ছোটন সাহা ॥
নদীতে মাছ ধরেন জেলেরা। সারাক্ষণ নদীতে থাকায় তাদের বিনোদনের সময় হয়ে উঠে না। উপকূলের সেই সব জেলেদের নিয়ে আয়োজন করা হয়েছে জেলে উৎসবের। দিনব্যাপী এ উৎসবের আয়োজন করে তজুমদ্দিন উপজেলা মৎস্যজীবী লীগ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আয়োজনকে ঘিরে ছিলো উচ্ছ্বাস আনন্দ। বাঁধ ভাঙ্গা উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেন জেলে এবং তাদের পরিকারের সদস্যরা। এ জন্য তারা আয়োজদের ধন্যবাদ জানান।

আয়োজকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মার্চ-এপ্রিল দুই মাস মাছ ধরা বন্ধ থাকায় বেকার দিন কাটাচ্ছিলেন মেঘনার জেলেরা। ওইসব জেলেদের আনন্দ দিতে ভোলার তজুমদ্দিনে আয়োজন করা হয় জেলে উৎসবের। এতে মেঘনার কয়েক হাজার জেলে অংশ অংশ নিয়েছে।
কাবাডি, বেত খেলা, হাড়ি ভাঙ্গা, ফুটবল, সেফটিপিন ও ঘুঁড়ি উড়ানো প্রতিযোগীতায় অংশ নিয়ে পুরস্কার জিতে নেন জেলে এবং তাদের পরিবারের শিশুরা। এমন উৎসবে অংশ ননিতে পেররে খুশি তারা।
জেলে আঃ রহিম, সাজাহান ও সেলিমসহ অন্যরা জানান, আমরা নদীতে মাছ ধরি, বিনোদনের কোন সময় হয় না, এখন মাছ ধরা বন্ধ তাই বেকার দিন কাটাচ্ছিলাম। খুব খারাপ লাগছিলো। কিন্তু এ উৎসবে আসতে পেরে অনেক ভালো লাগছে। আমরা দুঃখ কষ্ট ভুলে গেছি। খুব ভালো লাগছে।
প্রতিযোগীতায় জেলেদের সাথে উচ্ছ্বাসিত কোমলমতি শিশুরাও। তারাও অংশ নিয়েছে গ্রামীণ খেলায়। জেলে শিশু মুনিয়া, শান্তা ও মারজিয়া বলেন, আমাদের খুব ভালো লাগছে, আমরা বিভিন্ন প্রতিযোগীতায় অংশ নিয়েছি। এমন আনন্দ কখনও হয়নি।
ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধূরী শাওন বলেন, ভোলার প্রতি বঙ্গবন্ধুর নাড়ীর টান রয়েছে। তিনি জেলেসহ সব মানুষকে ভালোবাসতেন। আর তাই আনন্দ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের আনন্দ সবার সাথে ভাগাভাগি করতেই এমন আয়োজন করা হয়েছে। এতে জেলেরা অনেক খুশি। উৎসবে ১০ হাজার জেলে অংশ নিয়েছে।
এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে এবং কেক কেটে অনুষ্ঠানের শুভ সুচনা করে প্রধান অতিথি সাংসদ নুরুন্নবী চৌধূরী শাওন। বিভিন্ন প্রতিযোগীতায় ৩ শতাধিক জেলে অংশ নিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৪২:২৪ ১৫৬ বার পঠিত