আজকের ভোলা রিপোর্ট ॥
ভোলায় প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার মাহে আলম ওরফে নসুর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন প্রতারণার শিকার ব্যক্তিরা। একই সাথে জোরবপূর্ব দখল করে নেয়া জমিও ফেরত চেয়েছেন। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকালে ভোলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগিরা এসব দাবি জানান। মাহে আলম ভোলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নাম পরিচয় দিয়ে প্রতারণার দায়ে গ্রেপ্তর হয়ে জেল হাজতে আছেন।
ক্ষতিগ্রস্থদের পক্ষে মো. নাগর হাওলাদার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ভোলা জজ শীপের সাবেক পেশকার মাহে আলম ওরফে নসু চরফ্যাসন উপজেলার হাজারিগঞ্জ মৌজার এস এ ১৪৪, ৫০২ ও৭৬৮নং খতিয়ানের ২০ একর জমি ভুয়া ও জাল জালিয়াতির কাগজপত্রের মাধ্যমে আত্মসাতের চেষ্টা চালায়।
মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে প্রায় এক একর জমি জবর দখল করে নেন মাহে আলম। ১৯৫২ সালে খরিদ সূত্রে তারা এই জমির মালিক দখলদার হন। কিন্তু মাহে আলম ১৯৯২-৯৩ সালের ভুয়া ও জাল কাগজ তৈরী করে ওইসব জমির মালিকানা দাবি করছেন এবং তাদের নানাভাবে হয়রানী করছেন। সংবাদ সম্মেলণে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রত্যারণার শিকার মো. মহিউদ্দিন, মোস্তাফিজুর রহমান ও রিয়াজ। এদের সবার বাড়ি চরফ্যাসন উপজেলার হাজারিগঞ্জে। চরফ্যাসনের বিভিন্ন এলাকায় তার বিরুদ্ধে আরও প্রত্যারণার অভিযোগ রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মাহে আলম ভোলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সেজে মোবাইল ফোনে নিজের পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেলে কার্যালয়ে তদবির করেন। এ ঘটনায় মামলার ধার্য তারিখ গত ২৩ আগস্ট অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) তামিম আল ইয়ামিনকে নথিসহ স্বশরীরে হাজির হওয়ার আদেশ দেন। পরবর্তীতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত মর্মে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে আদালতে দাখিল করেন। বিষয়টি জানার পর জেলা প্রশসকের কার্যালয়ের নাজির নাঈমুল হাসান বাদী হয়ে মামলা করলে পুলিশ ৩ সেপ্টেম্বর মাহেল আলমসহ ২জনকে গ্রেফতার করে। ওই ঘটনায় তাকে ১৪ সেপ্টেম্বর ২ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নাজমুল হাসান জানান, রিমান্ড শেষে তাকে আরও জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাহে আলম জেলা জজশীপে চাকুরী করতেন। দুর্নীতির দায়ে সেখান থেকে চাকুরী যাওয়ার পর তিনি প্রশাসনের বড় কর্মকর্তা, বিচারক, কখনও এমপি-মন্ত্রীদের আত্মীয় পরিচয়ে বিভিন্ন দপ্তরে তদবীর ও প্রত্যারণা করার অভিযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১:৩৭:০১ ২৫৭ বার পঠিত