
স্টাফ রিপোর্টার ॥
ভোলার রাজাপুরে পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে টুটুল (৩২) নামের এক যুবককে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার (২৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ড ভাঙ্গা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত টুটুল রাজাপুর ইউনিয়নের রহমান চোকদারের ছেলে। এ ঘটনায় প্রতিপক্ষ ফারুককে দায়ী করেছে নিহতের পরিবার।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত টুলু ও অভিযুক্ত ফারুক রাজাপুর ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ডের মেদুয়া সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাস করে। পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) রাতে টুটুল ও ফারুকের স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এর সূত্র ধরে ২৫ নভেম্বর ভোরে টুটুল ও ফারুকের মধ্যে আরেক দফা ঝগড়া হয়। এ নিয়ে টুটুল স্থানীয় মেম্বার ইমাম হোসেনের কাছে বিচার দিলে সে মিমাংসা করে দেয়ার আশ্বাস দেয়। পরে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে স্থানীয়রা ভাঙ্গা ব্রীজ সংলগ্ন টুটুলকে ছুরিকাঘাত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে ইলিশা তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে টুটুলের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রর উপপরিদর্শক (এসআই) মো. গোলাম মোস্তফা সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ ঘটনায় এলাকার মেম্বার ইমাম হোসেন জানায়, সকাল ৭টার দিকে তিনি জনতা বাজারে গেলে টুটুল তাকে পারিবারিক বিরোধ ও ঝগড়া বিবাদ সম্পর্কে অবহিত করলে সে মিমাংসা করে দেয়ার আশ্বাস দেয়। পরে সাড়ে ৭টার দিকে স্থানীয় লোকজন টুটুলের ছুরিকাঘাতের ঘটনা যানায়।
ঘটনা সম্পর্কে এসআই গোলাম মোস্তফা জানান, তাৎক্ষণিকভাবে জানা গেছে, টুলু ও ফারুক মেদুয়া সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাস করে। শুক্রবার টুলু ও ফারুকের মধ্যে ঝগড়াঝাটি হয়েছে। তাদের মধ্যে পারিবারিক বিরোধ রয়েছে। ওই বিরোধের জেরধরে ফারুক ছুরিকাঘাতে টুলুকে হত্যা করেছে। ঘটনার পর ফারুক পালিয়ে গেছে। পুলিশ রক্তাক্ত ছুরি জব্দ করেছে। টুটুলের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ভোলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. মামুন অর রশিদ জানান, ঘটনার পর থেকে পুলিশ অভিযুক্ত ফারুককে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। এ ঘটনায় শুধু ফারুকই জড়িত নাকি অন্য কেউ আছে তা তদন্ত করে বের করা হবে। পুলিশ তদন্ত করে এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নিবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮:৪১:১১ ৪০৬ বার পঠিত