ভোলার লঞ্চঘাট গুলো কর্মস্থলেমুখী যাত্রীদের ঢল, লঞ্চে ধারন ক্ষমতার অধিক যাত্রী

প্রচ্ছদ » জেলা » ভোলার লঞ্চঘাট গুলো কর্মস্থলেমুখী যাত্রীদের ঢল, লঞ্চে ধারন ক্ষমতার অধিক যাত্রী
শুক্রবার, ৬ মে ২০২২



ইমতিয়াজুর রহমানঃ

ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরতে ভোলার লঞ্চঘাট গুলোতে উপচে পড়া ভিড় বেড়েছে। ঈদের আমেজ না কাটলেও জীবিকার তাগিদে কর্মস্থলে ফিরছেন ভোলাসহ দক্ষিনাঞ্চলের  মানুষ। কেউ লঞ্চে, কেউ ফেরীতে কেউ বা সি ট্রাকে কর্মস্থলের দিকে ছুটছেন। এদের বেশীরভাগ মানুষের গন্তব্য ঢাকা- চট্রগ্রাম ও লক্ষীপুর। শুক্রবার (০৬ মে) সাকল থেকে ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাট গুলো ছিলো যাত্রীদের ঢল। ভোলাসহ  দক্ষিনাঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের সহজ মাধ্যম নৌ পথ থাকায় লঞ্চই তাদের একমাত্র ভরসা। ইলিশা ঘাটে কর্মমুখী মানুষের অধিকাংশ বিভিন্ন কারখানার শ্রমিক-কর্মবর্তা। পরিবারের সাথে ঈদ করতে নাড়ির টানে গ্রামে ফিরে এলেও এখন  জীবিকার টানে ছুটছেন মানুষ। ইলিশা ফেরি, সি-ট্রাক ও ২ টি লঞ্চ টার্মনালে যাত্রীদের উপড়ে পড়া ভীড়। ভোগান্তি উপেক্ষা করে জীবিকার টানে ফিরছেন মানুষ। তবে সবচেয়ে নারী ও শিশুরা বেশী বিরম্বনার মধ্যে পড়ছেন।

---

জেলার ৮ টি রুটে ৩৫ টি লঞ্চ চলাচল করায় টার্মিনালে ভীড় বাড়ছেই। ভোগান্তি নিয়েই কর্মস্থলে ফিরছেন মানুষ। ভোলার ইলিশা, দৌলতখান, চরফ্যাশন, বোরহানউদ্দিন ও লালমোহন উপজেলার মঙ্গলসিকদার ঘাটসসহ সহ বিভিন্ন ঘাটে যাত্রী বোঝাই করে ঢাকার উদ্দেশ্য ছাড়ছে দেখা গেছে লঞ্চগুলো। তবে সবচেয়ে বেশী চাপ ভোলার ব্যস্ততম লঞ্চঘাট ইলিশা লঞ্চ ঘাট। এখান থেকে ১০ থেকে ১২ টি লঞ্চ ঢাকা ও লক্ষীপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে  যায়। এছাড়াও গ্রীন লাইন, সি ট্রাক ও ৪ টি ফেরী যাতায়াত করে।
কথা হয় হাসেম আলীর সাথে তিনি বলেন, প‌রিবার নিয়ে ঈদ করতে নিজ বা‌ড়ি বাংলাবাজার এসেছিলাম। ঈদ পালন করে তাড়াতাড়ি ঢাকা ফিরতে চাই। কেননা দিন যত বাড়বে, যানবাহনের চাপ তত বাড়বে। তাই ঈদের ছুটি একদিন থাকলেও নি‌রি‌বিলি ঢাকায় যাওয়ার জন‌্য লঞ্চে উঠেছি প‌রিবার-প‌রিজন নিয়ে। কিন্তু লঞ্চের পা ফেলারও উপায় নেই।
মোঃ রুবেল বলেন, ঘাটে যাত্রীদের অস্বাভাবিক চাপ। লঞ্চগুলোতে ভীড় হলেও কিছুই করার নেই। কর্মস্থলে ফিরতে হবে। তাই ভোগান্তি নিয়েই ফিরছি। সুমাইয়া খামন বলেন, ঢাকা থেকে ঈদ করতে বাড়ি আসছি। এখন ঢাকা যাওয়ার পালা কিন্তু লঞ্চে কেবিন তো নাই।  বসে যে যাবো তার কোন ব্যবস্থা নেই। মো. মাহফুজ বলেন, লঞ্চে এতো যাত্রী যে দাঁড়ানো কোন ব্যবস্থা। এখন দাড়াইয়া যেতে হবে। লঞ্চে এই বাজে অবস্থার মধ্যে লঞ্চে অধিক ভাড়া  নিচ্ছে।
ইলিশা ঘাট থেকে বেশীরভাগ লঞ্চগুলো ধারন ক্ষমতার অধিক যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে ঘাটে বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে পুলিশ ও নৌ পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। তবে কোথায় কোন অপ্রিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে ভোলা নদী বন্দরের সহকারি পরিচালক মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, নৌ যানগুলো যাতে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করতে না পারে সে জন্য বিআইডব্লিউটিএ মনিটরিং করছে। তবে যাত্রীদের চাপ কিছুটা কম।

বাংলাদেশ সময়: ১৭:৪৭:২৩   ৩৭৯ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

জেলা’র আরও খবর


ভোলায় তীব্র তাপদাহে অস্থির জনজীবন
ছয় শতাধিক শিক্ষার্থীর পাঠদানে অনিশ্চয়তা
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: ভোলায় তিন উপজেলার ৩৮ প্রার্থীর সকলের মনোনয়নপত্র বৈধ
ভোলায় কৈশোর বান্ধব স্বাস্থ্য সেবা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
ঘুষ ছাড়া কাজ হয়না ভোলার বিএমইটি অফিসে॥ প্রতিদিন ঘুষের আয় প্রায় অর্ধলক্ষ টাকা!!
আপনাদের আমানত ভাল পাত্রে জমা রাখবেন: চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউনুছ মিয়া
ভোলায় ফিল্মি স্টাইলা অপহরণ ॥ কতিপর উদ্ধার
দৌলতখানে উপজেলা নির্বাচনে ১২ প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র দাখিল
ভোলার ৩ উপজেলায় ৩৮ প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র দাখিল
ভোলায় পিপি লাভু’র জানাজায় তোফায়েল আহমেদ: ভালো মানুষ কর্মে বেঁচে থাকেন



আর্কাইভ