
মনপুরা প্রতিনিধি ॥
ভোলার মনপুরা পানিবন্দি মানুষের হাহাকার শিরোনামে দৈনিক আজকের ভোলাসহ গণমাধ্যমে রোববার সংবাদ প্রকাশের পর টনক নড়ে প্রশাসনে। রোববার সকালে প্রবল ঝড়-বৃষ্টি উপক্ষো করে পানিবন্দি মানুষের হাহাকারের চিত্র ও তালিকা করতে ব্যস্ত সময় পার করে উপজেলা দুর্যোগ ও প্রকল্প বাস্তায়বায়ন কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি টিম। প্রশাসনের টিমকে সহযোগিতা করেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
এদিকে এই টিমের সার্বিক মনিটরিং করেন মনপুরা উপজেলার নির্বাহী অফিসারের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা চরফ্যাসনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নওরীন হক। এছাড়াও তিনি চরফ্যাসন উপজেলার পানিবন্দি এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শনের পাশাপাশি বিচ্ছিন্ন মনপুরা উপজেলারও মনিটরিং এর কাজ করেন। এছাড়ও গত ৪ দিন তিনি স্থানীয় সংবাদকর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে সার্বিক পানিবন্দি অবস্থার তথ্য নেন।
এদিকে গণমাধ্যমে গত চারদিন টানা সংবাদ প্রকাশে পর মাঠে সরেজমিনে উপজেলা প্রশাসন কাজ করায় দুর্গত এলাকার বাসিন্দারা দৈনিক আজকের ভোলার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
প্রশাসনের তথ্য সূত্রে জানা যায়, মনপুরা উপজেলার চারটি ইউনিয়নের ১নং মনপুরা ইউনিয়নের কলাতলী, কাজীরচর, ঢালচর ও তুলাতলীতে ১১শত ৫০ পরিবার, ২নং হাজীরহাট ইউনিয়নের দাসেরহাট, সোনারচর, চরযতিন ও চরফৈজুদ্দিনে ২ হাজার ৬শত ৫০ পরিবার, উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নে উত্তর সাকুচিয়া গ্রামে ৯৫০ পরিবার ও চর গোয়ালিয়া, দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের রহমানপুর ও দক্ষিণ সাকুচিয়া গ্রামে ৯৬০ পরিবার জোয়ারের পানিতে পানিবন্দি অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন এর পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
এই ব্যাপারে মনপুরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দায়িত্বে থাকা চরফ্যাসন উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নওরীন হক জানান, প্রকল্প বাস্তবায়নের কর্মকর্তা সারাদিন মাঠে কাজ করে যেই তথ্য পাঠিয়েছে তা উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। দুর্গত এলাকায় সরকারি বরাদ্ধ আসলে সাহায্য সহযোগিতা করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:১৭:০৯ ১২৭ বার পঠিত