লালমোহনে জনপ্রিয়তা পেয়েছে ভার্মি কম্পোস্ট সার

প্রচ্ছদ » অর্থনীতি » লালমোহনে জনপ্রিয়তা পেয়েছে ভার্মি কম্পোস্ট সার
শুক্রবার, ১ অক্টোবর ২০২১



স্টাফ রিপোর্টার ॥
জেলার লালমোহন উপজেলায় জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদন ও ব্যবহার। যা স্থানীয়ভাবে কেঁচো সার হিসেবে পরিচিত। ২০১৮ সালে উপজেলা কৃষি অফিসের এসএসিপি প্রকল্পের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ৩০ জন কৃষক-কৃষাণীকে নিয়ে প্রাথমিকভাবে এ সার উৎপাদন শুরু করা হয়। বর্তমানে উপজেলায় ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদনকারীর সংখ্যা রয়েছে তিন শতাধিক এবং ব্যবহার করছে আট শাতাধিক কৃষক।

---

শীতের সময় প্রতি মাসে এ উপজেলায় ৮ থেকে ৯ মেট্রিকটন ও বর্ষাকালে ২ থেকে ৩ মেট্রিকটন সার উৎপাদন করা হয়। ভোলার বাইরের অন্য জেলায় এখান থেকে সার বিক্রি হচ্ছে। ধানের জমিতেও এ সার ব্যবহার করার জন্য কৃষি অফিস থেকে উদ্বোদ্ধ করা হচ্ছে। অনেকেই আগ্রহ দেখাচ্ছে এ সার উৎপাদনের।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গোবর, গৃহস্থলীর আবর্জনা ও কেঁচো দিয়ে এ সার উৎপাদন করা হয়। পরিপূর্ণ সার হতে সময় লাগে ২০-২৫ দিন। আর প্রতি কেজি ভার্মি কম্পোস্ট (কেঁচো) সার বিক্রি করা হচ্ছে ১০-১৫ টাকা। প্রতি কেজি এ সার উৎপাদন করতে কৃষকদের খরচ হয় মাত্র ২-৩ টাকা। ভার্মি কম্পোস্ট সার ব্যবহারের ফলে মাটির উর্বরশক্তি ও পানি ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, পোকা-মাকড়ের আক্রমণ কম হয়, রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার হ্রাস পায়, পরবর্তী ফসলে সারের পরিমাণ তুলনামূলক কম প্রয়োজন হয় ও এ সার ব্যবহারে পরিবেশ থাকে দূষণমুক্ত। গজারীয়া এলাকার মাসুদ, আক্তার হোসেন ও ধীরেন মজুমদার জানান, প্রথমে কৃষি অফিস থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এ সারের উৎপাদন শুরু করি আমরা। বর্তমানে এ সারের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। যা জেলার বিভিন্ন উপজেলাতে বিক্রি করা যাচ্ছে। এখানে সল্প পুঁজিতে অধিক লাভবান হওয়া সম্ভব। সরকারিভাবে ঋণের ব্যবস্থা করা হলে এ সার উৎপাদন আরও বৃদ্ধি করা যাবে বলে জানান তারা। উপজেলার ধৌলিগরনগর ইউনিয়নের বাসিন্দা রাসেল রহমান ও মামুন আলী বলেন, আমরা দীর্ঘদিন যাবত জমিতে ভার্মি ক¤েপাস্ট ব্যবহার করছি। ফসলের ফলনও ভালো পাচ্ছি। তাই আমরা নিজেরাই এটা উৎপাদনের কথা ভাবছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এএফএম শাহাবুদ্দিন বলেন, আমাদের এসএসিপি প্রকল্পের মাধ্যমে এখানের মোট ১২০ জন কৃষক-কৃষাণীকে ভার্মি ক¤েপাস্ট সার উৎপাদনে প্রশিক্ষণ ও উপকরণ প্রদান করা হয়। যার ফলে পরবর্তীতে এ উপজেলায় ব্যাপক জনপ্রিয় উঠছে ভার্মি ক¤েপাস্ট সারের উৎপাদন ও ব্যবহার। উপজেলার চর উমেদ গ্রামে গড়ে তোলা হয়েছে ভার্মি কম্পোস্ট পল্লী।
তিনি আরো বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে এ সার। গত এক বছরে কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে ভার্মি কম্পোস্ট তৈরি ও ব্যবহার। মূলত সবজি চাষে এ সার বেশি ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও ভার্মি ক¤েপাস্ট সার উৎপাদন টেকসই করতে ঋণ সুবিধা প্রাপ্তির জন্য সহায়তা প্রদানের পরিকল্পনার কথা জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ২২:৫২:৩১   ৫৫১ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

অর্থনীতি’র আরও খবর


ভোলায় প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী ও উদ্যোক্তাদের মেলা অনুষ্ঠিত
ভোলায় অনুষ্ঠিত হলো প্রাণী প্রদর্শনী মেলা
চরফ্যাশনে দিনব্যাপী প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী
বোরহানউদ্দিনে ফুটপাতে ঈদের জমজমাট কেনাকাটা
পথে পথে চাঁদাবাজি, ভোলার তরমুজচাষি ও ব্যবসায়ীরা বিপাকে
ভোলায় ব্যবসায়িক অগ্রগতি পর্যালোচনা সম্মেলনে রূপালী ব্যাংক পিএলসিকে সর্ব শীর্ষে নিয়ে যাবার অঙ্গীকার
ভেজাল মসলা তৈরি: ভোলায় ২ কারখানাকে জরিমানা
ভোলায় বেড়েছে আলু ও কাঁচা মরিচের দাম
ভোলায় নারী উদ্যোক্তাদের তিনদিনের ঈদমেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ঢল
ভোলায় যাত্রা শুরু করেছে দেশীয় ব্র্যান্ড ‘দর্জিবাড়ি’



আর্কাইভ