
স্টাফ রিপোর্টার ॥
আমাদের দেশে বহুবিদ কারনে প্রতিন্ধী শিশুর জন্ম হয়। কিন্তু প্রতিবন্ধীতা কোন পাপ বা অপরাধ নয় বরং পিতা-মাতার নানাবিদ সমস্যার কারনেই একটি শিশু প্রতিবন্ধী হয়ে জন্মগ্রহণ করে। তাই সমাজের মানুষের মধ্যে প্রতিবন্ধী শিশুদের নিয়ে যেসব কুসংস্কার বা প্রতিবন্ধকতা প্রচলিত আছে সেসব দুর করে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সমাজের মূল ধারায় সম্পৃক্ত করার জন্য বর্তমান সরকারের নেয়া বহু পদক্ষেপের পাশাপাসি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাও প্রতিবন্ধীদের জীবনমান উন্নয়নে সারা দেশে কাজ করছে। তারই অংশ হিসেবে ভোলা সদর উপজেলার প্রতিবন্ধীদের জন্য ওখচডউঠউ নামে একটি প্রকল্প শুরু করেছে প্রতিবন্ধী কমিউনিটি সেন্টার (পিসিসি)। সোমবার(২০ নভেম্বর) বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলায় স্থাপিত বেসরকারি সংস্থাটি তাদের প্রকল্প সম্পর্কে ভোলার জনগনকে অবহিতকরণ করার লক্ষে ভোলায় সদর উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন সরকারি দপ্তর প্রধানদের নিয়ে এক কর্মশালার আয়োজন করে। পিসিসি’র ভোলা শাখার প্রজেক্ট ম্যানেজার চিন্ময়ী তালুকদার এর সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তৌহিদুল ইসলাম। কর্শশালার শুরুতে প্রধান অতিথি সহ উপস্থিত সকল সরকারি অফিসার ও সাংবাদিকদের সামনে স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে প্রকল্পটির সার্বিক দিক তুলে ধরারর মাধ্যমে ব্যবস্থাপক চিন্ময়ী বলেন, “ভোলায় পিসিসি’র কার্যক্রম ২০১৯ সাল থেকে শুরু হলেও মুলত ২০২১-থেকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত ৯ বছরের একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে প্রতিবন্ধী কমিউনিটি সেন্টার”। ডিসেবিলিটি রাইটস এডভোকেসি প্ল্যাটফর্ম(ড্রাপ) সদস্যদের দ্বারা সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাদের নিয়ে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউএনও বলেন, “সমাজের পিছিয়ে পরা প্রতিবন্ধীদের নিয়ে পিসিসি যে কার্যক্রম শুরু করেছে তা একটি মহৎ ও প্রশংসিত উদ্যোগ। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ভোলা সদর উপজেলার সকল প্রদতিবন্ধী ব্যক্তির জীবন মান পরিবর্তন হবে। তাই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সদর উপজেলা প্রশাসনেরর পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সকল সহযোগিতা করা হবে”।
উল্লেখ্য ইতি মধ্যে ভোলা সদর উপজেলাধিন কাচিয়া ইউনিয়নের ১৬০জন প্রতিবন্ধীদের বিভিন্ন সুবিধাসহ ফিজিকাল থেরাপী দেয়া হচ্ছে এবং ঐ এলাকায় ২৬০জন প্রতিবন্ধীকে সুবিধা দেয়ার লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে বলেন চিন্ময়ী। ম্যানেজার আরো বলেন, মাঝের চর,কাঠির মাথা, ইলিশাসহ ৩টি কেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে প্রতিবন্ধীদের সপ্তাহে একদিন করে আমাদের থেরাফিস্ট থেরাপী দিচ্ছে। অন্যদিকে এই পকল্পের আওতায় ইতিমধ্যে ১০জন প্রতিবন্ধীকে ১টি করে গরু, সেলাই মেশিনসহ বিভিন্ন উন্নয়নমুলক সামগ্রী বিনামুল্যে প্রধান করা হয়েছে বলেন ম্যানেজার চিন্ময়ী।
তিনি বলেন, ১২টি স্বাস্থ্য সহায়তা গ্রুপ ও ৫টি চাইল্ড ক্লাবসহ বিভিন্ন পদ্বতির মাধ্যমে ভোলা সদরের প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নে কাজ করছে পিসিসি”। শুধু কি কাচিয়া ইউনিয়নেই আপনাদের কাজ সীমাবদ্ধ কিনা প্রধান অতিথির এমন প্রশ্নের জবাবে, “ম্যানেজার বলেন, “পর্যায়ক্রমে সদর উপজেলার সকল ইউনিয়নের প্রতিবন্ধীদের জন্য আমাদের সংস্থা কাজ করবে”। ট্রান্সকম এইড ইন্টারন্যাশনাল (টাই) এর আর্থীক সহায়তায় পরিচালিত প্রকল্প সম্পর্কিত কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন সহকারী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ সাদ করিম, সমাজসেবা অফিসার মোঃ দেলোয়ার হোসেন, সাংবাদিক এ.সি.ডি.অর্জুন ও ভোলা জেলা ইমাম সমিতির সভাপতি মাওঃ বেলায়েত হোসেন এবং নারী-পুরুষ দুজন উপকার ভোগি প্রতিবন্ধী ব্যক্তি।
কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে অংশগ্রহণ করেন সহকারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ সিরাজুল ইসলাম শোহান, মহিলা ও শিশু বিষয়ক অফিসার চামেলী বেগম, ত্রান কর্মকর্তার প্রতিনিধি আব্দুর রাজ্জাক, সাংবাদিক হাসনাইন আহমেদ মুন্না, সাজেদা ফাউন্ডেশনের প্রজেক্ট ম্যানেজার মোঃ লিটন হোসেন, সুশীলন এর কর্মকর্তা মোঃ তানজিল হোসেন ও বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক এবং সদস্য প্রতিবন্ধী ব্যক্তিগণ সহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
বাংলাদেশ সময়: ০:০৫:৩৫ ৬৪ বার পঠিত