ভুতুড়ে খতিয়ানের ফাঁসে সর্বশান্ত অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক পরিবার

প্রচ্ছদ » অপরাধ » ভুতুড়ে খতিয়ানের ফাঁসে সর্বশান্ত অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক পরিবার
রবিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৩



চরফ্যাশন প্রতিনিধি ॥
ভোলার চরফ্যাশনের চর মানিকা ইউনিয়নের উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা (তহশীলদার)’র ‘ভূল নামজারী’র ফাঁসে জড়িয়ে সর্বশান্ত হয়েছে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নুরুল আমিন হাওলাদারের পরিবার।
খতিয়ানে মূল মালিক আবদুস সাত্তারের জমি না থাকলেও তিনি ৩১ শতাংশ জমি ফরিদ উদ্দিন মাষ্টারের কাছে বিক্রি করেন। চর মানিকা ইউনিয়নের উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা(তহশীলদার)’র মারুফ হোসেন ফরিদ উদ্দিন মাষ্টারে ভুতুড়ে দলিল দিয়ে তার নামে নামজারী করে দেন। ফলে ফরিদ উদ্দিন মাষ্টারের নামে ভুতুড়ে দলিলে নামজারী হওয়ায় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নুরুল আমিন হালাদারের ৪০ বছরের ভোগদখলীয় জমি জবর দখলে মরিয়া হয়ে উঠেন ফরিদ উদ্দিন মাষ্টার। দু’টি পক্ষের মধ্যে জমির মালিকানা বিরোধ নিয়ে সৃষ্ট এ সংকটের দায় কে নেবে এবং সমাধানের কি পথ আছে এই প্রশ্ন উঠেছে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে।
জানাগেছে, চর মানিকা মৌজার ৫৫০ খতিয়ানের ১ একর ৪৬ জমির মূল মালিক ছিলেন জনৈক আবদুস সাত্তার। যা থেকে আবদুস সাত্তার ১৯৯৬ সনে নুরুল আমিন মুন্সির কাছে সাড়ে ৬২ শতাংশ, ১৯৯৮ সনে শাহ আলমের কাছে ৬২ শতাংশ এবং একই বছরে জাহাঙ্গীর আলমের কাছে ২১ শতাংশসহ মোট ১ একর৪৫ দশমিক ৫০ শতাংশ জমি সাব কাবলা বিক্রি করেন। সংশ্লিষ্ট তিন ক্রেতাই তাদের জমি নিজ নিজ নামে জমাখারিজ করে নেন। ফলে আবদুস সাত্তারের খতিয়ানে অবশিষ্ট জমি ছিল দশমিক ৫০ শতাংশ মাত্র। কিন্ত খতিয়ানে দশমিক ৫০ শতাংশ জমি থাকা অবস্থায় আবদুস সাত্তার ২০২১ সনে মাদ্রাসা শিক্ষক ফরিদ উদ্দিনের কাছে ৩১ শতাংশ জমি বিক্রি করেন।
প্রশ্ন উঠেছে-এটা কি করে সম্ভব? এ নিয়ে ফরিদ উদ্দিন ও নুরুল আমিন হাওলাদারের পরিবারের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
শিক্ষক নুরুল আমিন হাওলাদার জানান,বিক্রেতা আবদুস সাত্তার এবং ক্রেতা ফরিদ উদ্দিন মাষ্টার চর মানিকা ভূমি অফিসের দায়িত্বরত উপ-সহকারী কর্মকর্তা মারুফ হোসেনকে ম্যানেজ করে ২৭০-এফ/২০২১-২০২২ মিস কেইচের মাধ্যমে খতিয়ানে ভুতুড়ে জমি দেখিয়ে ৩১ শতাংশ জমি সাবকাবলা মূলে বিক্রি করেন। ভুতুড়ে জমি দলিল নিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষক ফরিদ উদ্দিন এখন তার ৪০ বছরের ভোগদখলীয় জমি জবর দখল করে বাড়িঘর তৈরী করছেন। ইউনিয়নের উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা(তহশীলদারের কারসাজিতে ‘ভূল নামজারী’র ফাঁসে জড়িয়ে সর্বশান্ত হয়ে পরেছেন তিনি এবং তার পরিবার।
অভিযোগ প্রসঙ্গে ফরিদ উদ্দিন মাষ্টার জানান, তিনি ওই খতিয়ানে তার খরিদা জমিতে নির্মান কাজ করছেন। নুরুল ইসলাম হাওলাদারের জমি জবর দখলের বিষয় সঠিক নয়।
অভিযোগ প্রসঙ্গে চর মানিকা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মারুফ হোসেন জানান, ভূল হয়েছে। এ বিষয়ে একটি মিস কেইচ চলমান আছে। যেখানে পূর্ববর্তী মিসকেইচ বাতিল করে ফরিদ উদ্দনের নামে সৃজিত খতিয়ানটি বাতিলের প্রস্তব দেয়া হয়েছে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল মতিন খান জানান, এবিষয়য়ে একটি মিস কেইচ চলমান আছে। ভূক্তভোগিদের কাগজ পত্র যাচাই করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১২:৫১:৩৩   ২৫৬ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

অপরাধ’র আরও খবর


ভোলায় মহানবী (সা.)কে কটুক্তিকারীর সর্বোচ্চ বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি প্রদান
ভোলায় যাত্রীবাহী লঞ্চ থেকে ১২০ মণ মাছ জব্দ
মনপুরায় গাঁজাসহ এক মুদি ব্যবসায়ীকে আটক
বোরহানউদ্দিনে ইলিশ মাছ রান্না না করায় মাকে কুপিয়ে হত্যা করল ছেলে
ভোলায় সাড়ে ৩ হাজার কেজি অবৈধ মাছ জব্দ করেছে কোস্টগার্ড
মুখে গামছা বেঁধে সিসিটিভি বন্ধ করেও রক্ষা পেল না চোর
মেঘনায় ১৫ হাজার তরমুজ নিয়ে ডুবে গেল ট্রলার, উদ্ধার-৬ নিখোঁজ-১
ভোলায় ইলিশ মাছ ধরার অপরাধে ৭ জেলের কারাদন্ড
ওয়েষ্টার্নপাড়ায় ব্যাংক কর্মকর্তা স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার ॥ স্বামী আটক
ভেজাল সেমাই তৈরি, লালমোহনে ৩ কারখানাকে জরিমানা



আর্কাইভ