বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

ইলিশ ধরা বন্ধ ॥ জাল বুনে সময় পার করছেন ভোলার জেলেরা

প্রচ্ছদ » অর্থনীতি » ইলিশ ধরা বন্ধ ॥ জাল বুনে সময় পার করছেন ভোলার জেলেরা
রবিবার, ১০ অক্টোবর ২০২১



ছোটন সাহা ॥
ইলিশ ধরা বন্ধ তাই বেকার হয়েছে পড়েছেন ভোলার দুই লাখের অধিক জেলে। নদীর তীরে জাল বুনে সময় পার করছেন জেলেরা। নিষেধাজ্ঞার ৬ দিনেও চাল পায়নি অধিকাংশ জেলে। জেলেদের অভিযোগ, নিবন্ধিত জেলেদের চাল দেয়ার কথা থাকরেও এখনো চাল পানিন তারা। তবে মৎস্য বিভাগ বলছে, জেলার লালমোহন ও দৌলতখান উপজেলায় চাল বিতরণ কাজ শুরু হয়েছে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বাকি ৫ উপজেলায় চাল বিতরন কাজ শেষ হবে। ভোলা সদরের ভোলার খাল, শিবপুর ও নাঝির মাঝি ও তুলাতলী ঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, নদীর তীরে জাল বুনছেন জেলেরা। কেউবা ট্রলার মেরামত করছেন।

---

শিবপুরের জেলে তছির মাঝি বলেন, মাছ ধরার বন্ধ তাই বেকার হয়ে গেছে। সরসার চলছে না, এনজিও থেকে ১০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছে, তা দিয়ে সংসার চালানোর চেষ্টা করছি। ভেদুরিয়া গ্রামের জেলে নাছির বলেন, আমার জেলে কার্ড রয়েছে, গত বছর সরকারি চাল পাইনি, এ বছর পাবো কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছি। আপাতত ধার-দেনা করে সংসার চালাচ্ছি। একই অবস্থা বিল্লাল ও কালিমুলল্লা মাঝির। তারা জানালেন, জাল বুনে সময় পার করছি, মাঝ ধরার বন্ধ ৫ দিন পেরিয়ে গেছে এখনো চাল পাইনি। কবে পাবো তাও জানিনা। সংসারে অভাবে দেখা দিয়েছে।
এদিকে মাছ ধরার বন্ধ থাকায় বেকার হয়ে পড়েছেন প্রায় দুই লাখ জেলে। অভাব-অনাটন আর অনিশ্চয়তার মধ্যদিয়ে দিন কাটছে জেলেদের। মাছ ধরার বন্ধ থাকায় বন্ধ হয়ে গেছে মৎস্যঘাট। ঘাটের সেই চিরচেনা দৃশ্য পাল্টে গেছে।
নদীর তীরে সারি সারি নৌকাট্রলার নোঙ্গর দেয়া। জেলে পল্লীর নিরব-নিস্তব্ধ হয়ে গেছে। যেসব ঘাটগুলো জেলে পাইকার আড়দারদের হাকডাকে মুখরিত থাকতো সেসব হাক আড়ৎ এখন বন্ধ। এতে জীবিকা সংকটে পড়েছেন মৎস্যজীবরা।
ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম আজহারুল ইসলাম জানান, জেলায় এক লাখ ৩৬ হাজার জেলের নিবন্ধন করার হয়েছে। এরমধ্যে এক লাখ ৩২ হাজার জেলে গড়ে ২০ কেজি করে চাল পাবেন। যারা আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল তাদের বাছাই করে চাল দেয়া হবে। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে শনিবার (৯ অক্টোবর) জেলার লালমোহন ও দৌলতখান উপজেলায় জেলেদের মাঝে চাল বিতরন করা হয়েছে। বাকি ৫ উপজেলায় আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে চাল বিতরণ করা শেষ হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২২:৫৮:২৭   ৩৬১ বার পঠিত