বুধবার, ২০ মার্চ ২০২৪

চেয়ারম্যান পদে আব্দুল মমিন টুলুসহ সদস্য পদে ১০জন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত

প্রচ্ছদ » জেলা » চেয়ারম্যান পদে আব্দুল মমিন টুলুসহ সদস্য পদে ১০জন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত
সোমবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২



আদিল হোসেন তপু ॥
ভোলায় জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আব্দুল মমিন টুলু বে-সরকারিভাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি এর আগেও একই পরিষদের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রশাসক ও চেয়ারম্যান ছিলেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিন রবিবার সংরক্ষিত ও সাধারণ সদস্য পদে ৩জন মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটানিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মো: তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী।

---

রবিবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে মনোনয়নপত্র সদস্য পদে বোরহানউদ্দিনের এএম আব্দুল্লাহ, সংরক্ষিত মহিলা সংরক্ষিত পদে মনপুরার লাভলী হাওলাদার ও লালমোহনের সংরক্ষিত মহিলা পদে সালমা জাহান বুলু মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এর ফলে জেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২২ এর চেয়ারম্যানসহ ১১টি পদে কোন প্রার্থী না থাকায় বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বে-সরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এরা হলেন চেয়ারম্যান পদে আব্দুল মমিন টুলু। সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে খাদিজা আক্তার (ভোলা), সাবিনা ইয়াসমিন (লালমোহন), কামরুন নাহার (মনপুরা)।
সাধারন সদস্য পদে নজরুল ইসলাম গোলদার (ভোলা), মো: খাইরুল হাসান খোকন (দৌলতখান), নুরুল আমিন নিরব মিয়া (বোরহানউদ্দিন), মো: হাসান (তজুমদ্দিন), আনোয়ারুল ইসলাম রিপন (লালমোহন), মো: নরুল ইসলাম ভিপি (চরফ্যাশন), এ,কে,এম শাহজাহান (মনপুরা) উপজেলা থেকে বিনা প্রতি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। বিনা প্রতি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় আগামী ১৭ অক্টোবর ভোলা জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য পদে এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে কোন ভোট হচ্ছেনা।
এদিকে আবদুল মমিন টুলু জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসাবে নতুন করে দায়িত্ব নেয়ায় খুশী ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দরা। দলের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দররা এই খবরে আনন্দ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। একই সাথে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরাও খুশী হয়েছেন।
আলহাজ্ব আবদুল মমিন টুলু একজন সুশীল রাজনীতিবিদ, যিনি সততা ও যোগ্যতা নিয়ে  দায়িত্ব পালন করছেন। দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বর্তমানে ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। দলের দুর্দিনে ত্যাগ তিতিক্ষার মাধ্যমে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ১৯৫৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর ভোলার ঐতিহ্যবাহী মিয়াজী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম ডাক্তার তোফাজ্জল হোসেন। ভোলা সরকারি স্কুল থেকে এসএসসি, ভোলা সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি ও ১৯৭৩ সালে বিএ পাস করেন।
আবদুল মমিন টুলু ১৯৬৮ সালে স্কুলে পড়াকালীন অবস্থায় ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত হন। ৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭২ সালে ভোলা কলেজের নির্বাচিত ভিপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮২ সালে জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৮৬ সালে সাধারণ সম্পাদক হন। ৯৪ থেকে ২০০১ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। ২০০৬ থেকে ২০২২ সালের ১১জুন পর্যন্ত ভোলা জেলা সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে পালন করেন। বিগত এক দশক যাবত জেলা পরিষদের প্রশাসক ও চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি চেম্বার অফ কমার্স, রেড ক্রিসেন্ট, ডায়াবেটিক সমিতিসহ বেশকিছু সামাজিক সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতিসহ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন। একজন সৎ, যোগ্য ও সুবিবেচক রাজনীতিবিদ হিসেবে তার সুখ্যাতি রয়েছে।
স্থানীয় সরকার কাঠামোর ৪টি স্তরের অন্যতম প্রধান একটি স্তর হচ্ছে জেলা পরিষদ। দেশের সকল জেলায় সুপ্রাচীন আমল থেকেই জেলা পরিষদ জনসাধারণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। নিষ্কীয় জেলা পরিষদকে আবদুল মমিন টুলু ভোলা জেলার ৪ এমপি, উপজেলার চেয়ারম্যান ও অন্যান্যজন প্রতিনিধিদের সহায়তায় জেলা পরিষদের কার্যক্রমে গতিশীল করেছেন। পাশাপাশি তার বিভিন্ন মেয়াদে দায়িত্বে থাকার ফলে ভোলা জেলার সকল উপজেলায় জেলা পরিষদের উন্নয়নে ছোয়া লেগেছে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে ২৮ ডিসেম্বর ভোলা জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন আব্দুল মমিন টুলু।

বাংলাদেশ সময়: ২০:০২:০৫   ৩৩১ বার পঠিত