লালমোহন প্রতিনিধি ॥
নানা পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ ডিম। তাই কমবেশি ডিমের কদর রয়েছে সবার কাছেই। মানুষের চাহিদার কথা ভেবে ডিম বিক্রি করেন অনেকে। এদের মধ্যে একজন ভোলার লালমোহন উপজেলার তরুণ মো. হারুন। বিগত সাত বছর ধরে লালমোহন পৌরশহরের মুক্তিযোদ্ধা অ্যাভিনিউর প্রবেশদ্বারের ফুটপাতে বসে বিক্রি করছেন সেদ্ধ ডিম। এই ডিম বিক্রিতে জোগাড় হচ্ছে তার জীবিকা। তিনি পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের মো. ছাদেকের ছেলে।
ডিম বিক্রেতা মো. হারুন বলেন, সাত বছর ধরে ডিম সেদ্ধ করে বিক্রি করছি। প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত লালমোহন পৌরশহরের মুক্তিযোদ্ধা অ্যাভিনিউর প্রবেশদ্বারের ফুটপাতে বসে এ ডিম বিক্রি করি। আমার কাছে রয়েছে হাঁস ও কোয়েল পাখির ডিম। প্রতি পিস হাঁসের ডিমের দাম এখন ২৫ টাকা, আর কোয়েলের ডিম পাঁচ টাকা প্রতি পিস। প্রতিদিন হাঁস ও কোয়েলের অন্তত ৫০০ ডিম সেদ্ধ করে বিক্রি করি। বিভিন্ন চরাঞ্চল থেকে ডিমগুলো সংগ্রহ করি।
তিনি আরো বলেন, স্টোবের আগুনে ডিম সেদ্ধ করি। এসব ডিম বিক্রিতে রয়েছে নানান ধরনের খরচ। যার মধ্যে- লবণ, পেপার, বাজারের খাজনা, বিদ্যুৎ ও কেরোসিনের টাকা। সব খরচ বাদে দৈনিক ৫০০ ডিম বিক্রি করলে ৮০০ টাকা থেকে এক হাজার টাকার মতো লাভ হয়। এই লাভের টাকায় মা-বাবাকে নিয়ে সংসার চালাই। এই সেদ্ধ ডিম বিক্রি করে যা লাভ হয় তা দিয়ে মোটামুটি ভালোভাবেই চলতে পারছি।
সেদ্ধ ডিম খেতে আসা মো. হেলাল বলেন, বাজারে আসলে এখান থেকে ডিম কিনে খাই। সন্ধ্যার পরে এই সিদ্ধ ডিম বিক্রেতার দোকানে অনেক ভিড় থাকে।
আরেক ক্রেতা মো. আকাশ বলেন, প্রায়ই এখান থেকে সেদ্ধ ডিম কিনে খাই। মাঝে মধ্যে হাঁসের ডিম, আবার কখনো কোয়েল পাখির ডিম খাই। মূলত স্বাস্থ্যের উপকারিতার কথা বিবেচনা করেই নিয়ম করে ডিম খাওয়ার চেষ্টা করি।
মো. জাহিদ নামের এক ক্রেতা বলেন, মো. হারুন নামের এই ডিম বিক্রেতার বয়স কম হলেও তিনি ব্যবসা করছেন। অথচ তার বয়সের অনেকে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক অপরাধের সঙ্গে জড়িত। আমি ব্যক্তিগতভাবে এই তরুণ ডিম বিক্রেতার কাজকে সাধুবাদ জানাই। বেকার না থেকে সবারই উচিত যার যার স্থান থেকে নিজের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। যার ফলে আমাদের সমাজ থেকে বেকারত্ব রোধ পাবে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৫৫:১৩ ২২৮ বার পঠিত