বুধবার, ২০ মার্চ ২০২৪

রাজাপুরে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের তোপের মুখে কৃষি কর্মকর্তা

প্রচ্ছদ » অপরাধ » রাজাপুরে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের তোপের মুখে কৃষি কর্মকর্তা
বৃহস্পতিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২১



স্টাফ রিপোর্টার ॥
ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের তোপের মুখে ছত্রাকনাশক ‘ভালকানে’র বাজারজাত কো¤পানী ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্থ তিন কৃষককে বীজ ও সার কেনার জন্য নগদ এক লাখ ৩০ হাজার টাকা ও প্রয়োজনমতো ছত্রাকনাশক প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দুদিনের মধ্যে ওই টাকা পরিশোধ করা হবে বলে জানান। সোমবার সকালে ‘কেনো ছত্রাকনাশক প্রয়োগে সবজি চারা মারা পড়লো’ মাঠ পর্যায়ে এটা পরীক্ষা-নীরিক্ষা করার জন্যে কোম্পানী ও সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ভোলার সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের সবজি খেতে গেলে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের তোপের মুখে পড়েন।
১৪ নভেম্বর শেকড়পঁচা রোগ প্রতিরোধে ছত্রাকনাশক ছেটানোর পরে উপজেলার দক্ষিণ রাজাপুরের সবজি কৃষক জাকির হোসেন সরদার (১৬০শতাংশ), মো. লোকমান মাতব্বর (৮ শতাংশ) ও জাহাঙ্গীর হোসেন সরদারের(১২০শতাংশ) জমির সবজির চারাগাছ মরে যায়। এতে তাদের ৪লাখ টাকার ক্ষতি হয়। ২১নভেম্বর প্রথম আলোর ৬ষ্ঠপৃষ্ঠায় সরেজমিন ‘ছত্রাকনাশক প্রয়োগের পর মারা গেল তিন একরের সবজির চারা’ শিরোনামে খবর প্রকাশ হলে ছত্রাকনাশক উৎপাদন কো¤পানীর বরিশাল বিভাগীয় বিক্রয় ব্যবস্থাপক মো সোলাইমান হাওলাদারের নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ দল দক্ষিণ রাজাপুরের সবজি খেতে যায়। এ সময় ভোলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মঞ্জুরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। ইতিপূর্বে ২১নম্ভেবর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পরীক্ষাগারে ছত্রাকনাশকের নমুনা পাঠিয়েছেন।
সোমবার সকাল ১০টায় সরেজমিনে খেতে গিয়ে দেখা যায়, ছত্রাকনাশক ‘ভালকান’ বাজারজাত কোম্পানী মানিকগঞ্জের এ্যাথারটন ইমব্রুস কোং লিমিটেডের বিশেষজ্ঞদল রাজাপুরের কয়েকটি খেতে ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল, ‘চারা মারা যাওয়ার কারণ খুঁজে বের করা ও কৃষকের ব্যবহার করা  ছত্রাকনাশক নকল কিনা’। পরীক্ষা-নীরিক্ষার জন্য জোড়খাল পার হয়ে চরের সবজিখেতে গেলে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা একত্র হয়ে কোম্পানী ও সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাকে ঘিরে ফেলেন। বিক্ষোভপ্রদর্শন করে ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।
দক্ষিণ রাজাপুরের ক্ষতিগ্রস্থ সবজি কৃষক জাকির হোসেন সরদার বলেন, ‘আমি সুদের উপর ঋণ নিয়ে এই গিরস্তি করছি, আশা আছিল তরকারি বেইচ্চা ঋণ শোধামু, আমরতো সব ম্যাষ, এহোন বিষ দ্যান, খাইয়া মরি যাই, নাইলে সমাধান দ্যান। দুইডার এট্টা না দিয়া যাইতেন পারবেন না’।
বিক্ষুব্ধ কৃষকদের শান্ত করতে সোলাইমান হাওলাদার কেন্দ্রের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে, ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেন।

বাংলাদেশ সময়: ০:০৩:০২   ৩২১ বার পঠিত