
স্টাফ রিপোর্টার ॥
জেলায় মিধিলির প্রভাবে সৃষ্ট ঝড়ের তান্ডবে দুই শতাধিক কাঁচাঘর স¤পূর্ণ ও আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র প্রভাবে ভোলার দুই উপজেলায় তিনটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় একজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে ভোলার তজুমদ্দিন ও মনপুরা উপজেলার মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ জেলের নাম বাদশা মিয়া (৪৫)। তিনি তজুমদ্দিন উপজেলার মলংচড়া ইউনিয়নের মজিবল হকের ছেলে।
ট্রলারের মাঝি শফিক মাঝি ও স্থানীয় জেলেরা জানান, শফিক মাঝির নেতৃত্বে চারজন জেলে মেঘনা নদীতে মাছ শিকার করছিলেন। দুপুরের দিকে প্রচ- বাতাস ও বৃষ্টি শুরু হলে তারা ট্রলার চালিয়ে মলংচড়া ঘাটে ফিরছিলেন। ওইসময় প্রচ- স্রোতের মুখে পড়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। পরে জেলেরা চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করলে স্থানীয় জেলেরা ছুটে এসে তিনজনকে জীবিত উদ্ধার করেন। তবে বাদশা মিয়াকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
নিখোঁজ জেলেকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলে জানান কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ।
অন্যদিকে বিকেলের দিকে মনপুরা উপজেলার চর সামছুদ্দিন এলাকার চর সংলগ্ন মেঘনা নদীতে একটি নৌঙর করা ট্রলার ডুবে যায়। ওই ট্রলারটিকে উদ্ধার করতে আরেকটি ট্রলার নিয়ে যান দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের মিরাজ মাঝি, রাজিব মাঝি ও লতিফ মাঝি। তবে প্রচ- স্রোতে তাদের ট্রলারটিও ডুবে যায়। এতে তারা নদীতে প্রায় এক ঘণ্টা ভাসমান থাকেন। পরে স্থানীয় জেলেরা তাদের সবাইকে জীবিত উদ্ধার করেন।
মনপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, উদ্ধার হওয়া তিন জেলে মনপুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেকসে চিকিৎসাধীন।
চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নওরীন হক জানান, ঝড়ের কবলে পড়ে ঢালচর এলাকায় ১৯টি কাঁচাঘর স¤পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন ইউনিয়নে আরও ২০০ ঘর আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে।
ভোলার জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান বলেন, ঝড়ে কিছু কিছু স্থানে ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে, সেগুলোর তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তদের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা দেওয়া হবে।
এদিকে শঙ্কা কেটে যাওয়ার পর স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে ভোলার উপকূল।
বাংলাদেশ সময়: ১:০৪:১৫ ১৪১ বার পঠিত