
চরফ্যাশন প্রতিনিধি।।
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার ৩য় বৃহত্তর ব্যবসায়ীক প্রান কেন্দ্র চেয়ারম্যান বাজারে পল্লীবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে।
সরে জমিনে ঘুরে জানা গেছে, চেয়ারম্যান বাজারের হোসেন মিয়ার মুদি দোকান সংলগ্ন পল্লী বিদ্যুৎ এর সাড়ে ৩৭ একটি টান্সমিটার রয়েছে। মিটারের আওতায় বাজারের প্রায় ১৩০টি মিটার রয়েছে। উত্তরে বড় মসজিদ, দক্ষিণ হোসেন মিয়ার বাড়ি, পূর্বে শাহাজান ফকিরের বাড়ি ও পশ্চিমে মুনাফ হাজীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ওই ট্রান্সমিটারের অন্তর্ভুক্ত।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, এক্সওয়ান থেকে এলটির নীচে এলটি লাইন ডি-১৬ তার লাগে। কর্তৃপক্ষ তা না করে ডি-ওয়ান সিলভার তার দিয়ে ওয়ারিং করে। যার কারণে ওই ট্রান্সমিটার প্রতিদিন বিজলির মত চমকে উঠে আগুন লেগে তার পুড়ে যায়।ঘন্টার পর ঘন্টা বিদুৎবিহীন থাকে বাজারের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান।
চেয়ারম্যান বাজারের বিশিষ্ট ব্যবাসায়ী আলহাজ্ব আবদুর রহিম দুলাল বলেন, আগুন লেগে তার পুড়ে যাওয়ার পর ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎবিহীন থাকে ওই ট্রান্সমিটারের অন্তর্ভুক্ত ব্যবসায়ীরা। পল্লী বিদ্যুতের লোকজনকে জানানের পর ও লাইন মেরামতে গাফিলতি করে। বাধ্য হয়ে ব্যবসায়ীরা চাঁদা তুলে স্থানীয় কাসেমকে দিয়ে মাসে অন্তত ৬/৭ বার লাইনে তার লাগোনা হচ্ছে!
চেয়ারম্যান বাজারের হোসেন মিয়ার দোকান সংলগ্ন ট্রান্সমিটারের নীচের দোকানী সুনিল চন্দ্র শীল বলেন, প্রতিদিন হঠাৎ করে ট্রান্সমিটারে আগুন লেগে যায়। আমরা আতংকিত হয়ে যাই।
চেয়ারম্যান বাজারের মুদি দোকানি নাজিম উদ্দীন হাওলাদার বলেন, এই ট্রান্সমিটারের ওভার লোডের কারণে যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে। বিদ্যুৎ এর লোড নিয়ন্ত্রণ ও দূর্ঘটনারোধে বাজারে আরো একটি টান্সমিটার বসানো প্রযোজন।
চেয়ারম্যান বাজারের ইলেক্ট্রনিক দোকানী নুরে আলম বলেন, পল্লীবিদ্যুৎ এর লাইনম্যানকে বিষয়টি জানালে, তারা বলেন, ডি -১৬ তার আমাদের অফিসে নেই।আপনারা অফিসকে জানান।
এই বিষয়ে বক্তব্য নিতে পল্লীবিদ্যুতের চরফ্যাশন জোনাল অফিসের দায়িত্বরত মিজানুর রহমানকে ফোন দিলে তিনি এই প্রতিবেদককে শনিবার অফিস সময় ফোন দিতে বলেন।
সচেতন মহল চেয়ারম্যান বাজারে দূর্ঘটনারোধে ট্রান্সমিটারের ওভার লোড কমাতে নতুন আরও একটি ট্রান্সমিটার বসানের দাবি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:৩৯:২৫ ২২০ বার পঠিত