চলছে বাজার মনিটরিং ॥ তবুও নিয়ন্ত্রণে নেই ভোলার নিত্যপন্যের দাম, ক্ষুব্ধ ক্রেতা

প্রচ্ছদ » অর্থনীতি » চলছে বাজার মনিটরিং ॥ তবুও নিয়ন্ত্রণে নেই ভোলার নিত্যপন্যের দাম, ক্ষুব্ধ ক্রেতা
সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩



ছোটন সাহা ॥
ভোলার বাজারে নিত্যপন্যের দাম কমছেই না। বিশেষ করে সোলা, চিনি, শসা, বেগুন ও মাছ মাংসের বাজারে উর্ধ্বগতি। রমজান মাসে বাজার দাম স্বাভাবিক থাকার কথা থাকলেও কোন সু-খবর নেই।
তাই বাধ্য হয়েই অতিরিক্ত দামে পন্য কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদেরকে। এতে নিু ও মধ্য আয়ের পরিবারগুলো চরম সংকটে পড়েছেন। আয়ের সাথে ব্যায়ের হিসাব মেলাতে পারছেন না তারা।

---

যদিও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে  বাজার দাম নিয়ন্ত্রনে শক্ত অভিযানের কথা জানানো হলেও দাম নিয়ে ক্ষোভ আর অসন্তোষ রয়েই গেছে।
সরোজমিন ঘুরে দেখা গোছে, ভোলার বাজারে  সবজিসহ বিভিন্ন পন্যের সরবরাহ রয়েছে। এ চিত্র দেখলে যে কারোর কাছে মনে হতে পারে সরবরাহ ঠিক থাকায় দরদাম ঠিক রয়েছে। কিন্তু বাজারে দেখা গেছে তার উল্টো চিত্র।
বেড়েছে শশা, বেগুন, সোলা ও চিনির দাম। যা এক দিনের ব্যবধানে বেড়েছে ৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। শশা বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা যার পূর্বে দাম ছিলো ২০টা। একই অবস্থা মুগরী, মাছ ও মাংসের বাজারে।
দেশী মুরগী ৬৫০ টাকা, ব্রয়লার ২৩০ টাকা ও সোনালি মুরগী কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা। কমেনি গরু ও খাসির মাংসের দামও। গরুর মাংস কেজি প্রতি ৭৫০ টাকা এবং খাসির মাংস এক হাজার টাকার। এছাড়াও চিনির দাম বেড়েছে। যা বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকা। অনান্য পন্যের মধ্যে দাম বেড়েছে সরবতে ব্যবহৃত ইসুফ গুলের ভূষি ১২’শ টাকার স্থলে ১৩’শ টাকা, এলাচি ১৩০০ টাকা, দারুচিনি ৩৪০ টাকা, আদা ৯০ টাকা, চিরা ৬১০ টাকার স্থলে ৬৮০ টাকা। বেড়েছে চিরার দাম। যা আগে ছিলো ৪০ টাকা তা বেগে হয়েছে ৫০ টাকা। সরবতের দাম প্রকার ভেদে বেড়েছে। রু-আফজা বোতল প্রতি দাম ৩০০ টাকা থাকলেও বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ টাকা দরে। তবে স্থিতি রয়েছে আলু, পেয়াজ রসুনের দাম। বাজারে মৌসুমি তরমুজ আসলেও তার দাম চড়া। প্রতি পিস তরমুজ প্রকার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। দ্রব্য মূল্যের দাম বৃদ্ধিকে বিপাকে পড়েছেন নি¤œ আয়ের পরিবারগুলো। চরম সংকটে পড়েছেন তারা।
ক্রেতা রহিমা আক্তার বলেন, রমজান মাসে পন্যের দাম কম থাকার কথা থাকলেও কমছে না, তাই চাহিদার অর্ধেক পন্য কিনতে হচ্ছে।
আরেক ক্রেতা নুরু উদ্দিন ও জসিম বলেন, বাজার মনিটরিং হচচ্ছে কিন্তু তারপরেও কমছে না পন্যের দাম। বিক্রেতারা নিজেদের ইচ্ছে মত পন্যের দাম হাকাচ্ছেন। তবে পন্যের তাম বাড়ার কোন সুনির্দিষ্ট কারণ জানা নেই বিক্রেতাদের। তারা বলছেন ভিন্ন কথা।
এ ব্যাপারে ভোলা কাচা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, পাইকারি বাজারে পন্যের দাস বাড়ায় আমাদেরও বেশি মূল্যে বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে এখন বাজারে ক্রেতা কম। তাই বিক্রি কম হচ্ছে। পন্যের দামও কমতে শুরু করেছে।
এদিকে রমজান উপলক্ষ্যে নিত্য পন্যের দাম নিয়ন্ত্রনে বাজার মনিটরিং করছে জেলা প্রশাসন। অতিরিক্ত দামে পন্যে বিক্রির অভিযোগে জরিমানা করা হলেও বাজার অস্থিরতা কমছে না।তবে নিয়মিত অভিযান চলছে বলে জানালেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আলী সুজা। তিনি বলেন, রমজানে আমাদের বাজার মনিটরিং চলছে। কেউ বেশি দামে পন্য বিক্রি করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্খা নেয়া হচেছে। এরই মধ্যে সোমবার তিনজনকে ১০ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এ অভিযান চলছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মাহমুদুল হাসান বলেন, আমাদের অভিযান চলছে এবং আমরা বাজার মনিটরিং করছি।
এদিকে পন্যের দাম নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমান অভিযান আরও বাড়ানোর দাবী ক্রেতাদের।

বাংলাদেশ সময়: ২৩:১২:০৪   ২১৯ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

অর্থনীতি’র আরও খবর


ক্যাপসিকাম চাষে ঝুঁকছেন ভোলার কৃষকরা
ভোলায় তরমুজের ক্রেতা নাই
তরমুজের বাম্পার ফলনে চাষিদের মুখে হাসি
ভোলার বাজারে সব ধরনের মাছের দাম আকাশ ছোয়া!
মাচা পদ্ধতিতে সবজি চাষে সফল ভোলার কৃষকেরা
ভোলায় SOYEE প্রোগ্রামের চাকুরি বিষয়ক মেলা অনুষ্ঠিত
লাল তীর সীড’র সাথে জিজেইউএস’র চুক্তি স্বাক্ষর
ভোলার বাজারে সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে না বেশীরভাগ পন্য
ভোলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে গমের আবাদ
কাউন্সিলর থেকে উদ্যোক্তা লালমোহনের মনির



আর্কাইভ