আজকের ভোলা রিপোর্ট ॥
ইসলামি শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ, ভোলা জেলা উত্তর শাখার জেলা সম্মেলন ২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারী) সকালে শহরের সরকারি স্কুল মাঠে সামনে চিলি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে এই জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ইসলামি শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ, ভোলা জেলা উত্তর শাখার সভাপতি মোঃ নুরুল ইসলাম পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে জেলা সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামি শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় জয়েন্ট সেক্রেটারী আলহাজ্ব মুফতি মোঃ মোস্তফা কামাল।
ইসলামি শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ, ভোলা জেলা উত্তর শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা গোলাম মোর্শেদের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামি শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ এর বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ ওবায়েদ বিন মোস্তফা, ইসলামি শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াত বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ হাসিবুর রহমান, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ, ভোলা জেলা উত্তর শাখার সহসভাপতি মাওলানা তাজউদ্দীন ফারুকী, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোঃ তরিকুল ইসলাম, উম্মে কুলসুম মহিলা মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবদুর রহমান প্রমুখ। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মো. হাবিব, মাওলানা ইব্রাহিম, মাওলানা নুরুল ইসলাম, আমীর হোসেন, মিজানুর রহমান, মোঃ বেলাল, শফিকুল ইসলাম, ইব্রাহিম, হারুন অর রশিদ, হাবিবুর রহমান প্রমূখ। এসময় ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ ভোলা ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা সম্মেলন শেষে মোঃ নুরুল ইসলাম পাটোয়ারীকে সভাপতি ও মাওলানা গোলাম মোর্শেদকে সাধারণ সম্পাদক এবং মাওলানা মোঃ ইব্রাহিম খলিলকে সাংগঠনিক সম্পাদক, মাওলানা মোঃ ইসমাইলকে দপ্তর সম্পাদক করে ২০২৩-২৪ সালের জন্য পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়।
এসময় বক্তারা বলেন, শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠাই আমাদের মূল লক্ষ্য। আমরা চাই মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে সুসম্পর্ক তৈরি হোক। ইসলামের সুমহান আদর্শ হল মালিক শ্রমিকের কোন ভেদাভেদ নেই। মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে সুসম্পর্ক তৈরি হলে উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ মালিক শ্রমিকদের মধ্যে সুসম্পর্ক বৃদ্ধি করতে রাজ করছে। বক্তারা আরও বলেন, ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দেশে যে কোন আন্দোলন সংগ্রামে শ্রমিকরাই মুখ্য ভূমিকা পালন করে। এদেশে যতগুলো আন্দোলন সংগ্রাম সংগঠিত হয়েছে, সবগুলো আন্দোলন সংগ্রামে শ্রমিকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বক্তারা বলেন, দেশে এখন নিরব দুর্ভিক্ষ চলছে। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির ফলে মানুষ অনেক কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে সবকিছু চলে যাচ্ছে। আয়ের সাথে ব্যায় মিলাতে পারছে না। অনেক বাজার করতে গিয়ে খালি হাতে ফিরছে। শ্রমজীবী মানুষরা সবচেয়ে কষ্টে আছে। তাই অতিদ্রুত দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে এনে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা মধ্যে আনতে হবে।