কথা থাকলেও উদ্বোধন হয়নি ভোলার ২৫০ শয্যা হাসপাতাল

প্রচ্ছদ » জেলা » কথা থাকলেও উদ্বোধন হয়নি ভোলার ২৫০ শয্যা হাসপাতাল
শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৩



মোকাম্মেল মিশু ॥
কথা থাকলেও উদ্বোধন কার হয়নি ভোলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের সাততলা ভবন।২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ভোলা সদর জেনারেল হাসপাতালের আধুনিক সাত তলা ভবনটি নির্মাণের তিন বছর পরও আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়নি। ব্যবহার না হওয়ায় অযতœ-অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে কোটি কোটি টাকা মূল্যের পরীক্ষা-নিরীক্ষার যন্ত্রপাতি। পুরনো ভবনে শয্যা সংকটসহ নানা সমস্যার কারণে কাঙ্খিত সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন রোগী এবং তাদের স্বজনরা।

---

এ কারণে বহু আন্দোলন-সংগ্রামের পর বৃহ¯পতিবার (১৯ জানুয়ারী) সকাল সাড়ে ৯টায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাততলা বিশিষ্ট এ হাসপাতালটি উদ্বোধন করার কথা ছিলো। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার জন্য সকালে ভোলা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের হলরুমে উপস্থিত হন ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মমিন টুলু, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ স¤পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব, ভোলার সিভিল সার্জন ডা: কে এম শফিকুজ্জামান, ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায় ডা: মোহাম্মদ লোকমান হাকিম, ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আসাদুজ্জামানসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা-কর্মচারী, হাসপাতালের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী, নার্স, স্টাফ এবং ভোলার গণমাধ্যম কর্মীরা। সকাল থেকে বসে থেকে অপেক্ষার প্রহর গুনতে গুনতে বিকাল সাড়ে ৫ টার সময় জানানো হয় হাসপাতালটি আজকে উদ্বোধন করা হবে না ।
কি কারণে হাসপাতালটি আজকে উদ্বোধন হওয়ার কথা থাকার পরও হয়নি এ বিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা: মোঃ লোকমান হাকিম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি কোন কারণ জানাতে পারেননি তবে শুক্রবার উদ্বোধন হবে বলে জানিয়েছেন তাও কখন হবে সেটা জানাতে পারেননি।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে ৪৪ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ২৫০ শয্যার ভোলা জেনারেল হাসপাতালে আধুনিক সুবিধা সম্বলিত এই সাত তলা ভবনটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০২০ সালে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের ১ বছর আগে ২০১৯ সালের জুলাই মাসে ভবনটির নির্মাণ কাজ শেষ করে কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেছে গণপূর্ত বিভাগ। অথচ ভবনটি নির্ধারিত সময়ের আগে নির্মিত হলেও এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে চালু না হওয়ায় পুরোপুরি সুবিধা পায়না ভোলার চিকিৎসা সেবা প্রত্যাশীরা। ২৫০ শয্যার হাসপাতালটি বর্তমানে চলছে পুরনো ১০০ শয্যা ভবনের জনবল দিয়ে।
সাত তলা এই ভবনটিতে আইসিইউ, সেন্ট্রাল অকসিজেন, মেডিক্যাল গ্যাস সিস্টেম, লিফট ও সিসি ক্যামেরাসহ রয়েছে উন্নত চিকিৎসা সেবার আধুনিক সুবিধা। কিন্তু তিন বছরেও ভবনটি পুরোদমে চালু না হওয়ায় দীর্ঘদিন পড়ে থেকে, পরীক্ষা-নিরীক্ষার মেশিনপত্র, চিকিৎসা সরঞ্জামসহ কোটি কোটি টাকা মূল্যের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি নষ্ট হচ্ছে। ইতোমধ্যেই ভবনটি ময়লা আবর্জনা আর ধুলাবালির আস্তরে পরিণত হয়েছে। চালুর আগেই ব্যবহার অনুপযোগী এবং অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠছে।
ভোলা জেলার ৭ উপজেলার ২১ লাখ মানুষের চিকিৎসা সেবায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালসহ ৫০ শয্যার আরো ৭টি হাসপাতাল রয়েছে। এতে পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা না থাকায় প্রতিদিনই রোগীদেরকে বরিশাল ও ঢাকায় যেতে হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫:০৩:৪৯   ১৫৬ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

জেলা’র আরও খবর


অচিরেই ভারতের তাঁবেদার শেখ হাসিনার দুঃশাসন দূর হবে: তারেক রহমান
ক্যাপসিকাম চাষে ঝুঁকছেন ভোলার কৃষকরা
ভোলায় তরমুজের ক্রেতা নাই
ভোলায় তিনদিন ব্যাপী সাংবাদিকদের বেসিক জার্নালিজম ট্রেনিং এর উদ্বোধন
ভোলায় নানান আয়োজনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভোলায় বিএনপির আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
ভোলায় রাসূল (সাঃ)কে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল
ভোলা ইসলামী আন্দোলনের আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত
বোরহানউদ্দিনে ইলিশ মাছ রান্না না করায় মাকে কুপিয়ে হত্যা করল ছেলে
ভোলায় গণহত্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত



আর্কাইভ