বুধবার, ২০ মার্চ ২০২৪

ভোলার মামুন-সোনালী ব্যাংকের এমডিসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন

প্রচ্ছদ » অপরাধ » ভোলার মামুন-সোনালী ব্যাংকের এমডিসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন
মঙ্গলবার, ২১ জুন ২০২২



 ---

স্টাফ রিপোর্টার ॥

ঋণের ৩২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও সোনালী ব্যাংকের সাবেক এমডি তহামিলুর রহমানসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে মামলাটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। শিগগির দুদক উপ-পরিচালক সুভাষ চন্দ্র দত্ত বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করবেন বলে সংস্থাটির উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এলসির বিপরীতে সোনালী ব্যাংকের একটি শাখা থেকে নেওয়া ওই টাকা আত্মসাতে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের কোম্পানির ওয়ান স্পিনিং মিলস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের ৬ জন এবং সোনালী ব্যাংকের সাবেক এমডি তহামিলুর রহমানসহ ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। অনুমোদিত মামলায় সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের আসামিরা হলেন- সাবেক এমডি মুহাম্মদ তাহমিলুর রহমান, সাবেক উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আমানুল্লাহ, অবসরপ্রাপ্ত সাবেক মহাব্যবস্থাপক মো. মিজানুর রহমান ও শফিকুর রহমান, উপ-সহব্যবস্থাপক মো. শাহ আলম, সাবেক উপ-মহাব্যবস্থাপক খন্দকার মোশারফ আলী, মো. কামরুল ইসলাম ও আবু জাফর মো. সালেহ, সাবেক সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. আলী আরশাদ ও মো. আবু মুসা, সাবেক সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মো. আতিকুর রহমান, ওয়াহিদ উদ্দিন আহম্মদ ও এস এম এম আওলাদ হোসেন এবং সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার মো. আব্দুর রাজ্জাক। আর মেসার্স ওয়ান স্পিনিং মিলস লিমিটেডের আসামিরা হলেন- চেয়ারম্যান মো. হারুণ অর রশীদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, পরিচালক জি আর চৌধুরী ওরফে গোলাম রব্বানী চৌধুরী, নাসির উদ্দিন মিয়া, এ এইচ এম জাহাঙ্গীর ওরফে আবু হাসান মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর ও রাজিব সিরাজ। দুদক সূত্রে জানা গেছে, ওয়ান স্পিনিং মিলস লিমিটেডের নামে ২০০৪ সালে এলসির বিপরীতে সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয় শাখা থেকে ঋণ নেওয়া হয়। তবে দুদকের অনুসন্ধানে ঋণের বিপরীতে মর্টগেজ পাওয়া যায়নি। ঋণ হিসাবে ৩২ কোটি ৬৭ লাখ ৯৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের জন্য দায়ী সোনালী ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তাদের বেশ কয়েকজন বর্তমানে অবসরে রয়েছেন। অনেক আসামি আবার বিদেশে পলাতক রয়েছেন। গিয়াস উদ্দিন আল মামুন জরুরি অবস্থার মধ্যে ২০০৭ সালের ৩১ জানুয়ারি গ্রেপ্তার হন। তখন থেকেই তিনি কারাগারে আছেন। ঘুস হিসেবে আদায়ের পর ২০ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগে এক মামলায় আদালতের রায়ে সাত বছর কারাদ- হয়েছে মামুনের। চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, অর্থপাচার, কর ফাঁকিসহ বিভিন্ন অভিযোগে আরও অন্তত ২০টি মামলা রয়েছে মামুনের বিরুদ্ধে।

বাংলাদেশ সময়: ০:২৯:৫৫   ৪২৮ বার পঠিত