লালমোহন প্রতিনিধি ॥
৮৮ বছরের বৃদ্ধ মো: আজাহার। শরীরে বেশ শক্তি থাকতে দিনমজুরি করে চালিয়েছেন সংসার। এখন বয়স বাড়ার সাথে সাথে শরীরের বাসা বেঁধেছে নানা জটিল রোগ। নিভে গেছে এক চোখের আলোও। তাই এখন আর দিন মজুরিতে কাজ করতে পারেন না তিনি।
এক প্রকার বাধ্য হয়েই গত ৮-১০ বছর ধরে ভিক্ষা করেই চলছে তার জীবন যাপন। তার স্ত্রী মারা গেছেন অনেক আগেই। দুটি সন্তান থাকলেও তারা খোঁজ নেন না বৃদ্ধ বাবার। তাই এখন ভিক্ষা করে যা পান তা দিয়ে নিজে কোনো রকমে খেয়ে-পরে মারাত্মক দুর্দশায় বেঁচে আছেন।
ভোলার লালমোহন উপজেলার ধলিগৌরনগর ইউনিয়নের চরমোল্লাজী গ্রামের মোজাম্মেল হক মেম্বার বাড়িতে অন্যের জমিতে একটি ঝুপড়ি ঘরে কোনোভাবে মাথা গোঁজেন এই ভাগ্য বিড়ম্বিত বৃদ্ধ আজাহার।
আজাহার বলেন, বয়স হয়েছে ৮০-৯০ এর মতো। এখন মৃত্যুর প্রহর গুনছি। আজ পর্যন্ত সরকারি কোনো ভাতা পাইনি। অথচ অনেক সম্পদাশালী মানুষ সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে। আমি একটা চালের কার্ডের জন্য চেয়ারম্যান- মেম্বারসহ অনেকের কাছে গিয়েছি। তারা দেবে বলে কেবল আশ্বাসই দিয়েছেন। কিন্তু কার্ডের দেখা পেলাম না। তাই সরকারের কাছে দাবি, মৃত্যুর আগে যেন আমাকে কিছু সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয়।
ধলিগৌরনগর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো: জাহির ভূঁইয়া বলেন, তাকে বিভিন্ন সময় আমরা সহায়তা দিয়েছি। তারপরেও তাকে আশ্বাস দিয়েছি সামনে ভিজিডির তালিকায় তার নাম অর্ন্তভুক্ত করে দেব। যেন তিনি নিয়মিত সরকারি চাল সহায়তা পান।
বাংলাদেশ সময়: ০:১৫:২২ ২৪৪ বার পঠিত