ভোলায় কষ্টে আছে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো

প্রচ্ছদ » জেলা » ভোলায় কষ্টে আছে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো
সোমবার, ৬ মে ২০১৯



---

ছোটন সাহা ॥

‘ঝড়ে জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে, মাথা গোজার এককাত্র সম্বল শেষ ঠাই ঘরটাও ভেঙ্গে গেছে, এখন কষ্টের মধ্যে আছি’। কিভাবে নতুন করে ঘর তুলবো, দেনা করে ফসল আবাদ করেছিলোম। এখন তো আমার কিছু রইলো না’। চোঁখে মুখে অনিশ্চয়তা নিয়ে এ কথাগুলোই বলছিলেন ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ খোকন মিয়া।

তার মত প্রায় একই অবস্থা হাফসা বেগমের। স্বামী মারা গেছে দুই বছর আগে। ৪ মেয়েদের বিয়ে দিয়েছেন। একমাত্র সম্বল ছিলো বসতঘর, সেটিও এখন আর অবশিষ্ট নেই। নতুন করে ঘর তোলাম সামর্থ নেই তার। খোকন ও হাফসার মত এমন দুর্দশা আর দুর্ভোগে পড়েছেন ভোলা সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলী ইউনিয়নের কোড়ালিয়া ও বালিয়া গ্রামের শতাধিক পরিবারের।

ভোলার উপর দিয়ে বয়ে যওয়া ঘূর্ণিঝড় ফনীর আঘাতে লন্ড ভন্ড হয়ে গেছে দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার জনপদ।

ঝড়ের পর দুই দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো ঘুরে দাড়াতে পারেননি তারা। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রান দেয়া হলেও সামর্থ্য না থাকায় অনেকেই খোলা আকাশেরর নিচে মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন। তবে জেলা প্রশাসক বলছে, যে সব পরিবারের ঘর তোলার সামর্থ্য থাকবে না তাদের পূন:বাসিত করা হবে।

রোববার (৫ মে) দুপুরে সদরের কোড়ালিয়া গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে এখনো পড়ে রয়েছে ঝড়ের ধ্বস্তুুপ। রাস্তায় দু’পাশে ভেঙ্গে যাওয়া গাছ পালা। ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের নাজুক অবস্থা।

পথে পথে যেন ঝড়ের ছাপ পড়ে রয়েছে। অনেকের ঘরের চালা উড়িয়ে নিয়ে গেছে, কারো বিধ্বস্ত হয়েছে পুরো ঘর। কারো বা ঘরে সাথে রান্না করার চুলোটি পর্যন্ত ভেঙ্গে গেছে। ঘর তুলতে না পারায় প্রচন্ড রোদে খোলা আকাশে বসে আছেন। কেউ আবার প্রয়োজনীয় আসবাপত্র রোদে শুকানোর চেষ্টা করছেন। পরিবার পরিজন নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্য দিন কাটাচ্ছেন।

ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ বিউটি বেগম বলেন, ৪ ছেলে ও ২ মেয়েকে নিয়ে কষ্টের মধ্যে রয়েছি, ঝড়ে পুরো ঘর ভেঙ্গে গেছে। এখনো নতুন করে ঘর তুলতে পারিনি।

ক্ষতিগ্রস্থ শাহিনা বেগম বলেন, চার মেয়ে নিয়েকে নিয়ে কষ্টের মধ্য দিন কাটাচ্ছি। ঝড়ের আঘাতে ঘড়র ভেঙ্গে ৫ লাখ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

ভোলার জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম ছিদ্দিক বলেন, জেলায় মোট ২৫০টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, প্রত্যেকটি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে এক বান করে টিন, নগত ৩ হাজার টাকা ও ৩০ কেজি করে চাল দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও যাদের ঘর তোলার সামথ্য নেই তাদের গৃহনির্মানের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে দ্বীপজেলা ভোলায় নিহত হয়েছে ১ জন ও আহত হয়েছে ২২ জন। এছাড়ও ২ শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হয়েছে বেশ কয়েটি গ্রাম।

বাংলাদেশ সময়: ১:০৭:০১   ৮৩০ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

জেলা’র আরও খবর


ঘুষ ছাড়া কাজ হয়না ভোলার বিএমইটি অফিসে॥ প্রতিদিন ঘুষের আয় প্রায় অর্ধলক্ষ টাকা!!
আপনাদের আমানত ভাল পাত্রে জমা রাখবেন: চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউনুছ মিয়া
ভোলায় ফিল্মি স্টাইলা অপহরণ ॥ কতিপর উদ্ধার
দৌলতখানে উপজেলা নির্বাচনে ১২ প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র দাখিল
ভোলার ৩ উপজেলায় ৩৮ প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র দাখিল
ভোলায় পিপি লাভু’র জানাজায় তোফায়েল আহমেদ: ভালো মানুষ কর্মে বেঁচে থাকেন
রিকশার প্যাডেল চেপে জীবিকা জোগান বৃদ্ধ মালেক
ভোলা-ঢাকা নৌপথের কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে অগ্নিকান্ড
ভোলা বারের পিপি এডভোকেট সৈয়দ আশরাফ হোসেন লাবু আর নেই
ভোলায় যুবকের রহস্যজনক ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার



আর্কাইভ