের কাফেলায় শরিক হয়েছেন। মুল টার্গেট হযরত হোসাইন (রা:) নিজেও একইভাবে ধৈর্য্য ও ইমানের উপর অবিচল থেকে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে যুদ্ধ করে শাহাদাতের পেয়ালা পান করেছেন। যুদ্ধের নিশ্চিত পরিনাম জেনেই তিনি তাঁর গোটা কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। বারতি প্রাণহানী এড়ানোর জন্য যে ভক্তরা তার জন্য জীবন দিতে এসেছিলেন তাদের অনেককে জোড় করে চলে যেতে বাধ্য করেছেন। অন্যদিকে তাঁর পক্ষে কুফার কয়েক হাজার যোদ্ধা প্রাণ ভয়ে আত্মগোপন করেছে। এ অবস্থায়ও ইমানের উন্মেষ ঘটার কারনে ইবনে জেয়াদের অশ্বারোহী বাহিনীর প্রধান ‘হুর’ সপক্ষ ত্যাগ করে হযরত হোসাইন (রা:) এর পক্ষে এসে যুদ্ধ করতে করতে শহীদ হয়েছেন। অথচ এই হুরের নেতৃত্বেই হযরত হোসাইন রাঃ এর পথ রোধ করে কারবালায় তার তাবু খাটাতে বাধ্য করা হয়েছিল। এসব প্রতিটি ঘটনার মধ্যেই রয়েছে আদর্শ পিয়াসী মুমীনের জন্য বিশেষ শিক্ষা।

মহান আল্লাহ তায়ালা যুগে যুগে নবী (্আঃ)দের পাঠিয়ে মহা সত্যের বাস্তবায়নের জন্য যে নবুয়তী ধারা সৃষ্টি করেছিল, মহানবী (স:) এর মাধ্যমে তাঁর সমাপ্তি ঘটে। কিন্তু নবুয়তী ধারায় কার্যক্রম মানব জাতীর মধ্যে বহমান রাখার জন্যই মহানবী (স:) এর অতি আদরের দৌহিত্র ইমাম হোসাইন (রা:) দ্বীন ইসলাম প্রতিষ্ঠার মিশন নিয়ে অগ্রসর হয়েছেন। দুষ্ট-দুরাচার ইয়াজিদের উপর ভর করা তাগুতী শক্তির কাছে তিনি মাথা নত করেন নি। ইয়াজিদের প্রস্তাবিত গভর্নরের পদ ঘৃনাভরে প্রত্যাখ্যান করে শাহাদাতের পথকে গ্রহণ করেছেন। দ্বীনকে রাহু গ্রাসের হাত থেকে রক্ষার সংগ্রামে নিজের পরিবার পরিজন সহ শাহাদাতের কাওসার পান করেছেন। আপাত দৃষ্টিতে খোদাদ্রোহী ইয়াজেদী শক্তির উপর বিজয়ী হতে না পারলেও চুড়ান্তভাবে তিনিই কমিয়াব হয়েছেন। পৃথীবির সকল দেশে সকল ঈমানদার মুসলমানরা তাকে দৃষ্টান্ত হিসেবে গ্রহণ করে সত্যের পথে সংগ্রামের অনুপ্রেরনা পাচ্ছে।

সাহাদাত বা শহীদ শব্দটি পবিত্র কোরআনের পরিভাষা। যার বাংলা অর্থ হচ্ছে সাক্ষ্য। মুলত ইসলামী আদর্শ প্রচার ও প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে যারা প্রান বিষর্জন দেবে তারাই শহীদ। সে অর্থে হযরত ইমাম হোসাইন রা: হচ্ছেন প্রকৃত পক্ষেই বিশ্বের সকল সত্য প্রতিষ্ঠার সংগ্রামীদের জন্য চীরন্তন সাক্ষী। দ্বীন কায়েমের সংগ্রামে সকল সময়ে, সকল দেশে তিনি প্রেরনা হয়ে কাজ করছেন। জালিম শাসকের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করা, ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা এবং অন্যায়ের উচ্ছেদের সংগ্রামে নিয়োজিত হতে তিনিই হচ্ছেন সত্যিকার আদর্শ। তাঁর সাহাদাতের মধ্যে রয়েছে ইমানের সঙ্গেঁ আধ্যাতিœকতার অপূর্ব সমন্বয়। ঈমানের জোড়ে আধ্যাত্মিকতার এমন স্তরে তিনি উঠেছেন যে, প্রান বিষর্জন সেখানে কোন বিষয়ই নয়।

তাই আজকের দিনেও যারা ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা ও অন্যায়ের উচ্ছেদ চায়। ঈমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আধ্যাত্মিকতার উচু স্তরে উঠতে চায়, তাদের অবশ্যই ইমাম হোসাইন (রা:) এর জীবন কে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। মহানবী (সঃ) এর ওফাতের মাত্র অর্ধশত বছরের ব্যবধানে ইসলামের খুটিতে যে ঘুনে ধরেছিল তার মুক্ত করার জন্য ইমাম হোসেন (রা:) কে জীবন দিতে হয়েছে। আজ দেড় হাজার বছরের ব্যবধানে ইসলামের মধ্যে অনেক বড় বড় ঘুনপোকা বাসা বেঁধেছে। এদের কবল থেকে সত্য দিনকে বাঁচাতে হলে, মহানবী (স:) এর রেখে যাওয়া দ্বীনের পুন মর্যাদা ফিরিয়ে আনতে হলে আজকের হোসাইনদেরকেও ইমাম হোসাইন (রা:) এর মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে এগুতে হবে। সকল লোভ প্রলোভন থেকে মুক্ত হয়ে আধ্যাত্মিকতার শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আদর্শের প্রতি অবিচল থেকে প্রয়োজনে জীবন সম্পদ সবকিছু বিলিয়ে দিতে হবে। মহান আশুরার এটাই প্রকৃত শিক্ষা।

##

লেখক: মুহাম্মদ শওকাত হোসেন

সম্পাদক ও প্রকাশক

দৈনিক আজকের ভোলা।

নায়েবে আমির

ইসলামী ঐক্য আন্দোলন

কেন্দ্রীয় কমিটি

বাংলাদেশ সময়: ১৬:১২:২৬   ১০৫ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ইসলাম’র আরও খবর


ভোলায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সা. পালিত
বোরহানউদ্দিনে ঈদে-ই-মিলাদুন্নাবী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল
ভোলার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ ভোলা সরকারি কলেজে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালিত
দীর্ঘ ১৬ বছর পর কাচিয়া ইউনিয়নে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের কমিটি গঠন
পবিত্র ঈদে মিলান্নবী (স.) গুরুত্ব ও তাৎপর্য
পশ্চিম ইলিশায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গণ-সমাবেশ অনুষ্ঠিত
ভোলায় জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
ভোলায় ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সরকারি কলেজ কমিটি গঠন ও ট্রাফিকের দায়িত্ব পালনকারীদের সম্মাননা প্রদান
ইলিশায় ইসলামী আন্দোল বাংলাদেশের আঞ্চলিক ও ইউনিয়ন কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন
বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ভোলার বিভিন্ন মসজিদে দোয়া মাহফিল



আর্কাইভ