বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

তজুমদ্দিনে সাবেক সংসদ সদস্যের গাড়িতে হামলা-ভাঙচুর, থানায় অভিযোগ

প্রচ্ছদ » অপরাধ » তজুমদ্দিনে সাবেক সংসদ সদস্যের গাড়িতে হামলা-ভাঙচুর, থানায় অভিযোগ
মঙ্গলবার, ৩১ মে ২০২২



স্টাফ রিপোর্টার ॥
ভোলা-৩ (লালমোহন-তজুমদ্দিন) আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) মো. জসিম উদ্দিনের গাড়িতে ছাত্রলীগ-যুবলীগের কর্মীরা হামলা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার দুপুরে ওই হামলায় গাড়ির সামনের ও পেছনের কাচ ভেঙে গেছে। পরে পুলিশি পাহারায় তাঁকে নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় তজুমদ্দিন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মো. জসিম উদ্দিন। তজুমদ্দিন থানার পরিদর্শক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, কিছু অপরিচিত যুবক, সম্ভবত ছাত্রলীগ-যুবলীগের কর্মী হবেন, তাঁরা মো. জসিম উদ্দিনের গাড়িতে হামলা করেছেন। তাঁকে নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। তবে এ ঘটনায় মেজর জসিম কোনো লিখিত অভিযোগ জমা দেননি।

---

জসিম উদ্দিন থানায় দেওয়া লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, তিনি ২৭ মে ভোলার লালমোহন উপজেলার নিজ বাড়িতে বেড়াতে আসেন। রোববার দুপুরে বৃষ্টির ভেতরে তিনি ও তাঁর স্ত্রী তজুমদ্দিন উপজেলায় বেড়াতে যান। জোহরের নামাজের সময় পথের এক পাশের মসজিদে নামাজ আদায় করেন। এ সময় একটি ছেলে তাঁর গাড়ির ছবি তোলেন। নামাজ শেষে তাঁরা তজুমদ্দিন শহরে প্রবেশ করলে (থানার গেট বরাবর) ২০ থেকে ২৫ জন যুবকের একটি দল তাঁদের গাড়ির পথরোধ করে দাঁড়ায়। ওই দলের নেতৃত্বে ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক দেওয়ানের নাতি। তাঁরা গালিগালাজ করে গাড়ি ভাঙচুর করেন।
জসিম উদ্দিন বলেন, এ সময় তাঁর স্ত্রী গাড়ি থেকে নেমে ওই দলটিকে প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তারা সরেনি। তখন তিনি বাধ্য হয়ে গাড়িতে থাকা স্কিপিং রোপ (দড়ি) দিয়ে দুজনকে আঘাত করেন। তখন দলটি পাশের কাঠের দোকান থেকে লম্বা লম্বা কাঠের চ্যালা এনে তাঁদের ওপর তেড়ে আসে। উপায় না দেখে পকেট থেকে পিস্তল বের করলে দলটি দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে।
জসিম উদ্দিন অভিযোগ করেন, হামলাকারীরা পুনরায় দল ভারী করে এসে পুলিশের উপস্থিতিতে তাঁদের গালিগালাজ করতে থাকে। তখন পুলিশ সদস্যরা সন্ত্রাসী দলটিকে প্রতিহত না করে তাঁদের ও গাড়িটিকে থানার ভেতরে নিয়ে যায়। দলটি থানার ভেতরে প্রবেশ করে পুনরায় পুলিশের সামনে গাড়ি ভাঙচুর করে। এ সময় চালকের কাছে থাকা জসিমের মুঠোফোন কেড়ে নিতে ধস্তাধস্তি করে। পরে তিনি একটি অভিযোগ লিখে থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তার কাছে জমা দেন। অবস্থা বেগতিক দেখে পুলিশ জসিম ও তাঁর স্ত্রীকে লালমোহন উপজেলার কালমা পর্যন্ত পৌঁছে দেয়।
লালমোহনের সীমানায় সালিসে ছিলেন। তারপরও জসিম উদ্দিন যে অভিযোগ দিচ্ছেন, তা সত্য নয়। ওই সময় তজুমদ্দিন ছাত্রলীগ একটি সভা শেষে আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে রাস্তায় বের হয়েছে। এমন সময় মেজর জসিম গাড়ি থামিয়ে একটি চাবুক হাতে নেমে ছাত্রলীগের কর্মীদের পেটানো শুরু করেন। তখনই কর্মীরা খেপে যান। কারণ, কর্মীরা মেজর জসিমকে চেনেন না, আর মেজর জসিম কাউকে না জানিয়ে তজুমদ্দিনে এসেছেন। তাই তাঁরা নিরাপত্তা দিতে পারেননি।

বাংলাদেশ সময়: ১:২৮:০২   ৩০৬ বার পঠিত