বোরহানউদ্দিনে চাষ হচ্ছে সৌদি আরবের খেজুর

প্রচ্ছদ » অর্থনীতি » বোরহানউদ্দিনে চাষ হচ্ছে সৌদি আরবের খেজুর
শনিবার, ২৫ জুন ২০২২



বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধিঃ

ভোলার বোরহানউদ্দিনে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে সৌদি আরবের আজোয়া, সুক্কারি, মরিয়ম, খালাছ, আম্বার  সহ বিভিন্ন প্রজাতির খেজুর।
২০২০ সালের শুরুর দিকে মেসার্স হাজী এগ্রোফার্ম নামে ৪০ শতাংশ জমিতে বাগানটি শুরু করেন,  উপজেলার টবগী ইউনিয়নের দালালপুর গ্রামের সৌদি প্রবাসী যুবক হাজী মোঃ মোসলেম উদ্দিন ৷ খেজুরের পাশাপাশি চাষ করছেন উন্নত জাতের ড্রাগন ৷ দুই বছরের মাথায় ফল আসতে শুরু করেছে তার বাগানে ৷ বাগানের খেজুর ও ড্রাগন দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসছেন অনেকে ৷
এখন তার বাগানে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ২৫০টি খেজুর ও ২১০ টি ড্রাগন গাছ রয়েছে ৷ ইতিমধ্যে সুক্কারি জাতের দুটি গাছে খেজুর ধরেছে ৷ এবং ড্রাগনের প্রতিটা গাছেই রয়েছে ফল ৷ এই বাগান ছাড়া তারা বাড়ীর আঙ্গিনার নার্সারীতে আরো  প্রায় ৩০০ খেজুরের চারা রয়েছে ৷ বয়স বেদে যার প্রতি পিচ চারা ২ হাজার থেকে ২৫শ টাকায় বিক্রি করছেন ৷ এছাড়া ৬০০ পিচ ড্রাগনের কাটিং আছে যা পিচ হিসেবে ৫০ টাকা করে বিক্রি করছেন ৷

---

মোসলেহ উদ্দিন জানান, তিনি দীর্ঘ কয়েক বছর সৌদি আরবে আছেন ৷ তিন বছর পূর্বে দেশে বেড়াতে আসার সময় সেখান থেকে বিভিন্ন প্রজাতির খেজুরের বীজ নিয়ে আসেন ৷ তা নিজ বাড়ীর আঙ্গিনায় সঠিকভাবে বীজ রোপন করলে চারা গজিয়ে গাছ বড় হতে শুরু করে ৷ এক পর্যায়ে তিনি খেজুরের বাগান করতে পরিকল্পনা করেন ৷ নিজের এলাকায় উপযুক্ত জায়গা না পেয়ে পাশের কাচিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের কাচিয়া গ্রামে ৪০ শতাংশ জমি ক্রয় করেন ৷ এর মধ্যে ১৬ শতাংশ জমিতে পুকুর ও বাকি ২৪ শতাংশ জমিতে খেজুরের চারা এবং উন্নত জাতের ড্রাগনের কাটিং রোপন করেন ৷
তিনি জানান, এটা একটা চেলেঞ্জিং প্রজেক্ট হলেও লাভ জনক ব্যবসা ৷ শুরুতে এলাকার মানুষ হাসি ঠাট্টা করলেও ফলন আসার পর অনেকে আগ্রহ প্রকাশ করছে ৷ জমি সংকটের কারনে বাগান বড় করতে পারছেন ৷ এক সময়ে তার বাগানের খেজুর ভোলা সহ সারাদেশে রপ্তানি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ৷
টবগী ইউনিয়নের মুলাইপত্তন গ্রামের বাসিন্দা মোঃ জাহাঙ্গীর জানান, তার বাগান দেখে আমি উদ্বুদ্ধ হই এবং তার কাছ থেকে ২৩টি খেজুর চারা নিয়ে রোপন করি ৷
এদিকে মোসলেহ উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, পরামর্শের জন্য উপজেলা কৃষি অফিসে কয়েকবার যাওয়ার  পর কয়েকমাস পূর্বে একবার এসে দেখে গেছেন ৷ পরে অনেকবার যোগাযোগ করেও তাদের থেকে কোন সহযোগীতা পাইনি ৷
উপজেলার কৃষি অফিসার এইচএম. সামীম জানান, আমাদের দেশে বানিজ্যিকভাবে আরব দেশের খেজুর চাষাবাদ করা একটা ভালো উদ্যোগ ৷ ইতিমধ্যে আমাদের একজন উপসহকারি বাগানটি পরিদর্শন করেছেন ৷ আমিও আগামী সপ্তাহে তার বাগানটি পরিদর্শন করবো এবং সব ধরনের পরমর্শ ও সহযোগীতার ব্যবস্থা গ্রহন করবো ৷

বাংলাদেশ সময়: ১৯:২৮:১৯   ৪২২ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

অর্থনীতি’র আরও খবর


ক্যাপসিকাম চাষে ঝুঁকছেন ভোলার কৃষকরা
ভোলায় তরমুজের ক্রেতা নাই
তরমুজের বাম্পার ফলনে চাষিদের মুখে হাসি
ভোলার বাজারে সব ধরনের মাছের দাম আকাশ ছোয়া!
মাচা পদ্ধতিতে সবজি চাষে সফল ভোলার কৃষকেরা
ভোলায় SOYEE প্রোগ্রামের চাকুরি বিষয়ক মেলা অনুষ্ঠিত
লাল তীর সীড’র সাথে জিজেইউএস’র চুক্তি স্বাক্ষর
ভোলার বাজারে সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে না বেশীরভাগ পন্য
ভোলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে গমের আবাদ
কাউন্সিলর থেকে উদ্যোক্তা লালমোহনের মনির



আর্কাইভ