চরফ্যাশন প্রতিনিধি ॥
কীটনাশক পান করা স্ত্রীকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয় স্বামী। এরপর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করলে স্ত্রীর লাশ হাসপাতাল রেখে পালিয়ে যায় স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার শশিভূষণ থানার রসুলপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে। রোববার (২৯ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে পারিবারিক কলহের জেরে ওই স্ত্রী ঘরে থাকা কীটনাশক পান করেন। শশিভূষণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মৃত ইয়াসমিন বেগম (২৬) ওই ওয়ার্ডের মো. নাঈম (৩০) হোসেনের তৃতীয় স্ত্রী। তাদের এক বছর বয়সী এক কন্যা সন্তান রয়েছে। ইয়াসমিন বেগম ঢাকার গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ এলাকার মো. আবুল হোসেনের মেয়ে। ইয়াসমিন বেগমের এটি দ্বিতীয় বিয়ে। প্রথম সংসারে তার আরও একটি সন্তান রয়েছে। প্রায় আড়াই বছর আগে নাঈমকে ভালোবেসে বিয়ে করেন ইয়াসমিন। তার শাশুড়ি স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বিয়ের পর থেকে পারিবারিক কলহে অশান্তিতে ছিল ইয়াসমিন। স্বামী নাঈম প্রায়ই তাকে মারধর করত। স্বামীর এমন নির্মম নির্যাতন সইতে না পেরে রোববার বিকেল ৫টার দিকে ঘরে থাকা কীটনাশক পান করে সে। এরপর তার স্বামী মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চরফ্যাশন হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণার পর স্ত্রীর লাশ হাসপাতাল রেখে পালিয়ে যায় স্বামী নাঈম।
ওসি জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর কার্যক্রম চলছে। পালিয়ে যাওয়া স্বামী নাঈমকে আটকের চেষ্টা চলছে। ইয়াসমিনের শাশুড়ি ঢাকায় অবস্থান করছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ উঠেনি। অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫:৩৩:০১   ২৪৯ বার পঠিত