উপমহাদেশের অন্যতম ইসলামী চিন্তাবিদ দার্শনিক মাওলানা মুহাম্মদ আবদুর রহীম (র.)

প্রচ্ছদ » ইসলাম » উপমহাদেশের অন্যতম ইসলামী চিন্তাবিদ দার্শনিক মাওলানা মুহাম্মদ আবদুর রহীম (র.)
রবিবার, ৩ অক্টোবর ২০২১



।। মুহাম্মদ শওকাত হোসেন ।।

 

১লা অক্টোবর ছিল মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুর রহীম র:এর ৩৪ তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৭৮সালের এই দিনে তিনি ইন্তেকাল করেন। উপমহাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইসলামী চিন্তাবিদ ইসলামী রাজনীতির স্থপতি দার্শনিক লেখক মুজতাহিদ ছিলেন বৃহত্তর বরিশালের কৃতি সন্তান মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুর রহীম। দুর্ভাগ্যজনকভাবে বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই এই নামটির সাথে পরিচিত নন। অথচ সেই ব্রিটিশ আমল থেকে পরবর্তীতে পাকিস্তান আমলে এমনকি বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরেও এ দেশের শীর্ষ আলেম ইসলামী চিন্তাবিদ ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে সকলের কাছে তিনি সুপরিচিত ও প্রিয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ছিলেন।

মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুর রহীম ১৯১৮ সালের ২রা জানুয়ারি পিরোজপুর জেলার কাউখালীর শিয়ালকাঠী গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত হন। ছারছীনা মাদ্রাসার পরে উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণার জন্য তৎকালীন কলকাতা আলিয়া বর্তমান আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। সেখানে তিনি নিয়মিত ভাবে মাসিক মোহাম্মদী, সওগাত ,আল ইসলাম সহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ইসলামের বিভন্ন বিষয়ের উপরে লেখালেখি করতেন। তিনি কলকাতায় জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়ার নেতা হিসেবে পাকিস্তান আন্দোলনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছেন। সে সময়ে তিনি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, মাওলানা আকরাম খাঁ, মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ তৎকালীন প্রথম শ্রেণীর নেতাদের সংস্পর্শে আসেন। এসময় তিনি উপমহাদেশের আরেক চিন্তাবিদ সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদী সম্পাদিত তরজমানুল কুরআন এর মাধ্যমে তার সাথে পরিচিত হন। পরবর্তীকালে ১৯৪৫ সালে জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠা সম্মেলনে বাংলা প্রদেশ থেকে যে দুজন গিয়েছিলেন তিনি তার অন্যতম। ব্রিটিশ মুক্তি ও পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর নিজ এলাকায় এসে সর্বপ্রথম পূর্ববঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর কার্যক্রম শুরু করেছিলেন।প্রথমে বরিশালের তানজিম পত্রিকার সম্পাদনা পরবর্তীতে ঢাকায় এসেও তিনি জামায়াতের এতদাঞ্চলে প্রতিষ্ঠাকালীন নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫৫ সাল থেকে ৬৮ সাল পর্যন্ত তিনি পূর্ব পাকিস্তানের জামায়াতের আমির হিসেবে নেতৃত্ব দান করেন। পরবর্তীতে তিনি নিখিল পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় নায়েবে আলা (সিনিয়র সহ সভাপতি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ৭১ সালে   তিনি পাকিস্তানে আটকা পরলে কিছুদিন থেকে পরে নেপালে চলে যান‌। নেপাল থেকে ১৯৭৪ সালে তিনি বাংলাদেশে  প্রত্যাবর্তন করেন। এ সময় জামাতে ইসলামীর প্রকাশ্য তৎপরতা সাংবিধানিকভাবে নিষিদ্ধ থাকায় আন্ডারগ্রাউন্ড জামাতের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন‌। ৭৫ এর পরে দেশে বহুদলীয় রাজনীতি চালু হলে তিনি উদ্যোগ নিয়ে অধুনালুপ্ত নেজামে ইসলামী জামাতে ইসলামী খেলাফত রব্বানী মুসলিম লীগ জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামীর সমন্বয়ে ইসলামিক ডেমোক্রেটিক লীগ গঠন করেন।৭৯ সালের সংসদ নির্বাচনে আইডিএল- মুসলিম লীগের জোট ইসলামী ফ্রন্ট সংসদে ২০ টি আসন লাভ করে। মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুর রহীম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে আইডিএলের সংসদীয় দলের প্রধান হিসেবে জাতীয় সংসদে দায়িত্ব পালন করেন। ৭৮ সালে প্রফেসর গোলাম আযম সাহেব দেশে এসে আইডিএল থেকে জামায়াতে ইসলামীকে আলাদা করে ভিন্নভাবে কার্যক্রম শুরু করেন। ১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামী বিপ্লব সংঘটিত হওয়ার পর ইরানের ইসলামী বিপ্লবী সরকারের আমন্ত্রণে তিনি ইরান সফর করেন । পরবর্তীতে তিনি ঘোষণা করেন যে তথাকথিত সংসদীয় বা পাশ্চাত্য গণতন্ত্রের পথে কোন ইসলামী সমাজ বিপ্লব কিংবা ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। তিনি ইসলামী সমাজ বিপ্লবের জন্য গণচেতনা ,গণসংগঠন ,গণঐক্য এবং গণঅভ্যুত্থান/ বিপ্লবের মাধ্যমে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চিন্তা চেতনার কথা উপস্থাপন করেন। এ সময় হযরত হাফেজ্জী হুজুর রাজনীতিতে আসলে তিনি  তাকে সামনে রেখে অন্যান্য এগারটি দলের সমন্বয়ে “সম্মিলিত সংগ্রাম পরিষদ” গঠন করে ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এরশাদের নানা ধরনের রাজনীতি ও কূটনীতির ফলশ্রুতিতে এ আন্দোলন স্তিমিত হয়ে আসলে ১৯৮৬ সালে তিনি ওলামা-মাশায়েখদের ঐক্যবদ্ধ নেতৃত্বে বাংলাদেশে ইসলামী শাসন তন্ত্রের জন্য একটি আন্দোলনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। প্রথমে মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে এ আন্দোলনের মুখপত্র হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু জামায়াতে ইসলামীর চাপে দেলোয়ার হোসেন সাঈদী বিদেশে চলে যাওয়ার প্রেক্ষিতে চরমোনাইয়ের তৎকালীন পীর হযরত মাওলানা ফজলুল করিমকে আন্দোলনের মুখপাত্র ঘোষণা দেয়া হয়। এর মাত্র কিছুদিন পরে ১৯৮৭ সালের ১লা অক্টোবর মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুর রহীম র :  ইন্তেকাল করেন।

---

রাজনৈতিক নেতৃত্ব দান ও ইসলামী আন্দোলন ও সংগঠন ছাড়াও তিনি ছিলেন একজন ইসলামী চিন্তাবিদ, দার্শনিক ও লেখক। তিনি বাংলা ভাষায় সর্বপ্রথম “ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা” এ বক্তব্য তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছিলেন। বাংলা ভাষায় তিনি শতাধিক গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ রচনা করে এবং বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ লেখকদের গ্রন্থসমূহ অনুবাদের মাধ্যমে ইসলামী সাহিত্যের স্থপতি হিসেবে ভূমিকা পালন করেছেন। তার লেখা ইসলামের অর্থনীতি, পরিবার ও পারিবারিক জীবন, সুন্নত ও বিদআত, আল্লাহর হক বান্দার হক, ইসলামী রাজনীতির ভূমিকা, হাদিস সংকলনের ইতিহাস, সৃষ্টি তত্ত্ব ও বিবর্তনবাদ, নারী, ইসলামের যাকাত বিধান সহমৌলিক গ্রন্থসমূহ বাংলাভাষীদের জন্য অমুল্য সম্পদ। তিনি মানুষের জীবনের সকল দিকের উপর ইসলামের বিধান ও ব্যবস্থার উপরে তার এসব গ্রন্থসমূহ রচনা করেছেন। তিনি সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদীর ‘খেলাফত আওর মুলকিয়াত’ জাতীয় ২/৪টি বই ছাড়া তাফহীমুল কুরআন সহ সকল পুস্তক এর বাংলা অনুবাদ করেছেন। আল্লামা আবুল হাসান আলী নদভী, ইউসুফ আল কারযাভী সহ বিশ্বের সকল শ্রেষ্ঠ লেখকদের গুরুত্বপূর্ণ পুস্তকসমূহের বাংলা অনুবাদ করেছেন। তার অনূদিত অনুবাদ গ্রন্থ পাঠ করলে অনুবাদ মনে হয়না মৌলিক গ্রন্থ হিসেবেই মনে হয়।এক জীবনে তিনি যা লিখেছেন এক জীবনে তা পাঠ করা কঠিন। তিনি ১৯৭৭ সালে বাদশা খালেদের আমন্ত্রণে মক্কায় অনুষ্ঠিত বিশ্ব ইসলামী শিক্ষা সম্মেলনে অংশগ্রহণ ছাড়া ও জেদ্দাভিত্তিক আন্তর্জাতিক ফিকাহ বোর্ডের এবং রাবেতা আলম আল ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে প্রতি বছর এবং মক্কা সফরের আমন্ত্রণ পেতেন। এছাড়াও বিভিন্ন সম্মেলনে তিনি মালয়েশিয়া, ইরান, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, ভারত, তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠিত সেমিনারে সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে ইসলামের বিভন্ন বিষয়ের উপরে প্রবন্ধ ও বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন। তিনি সর্বজন গ্রহণযোগ্য একজন বিখ্যাত আলেমেদ্বীন ছিলেন। রাবেতা আলম আল ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা একমাত্র বাংলাদেশী সদস্য এবং তার জীবদ্দশায় জেদ্দাভিত্তিক  ইন্টার্নেশনাল ফিকাহ কাউন্সিলের একমাত্র বাংলাদেশী সদস্য ছিলেন। আন্তর্জাতিকভাবে তিনি বিভিন্ন দেশে সম্মাননা পেয়েছেন। বাংলাদেশে ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে তিনি সর্বপ্রথম “ফাউন্ডেশন পদক” এ ভূষিত হওয়ার সৌভাগ্য লাভ করেছেন। জাতীয় সংসদে নারী অধিকার, জনসংখ্যা সমস্যার সমাধান, যুব সমাজের দায়িত্ব ও কর্তব্য ইত্যাদি বিষয়ে তার ভাষণ গুলো ছিল এক একটি মাস্টারপিস। জাতীয় সংসদের প্রথম দিন তিনি দীর্ঘকালের স্পিকারকে মাথা নিচু করে সম্মান জানানোর প্রথা বন্ধ করে সালাম দেওয়ার প্রথা চালু করার জন্য দাবি জানিয়েছিলেন। পরে স্পিকার এটাকে ঐচ্ছিক করে দেন।কেউ ইচ্ছে করলে মাথা নত করে প্রণতি জানাতে পারবে আবার কেউ ইচ্ছা করলে সালাম দিতেও পারবে বলে রুলিং জারি করেন।  তিনি সংসদে নির্ধারিত ইমামের পিছনে জামাতে নামাজ চালু করার প্রস্তাব করলে স্পিকার তা মেনে নেন। তখন থেকে সংসদে নির্ধারিত নিয়োগকৃত ইমামের পিছনে নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে।আগে সংসদ সদস্যদেরকে দিয়ে কোরআন তেলাওয়াত করানো হতো  অনেকে ভুলভাল তেলাওয়াত করতেন। তিনি একজন স্বনামধন্য  কারী নিয়োগ করে সংসদে কোরআন তেলাওয়াতের রীতি চালু করার দাবি জানালে স্পিকার তা গ্রহণ করেছিলেন এবং কারী ওবায়দুল্লাহকে দিয়ে কোরআন তেলাওয়াতের ব্যবস্থা চালু করেন। সেই ধারাবাহিকতায় এখনো চলছে।কোনো সংসদ সদস্য বা জাতীয় আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব মারা গেলে অতীতে সে মুসলিম হলেও তার জন্য সবাই দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করত। তিনি নিরবতার পাশাপাশি মুনাজাত দেওয়ার প্রস্তাব করলে স্পিকার নিরবতা এবং মোনাজাতের নিয়ম চালু করেন। তিনি মালয়েশিয়া সফর করে সংসদীয় দলের নেতা হিসেবে সফর করে এসে সফরের রিপোর্ট তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কাছে দিয়ে মালয়েশিয়ার মতো বাংলাদেশেও রেডিও-টেলিভিশনে আযান দেওয়ার প্রস্তাব করলে জিয়াউর রহমান রেডিও-টেলিভিশনে আযান দেওয়ার রীতি চালু করেন। এ ধরনের ছোটখাটো অনেক সংস্কার কার্যক্রম করলেও তিনি একথা স্পষ্ট ভাবে উপলব্ধি করেছিলেন যে তথাকথিত ওয়েস্টার্ন ডেমোক্রেসির সিস্টেমে দু’চারজন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে বড়জোর টুকটাক কিছু সংস্কার করা যেতে পারে কিন্তু দেশের আইন বিচার ব্যবস্থা এবং রাষ্ট্রব্যবস্থাকে পরিবর্তন করে ইসলামী আইন ইসলামী বিচার ব্যবস্থা এবং ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা  কস্মিনকালেও সম্ভব নয় ‌। আর এ কারণেই তিনি এই পথ ত্যাগ করে ইসলামিক ডেমোক্রেটিক লীগের নাম পরিবর্তন করে “ইসলামী ঐক্য আন্দোলন” নাম দিয়ে ইসলামী সমাজ বিপ্লবের লক্ষ্যে জনগণকে তৈরি করার সংগ্রামে নেতৃত্ব দেন। ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি আপোষহীনভাবে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। বৃহত্তর ইসলামী ঐক্যের লক্ষ্যে নিজের নেতৃত্বকে নির্দ্বিধায় ত্যাগ করে অন্যকে সামনে এগিয়ে দিয়েছেন। পাকিস্তান আমলে তখনকার শীর্ষ ওলামায়েকেরাম মাওলানা শামসুল হক ফরিদপুরী (র:) মাওলানা নূর মোহাম্মদ আজমী (র:) মুফতি দীন মুহাম্মদ খান সহ সকল আলেম ওলামাদের সঙ্গে তার আন্তরিকতা ছিল। পঞ্চাশের দশকে ওলামাদের সম্মিলিত ২২ দফা দাবিতে তিনিও স্বাক্ষর করেছিলেন। মৃত্যুর মাত্র বছরখানেক আগে তিনি বাংলাদেশের তৎকালীন শীর্ষ আলেম ওলামাদের সমন্বয়ে দেশে ইসলামী শাসনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করেছেন। তার লেখা ইসলামী সাহিত্য  বাংলা সাহিত্যের ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করেছে। আজকের প্রজন্মের উচিত তার লিখিত পুস্তকসমূহ সংগ্রহ করে পাঠ করা এবং এই জ্ঞানতাপস মহান দার্শনিক ইসলামী চিন্তাবিদের চিন্তাকে মূল্যায়ন করে ভবিষ্যৎ পথ নির্দেশনা অনুসরণ করা। তার ৩৪ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে তাঁর রূহের মাগফিরাতের জন্য দোয়া করছি। আল্লাহ তাকে জান্নাতের উঁচু মাকাম দান করুন।

##

বি:দ্র–এই ছবিটি ১৯৮৫ সালে হাফেজ্জী হুজুরের নেতৃত্বে সম্মিলিত সংগ্রাম  পরিষদ আহত মানিক মিয়া এভিনিউর মহাসমাবেশে মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুর রহীম (র:) বক্তব্য রাখছেন। (৩৬ বছর আগের ছবিটি আমার নিজের হাতে তোলা)

#

লেখকঃ মুহাম্মদ শওকাত হোসেন

সম্পাদক ও প্রকাশক

দৈনিক আজকের ভোলা

নায়েবে আমির

ইসলামি ঐক্য আন্দোলন বাংলাদেশ

কেন্দ্রীয় কমিটি।

বাংলাদেশ সময়: ১৩:৩৪:১৯   ১৫০১ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ইসলাম’র আরও খবর


ভোলায় ইসলামী আন্দোলনের পক্ষে থেকে ঈদ সামগ্রী বিতরণ
সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ভোলায় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত
ভোলায় ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত
ভোলায় ‘সৃষ্টির সেবা’ সংগঠনের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত
ইসলামী ঐক্য আন্দোলন ভোলা জেলা শাখার ত্রিবার্ষিক কাউন্সিল ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত
আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম ভোলা শাখার উদ্যোগে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত
ভোলায় মহানবী (সা.) কে নিয়ে কটূক্তিকারী বাসু দাসের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি
রাসূল (সাঃ)কে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে দৌলতখানে বিক্ষোভ মিছিল
ভোলায় মহানবী (সা.)কে কটুক্তিকারীর সর্বোচ্চ বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি প্রদান
ভোলায় রাসূল (সাঃ)কে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল



আর্কাইভ