বুধবার, ২০ মার্চ ২০২৪

চরফ্যাশনে চাঞ্চল্যকর ডাবল মার্ডারের রহস্য উদঘাটন, ভাড়াটে খুনি গ্রেপ্তার

প্রচ্ছদ » অপরাধ » চরফ্যাশনে চাঞ্চল্যকর ডাবল মার্ডারের রহস্য উদঘাটন, ভাড়াটে খুনি গ্রেপ্তার
মঙ্গলবার, ৪ মে ২০২১



ছোটন সাহা ॥
ভোলার চরফ্যাশনে দুই ভাইকে হত্যার পর আগুনে পুড়িয়ে ফেলার ঘটনার এক মাসের মধ্যেই হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ডাবল মার্ডারের  ঘটনায় কিলিং মিশনে অংশগ্রহনকারি ভাড়াটে খুনি শরিফুল ইসলামকে (২৮) গ্রেপ্তারের পর পুলিশ এ তথ্য নিশ্চিত করে। গ্রেপ্তারকৃত শরিফুল চরফ্যাশন উপজেলার চরমানিকা এলাকার বাসিন্দা। সে চট্টগামে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছিলো। পেশায় প্রাইভেটকার চালক ছিলো।
মঙ্গলবার (৩ মে) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোঃ কায়সার সাংবাদিকদের জানান, পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে সোমবার চট্টগ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। এ নিয়ে ওই হত্যা মামলায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
তিনি জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামী শরিফুল ইসলাম ছিলো ভাড়াটে খুনি। দুই সহোদরকে খুন করতে তাকে আড়াই লাখ টাকায় ভাড়া করে চট্টগ্রাম থেকে চরফ্যাশনে আনা হয়েছিলো। হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী বেলালসহ ৪ জন হত্যার সাথে জড়িত। ডাবল মার্ডার ঘটনার এক মাসের পর মধ্যে পুলিশ হত্যা রহস্য উদযাটন করেছে। জমির বিক্রির টাকা চাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্যকর এ ডাবল মার্ডারের ঘটনা ঘটেছে। এরআগে গত ২১ এপ্রিল হত্যাকান্ডের প্রধান আসামী বেলাল, আবু মাঝি ও কাসেম গ্রেপ্তার করা হয়।

---

খুন হওয়া দুলাল (৫০) ও তপন (৫৫) চরফ্যাশন পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত উপেন্দ্র চন্দ্র সরকারের ছেলে। তিন বছর আগে থেকে তারা ভারতে বসবাস করে আসছিলেন। ৩ বছর আগে এই দুই সহেদর চরফ্যাশন উপজেলার আসলামপুর ইউনিয়নের বেলাল গংদের কাছে ৪৬ শতাংশ জমি ২০ লাখ টাকা মূল্যে বিক্রি করে। কিন্তু তখন ৩ লাখ পরিশোধ করলেও বাকি ১৭ লাখ টাকা জমি রেজিস্ট্রি করার পর দিবে বলে জানায়। গত বছর  আসামীরা কৌশলে জমি রেজিস্ট্রি করলেও বাকি টাকা দেয়নি। এক বছর ধরে নানা তালবাহনা করতে থাকে। এক পর্যায়ে ওই টাকা ফেরত দেয়ার কথা বলে তাদের ডেকে নিয়ে হত্যা করে।
এরআগে আসামিদের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার সরকার মোঃ কায়সার খুনের বিতরনে জানিয়েছেন, জমি বিক্রির টাকা দেওয়ার কথা বলে দুই ভাই দুলাল (৫০) ও তপনকে (৫৫) ডেকে নিয়ে যায় আসামিরা। গত ৭ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টার দিকে শ্বাসরোধ করে দুলাল ও তপনকে হত্যা করা হয়। তাদের যাতে কেউ চিনতে না পারে সেজন্য গভীর রাতে পেট্রোল ঢেলে মরদেহ দুটি পুড়িয়ে ফেলা হয়। এরপর রাতেই শরীর থেকে তাদের মাথা আলাদা করে খালে ফেলে দেয় খুনিরা। ৮ এপ্রিল পুলিশ যখন ঘটনাস্থলের পাশে নিহতদের মাথার খোঁজ করছিলো তখন রাতের আঁধারে খুনিরা খাল থেকে মাথা উঠিয়ে জনৈক মহিবুল্লাহ বাড়ির বাথরুমের সেপটিক ট্যাঙ্কে লুকিয়ে রাখে।

বাংলাদেশ সময়: ২২:২২:৪১   ৫৩০ বার পঠিত