ক্যাডার বৈষম্য নিরসনসহ ৭ দাবিতে ভোলায় বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারদের দিনব্যাপী কর্মবিরতি

প্রচ্ছদ » জেলা » ক্যাডার বৈষম্য নিরসনসহ ৭ দাবিতে ভোলায় বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারদের দিনব্যাপী কর্মবিরতি
মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর ২০২৩



---

ইমতিয়াজুর রহমান ॥

ক্যাডার ক¤েপাজিশন সুরক্ষা, পদোন্নতি, পদসৃজন, স্কেল আপগ্রেডেশন, আন্ত:ক্যাডার বৈষম্য নিরসন ও পেশাভিত্তিক মন্ত্রানালয় চালুসহ মোট ৭ দফা দাবি আদায়ের লক্ষে কর্মবিরতী পালন করছে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের শিক্ষকরা।

সোমবার (২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির উদ্যোগে ভোলা সরকারি কলেজ, ও সরকারি শেখ ফজিলাতুন্নেছা মহিলা কলেজসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার সরকারি কলেজে এই কর্মবিরতি পালন করা হয়। এতে করে শিক্ষাঙ্গনে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ছিল।

কর্মবিরতির এই অবস্থান কর্মসূচি বিকেল ৪টা পর্যন্ত অব্যহত ছিলো। এসময় সরকারি কলেজের শিক্ষকরা ক্যাডার বৈষম্যের নিরসন চেয়ে ৭টি দাবি তুলে ধরেন।

দাবিগুলোর হলো, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক আন্ত:ক্যাডার বৈষম্য নিরসন, সুপার নিউমারারি পদে পদোন্নতি, অধ্যাপক পদ তৃতীয় গ্রেডে উন্নীতকরণ, অর্জিত ছুটি প্রদান এবং ক্যাডার কম্পোজিশনের সুরক্ষা, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের নিয়োগবিধি বাতিল, শিক্ষা ক্যাডার তফসিলভুক্ত পদ থেকে শিক্ষা ক্যাডার বহির্ভূতদের প্রত্যাহার ও প্রয়োজনীয় পদসৃজন।

এসময় বক্তব্য রাখেন, বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সভাপতি ও ভোলা সরকারি কলেজ এর অধ্যপক প্রফেসর আবদুল গফুর, ভোলা সরকারি কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক মোহাম্মদ উল্লাহ, ভোলা সরকারি শেখ ফজিলাতুন্নেছা মহিলা কলেজে এর সহকারী অধ্যাপক হুমায়ূন কবির, সহযোগী অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান।

---

বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি ভোলা সরকারি কলেজ ইউনিটন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাসুদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এ.বি.এম মজিবুর রহমান।

এসময় বক্তারা বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের ন্যায্য দাবি নিয়ে আন্দোলন করলেও সেটাকে উপেক্ষা করা হচ্ছে। আমরা যোগ্য হয়েও আমাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। আমাদের নিজস্ব মন্ত্রণালয়ে আমাদের শিক্ষা ক্যাডারের লোকবল রেখে অন্য ক্যাডার থেকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে যা একটা বৈষম্য। আমাদের বাৎসরিক ছুটি থেকে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। আমরা চাই আমাদের শিক্ষা ক্যাডারে নতুন পদ সৃষ্টি করা হোক এবং আমাদের পদোন্নতিসহ সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।

আমাদের নিজস্ব মন্ত্রণালয়ে অন্য ক্যাডার থেকে নিয়োগ হয় কিন্তু আমাদের যোগ্য শিক্ষকরা সেই মর্যাদা পায় না। আমাদের শিক্ষকদের পদোন্নতি ৪র্থ গ্রেডে গিয়ে থেমে যায়। আমরাও তো বিসিএস পরীক্ষা দিয়েই ক্যাডার হয়েছি তাহলে আমরা কেন ১ম, ২য় বা ৩য় গ্রেডে পদোন্নতি পাব না? পদোন্নতি না হওয়ায় শিক্ষকদের বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট হয় না। এটা আমাদের প্রতি আর্থিক বৈষম্য। তাছাড়া জুনিয়র শিক্ষকদের পদোন্নতি হতে অনেক বেশি সময় লাগে। আমাদের মাঝে অনেকেই আছে ৮-১০ বছর ধরে পদোন্নতি পাচ্ছি না। আর কতদিন গেলে আমরা পদোন্নতি পাব সেটাও জানি না। একজন শিক্ষক যদি ১০-১২ বছরেও কোনো পদোন্নতি না পান তাহলে স্বাভাবিকভাবেই তার পাঠদানে আগ্রহ কমে যাবে যার ফল ভোগ করতে হয় কলেজের শিক্ষার্থীদের।

দাবি আদায় না হলে চলতি মাসের ১০, ১১, ১২ তারিখ পূনরায় কর্মবিরতির পালন করার কথা জানান বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের শিক্ষকরা।

বাংলাদেশ সময়: ১:৩৫:১৪   ১৫৯ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

জেলা’র আরও খবর


ভোলায় উৎসবমুখর পরিবেশে মনোনয়নন পত্র জমা দিলেন ২০প্রার্থী
ভোলা-১ আসনে আ’লীগ থেকে মনোনয়নপত্র দাখিল করলেন তোফায়েল আহমেদ
ভোলা-৩ আসনে ৪র্থ বার নৌকার মনোনয়ন জমা দিলেন এমপি শাওন
ভেদুরিয়ায় ১৪ মাস ধরে জেলে নিখোঁজ, স্ত্রীর ধারণা গুম
ভোলায় নেতাকর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত তোফায়েল আহমেদ
তফসিল বাতিল ও হরতালের সমর্থনে ভোলায় বিএনপির মশাল মিছিল
মহাতাবু জলসার মধ্য দিয়ে ভোলায় শেষ হলো তিনটি কাব স্কাউট বেসিক কোর্স
ভোলায় অলটারনেটিভ লার্নিং প্রকল্পের অবহিতকরন সভা অনুষ্ঠিত
ভোলায় হত্যাচেষ্টা মামলায় ৪ জনকে কারাদন্ড
দৌলতখানে চাকরি দেওয়ার নামে কোটি টাকা আত্মসাৎ করলেন অধ্যক্ষ

আর্কাইভ