ভোলায় প্রান্তিক ১০জেলেদের মাঝে গরু বিতরন

প্রচ্ছদ » অর্থনীতি » ভোলায় প্রান্তিক ১০জেলেদের মাঝে গরু বিতরন
বুধবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২



স্টাফ রিপোর্টার ॥
নিষেধাজ্ঞা কালিন সময়ে বেকার জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানে উদ্বুদ্ধ করতে ভোলায় প্রান্তিক জেলেদের মাঝে গাভী বিতরন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ভোলা সদর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে ভোলা সদর উপজেলার চেয়ারম্যান মো: মোশারেফ হোসেন প্রাধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে এই গাভী বিতরন করেন। এসময় ১০ প্রান্তিক জেলেকে গাভী দেওয়া হয়। ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় গরু পালনের মাধ্যমে বিকল্প কর্মসংস্থান এ উদ্যোগ নেয়া হয়। পর্যায় ক্রমে জেলার সাড়ে তিন হাজার জেলেকে গাভীকে প্রাদান করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, ভোলা সদর উপজেলার নবাগত নির্বাহী অফিসার মো: তৌহিদুল ইসলাম, জেলা মৎস কর্মকর্তা এস এম আজহারুল ইসলাম, ভোলা সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো: জামাল হোসাইন প্রমুখ।

---

কাচিয়া ইউনিয়নের জেলে কাঞ্চন বেপারী বলেন, নদীতে ইলিশ মাছ না থাকলে আমাদের পরিবার নিয়ে চলতে ফিরতে অনেক কষ্ট হয়। এখন সরকারের আমাদের বিকল্প আয় বর্ধনমূলক উপকরন হিসাবে গরু দেওয়ায় অনেক উপকার হইছে। এখন আমরা গরু পালন করে কিছুটা উপকার হবে।
দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের জেলে আব্দুর রব রাঢ়ী, যখন নদীতে অবরোধ থাকে তখন আমরা বেকার দিন কাটাই। কাজকাম নাথাকায় অনেটা বাধ্য হয়ে নদীতে অবৈধভাবে অবৈধ জাল ব্যবহার করে মাছ ধরতে যাই। এখন গরু দেওয়ায় অনেক ভালো হইছে। আমাদের আর বেকার থাহন লাগবোনা। গরু পালন করে  বড় করে বিক্রি করে সে টাকা দিয়ে কর্মসংস্থান করতে পারুম।
জেলা মৎস কর্মকর্তা এসএম আজহারুল ইসলাম, জেলেদের মাছধরার নিষিদ্ধ কালীন সময়ে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের অংশ হিসাবে আমরা জেলেদের মাঝে এই গরু বিতরন করে সহায়তা করছি। এর মাধ্যমে জেলেদের যেন বাড়তি আয় হয়। আয় বর্ধন এর একটি উৎস হয়। যেসময় মাছ ধরা বন্ধ থাকবে তখন যেন এই গরু তাদের আয়ের পদ সুগম করে।
উল্লেখ্য, এই প্রকল্পের মাধ্যমে মা ইলিশ ও জাটকা সংরক্ষণে মৎস্য সংরক্ষণ আইন বাস্তবায়ন এবং ইলিশ জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি করা।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জানান, এ প্রকল্পের মাধ্যমে জেলায় মোট ৩ হাজার ৫০০জেলেকে বিকল্প কর্মসংস্থানের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করা হচ্ছে। জেলেদের জন্য গরুর বাচ্চা ছাড়াও হাঁস, মুরগি, সেলাই মেশিনসহ চাহিদা অনুযায়ী উপকরণ ও বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। এছাড়া জেলায় ৬টি জেলেদের গ্রাম নির্ধারিত করে ২ হাজার  জেলেকে জনপ্রতি ৬০ হাজার টাকা মূল্যের বৈধ মাছ ধরার জাল প্রদান করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০:০৪:৩৯   ৩৭৮ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

অর্থনীতি’র আরও খবর


ভোলায় ওমানিয়ান টুপি সেলাই প্রশিক্ষনের সার্টিফিকেট বিতরন
ভোলায় প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী ও উদ্যোক্তাদের মেলা অনুষ্ঠিত
ভোলায় অনুষ্ঠিত হলো প্রাণী প্রদর্শনী মেলা
চরফ্যাশনে দিনব্যাপী প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী
বোরহানউদ্দিনে ফুটপাতে ঈদের জমজমাট কেনাকাটা
পথে পথে চাঁদাবাজি, ভোলার তরমুজচাষি ও ব্যবসায়ীরা বিপাকে
ভোলায় ব্যবসায়িক অগ্রগতি পর্যালোচনা সম্মেলনে রূপালী ব্যাংক পিএলসিকে সর্ব শীর্ষে নিয়ে যাবার অঙ্গীকার
ভেজাল মসলা তৈরি: ভোলায় ২ কারখানাকে জরিমানা
ভোলায় বেড়েছে আলু ও কাঁচা মরিচের দাম
ভোলায় নারী উদ্যোক্তাদের তিনদিনের ঈদমেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ঢল



আর্কাইভ