
আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥
আবার অশান্ত মণিপুর। আবার কুকি ও মেইতেইদের সংঘর্ষ। এতে দুইজন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন সাতজন।
কুকি-অধ্যুষিত চূড়াচাঁদপুর ও মেইতেই-প্রধান বিষ্ণুপুরের সীমানায় খইরেনতাক গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ দাবি করেছে, নারানসেনার কাছে ওই গ্রামে গুলির লড়াই হয়। তাতেই দুইজন নিহত হয়েছেন। সাতজন আহত হয়েছেন।
দ্রুত পুলিশ, আসাম রাইফেলস এবং কম্যান্ডোরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ট্রাইবাল লিডার্স ফোরামের দাবি, সকাল ১০টা নাগাদ গ্রামে আক্রমণ চালানো হয়। গ্রামরক্ষী বাহিনী মোতায়েন ছিল। তারাও গুলি চালাতে থাকে। গ্রামরক্ষী বাহিনীর একজন মারা যান। এরপরই ওই এলাকাজুড়ে ব্যাপক গুলির লড়াই চলতে থাকে। বেশ কিছুক্ষণ ধরে ওই লড়াই চলে।
এর আগে পাহাড়ের নিচের এলাকায় একজন কৃষককে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। তিনি তখন জমিতে চাষ করছিলেন। তার বুকে গুলি লেগেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
মণিপুরে কুকি এবং মেইতেইদের মধ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছে। চার মাস ধরে পরিস্থিতি খুবই উত্তেজনাপূর্ণ। প্রায় ১৫০ মানুষ মারা গেছেন। মেইতেই এলাকায় কুকিদের এবং কুকি এলাকায় মেইতেইদের যে বাড়ি ছিল প্রায় সব জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে।
দুই পক্ষের হাতেই প্রচুর অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র রয়েছে। প্রায়ই আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণের ঘটনা ঘটছে। পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গায় আসাম রাইফেলস ব্যারিকেড করে রেখেছে। তাছাড়া কুকি মেয়েরাও দিনরাত রাস্তায় বসে থেকে প্রহরা দেন।
আবার মেইতেই এলাকায় একই কাজ করেন মেইতেই নারীরা। সেখানেও মণিপুর পুলিশের ব্যারিকেড আছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮:১০:৪৪ ৩৩ বার পঠিত