চরফ্যাশন প্রতিনিধি ॥
বরিশাল হাতেম আলী সরকারি কলেজ সংলগ্ন অবস্থিত ‘দিয়ারা সেটেলমেন্ট অফিসের’ চার্জ অফিসার মোঃ সিরাজুল ইসলামের নামে চলমান বিডিএস ডিজিটাল জরিপের ৩১ ধারায় চরফ্যাশন উপজেলার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের চরফকিরা মৌজার ৫ ও ৬নং ওয়ার্ডে লাখ লাখ টাকার চাঁদাবাজী করেছে স্থানীয় চিহ্নিত ভূমিদস্যু ও দালালেরা। ফলে মোটা অংকের উৎকোচ না দিতে পারায় অনেক জমির প্রকৃত মালিক ও জমির রেকর্ড থেকে বাদ পড়েছেন।
সরেজমিনে ঘুরে ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, চরফ্যাশন উপজেলার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের চরফকিরা মৌজার ৫ ও ৬নং ওয়ার্ডের ডিজিটাল জরিপের ৩১ ধারার শুনানি হচ্ছে বরিশাল দিয়ারা সেটেলমেন্ট অফিসে। মামলার বাদী ও বিবাবী শুনানি করে এলাকায় চলে আসার পর স্থানীয় দালাল বশির উল্ল্যাহ ও কামাল মহাজনসহ সংঘবদ্ধ চক্রটি মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে জমির রেকর্ড পাওয়ার ব্যবস্থা করিয়ে দেন। কে প্রকৃত মালিক, কে ভূয়া তা দেখার বিষয় নয়। প্রকৃত জমির মালিক ও ওদেরকে টাকা না দিলে রেকর্ড থেকে বাদ পড়ে।
সংঘবদ্ধ দালাল গ্রুপটি বরিশালে আবাসিক হোটেল ভাড়া করে সেটেলমেন্টে নিয়মিত দালালী করে যাচ্ছন। এদের আনাগোনা চার্জ অফিসারের টেবিলে রুটিন মাফিক চলে।
এদিকে জনৈক সেলিম গং ও রুহুল আমীন মাঝি গংদের ৩১ ধারার শুনানি শেষ হয়েছে গত মাসে। এখন ও রায় হয়নি। সেলিম গংদের দাবী দালিল মূলে, আর রুহুল আমীন মাঝিগং জাল দলিল রেকর্ড দাবী করেন।
চিহ্নিত সেটেলমেন্টের দালাল বশির উল্ল্যাহ এবং কামাল মহাজন রুহুল আমীন মাঝিগংদের কাছ থেকে জাল দলিলের অনুকূলে রেকর্ড করাতে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা নেন। কামাল মহাজন বশির উল্ল্যাহকে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে বাকী টাকা নিজে মেরে দেন। এতে দুই দালালের মধ্যে হাতাহাতির পর্যায়ে উপনীত হয়।
চেয়ারম্যান বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী সফি আলম মাঝির কাপড়ের দোকানে স্থানীয় ইসমাইল দফাদর, মাহাবুবসহ কয়েকজন মিলে দুই দালালের দ্বন্দ্ব মিটিয়ে দেন। এর মধ্য দিয়ে বরিশাল সেটেলমেন্ট অফিস তাদের দালালির বিষয়টি সচেতন মহল জানতে পারেন।
এ বিষয়ে বরিশাল সেটেলমেন্ট অফিসের চার্জ অফিসার সিরাজুল ইসলাম জানান, অফিসে কোন দালাল সনাক্ত করতে পারলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সচেতন মহল বরিশাল সেটেলমেন্ট অফিসের চিহ্নিত দালাল বশির, কামাল মহাজনসহ ওই চক্রটি আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০:১৭:১০ ১৮০ বার পঠিত