ভোলায় চাচার ষড়যন্ত্রের শিকার ভাতিজা

প্রচ্ছদ » অপরাধ » ভোলায় চাচার ষড়যন্ত্রের শিকার ভাতিজা
সোমবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১



স্টাফ রিপোর্টার ॥
ভোলার লালমোহনে উপজেলার গজারিয়া পশ্চিম চর উমেদ ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত ইয়াসিন মোল্লার সন্তান হোসেন মিজান মোল্লা। যিনি একজন সফল ব্যাবসায়ী ও উদ্যোক্তা। বর্তমানে তিনি রাজধানী ঢাকায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানসহ নানা ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে পরিবারসহ ঢাকায় বসবাস করেন। তার নিজ জন্মস্থান ভোলার লালমোহনে জরুরি প্রয়োজনে কিংবা ঈদ উৎসবে বাড়িতে আসেন। এলাকায় মিজান মোল্লার সুনাম বিনষ্ট করতেই দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে একের পর এক মিথ্যা মামলা ও নানান ধরনের ষড়যন্ত্র।
জানা যায়, তারই আপন চাচা নাদে বকসের ছেলে কাদের মোল্লা যিনি ঢাকায় বসবাস করেন। একসময় তার ভাতিজা হোসেন মিজান মোল্লার ব্যবসায়ীক পাটনার ছিলেন। তবে তার চাচার ব্যবসায়ীক অসচ্ছলতা অর্থাৎ কাদের মোল্লার অসৎ চিন্তাভাবনা এবং দুষ্ট মানষিকতার কারনে দুজনের ব্যাবসায়ীক সম্পর্কে বিচ্ছেদ ঘটে যাহা পরবর্তীতে শত্রুতায় পরিনত হয়।
এছাড়া উভয়ের মধ্যে স্থানীয় জায়গা-জমির পূর্বশত্রুতার জেরধরে কাদের মোল্লা ভাতিজাকে সামাজিকভাবে সন্মান বিনষ্ট করতে বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। তাই তিনি হোসেন মিজান মোল্লাকে লালমোহন গজারিয়া পশ্চিম চর উমেদের কথিত কতেক মামলাবাজ ও ভূমিদস্যু কাদের মোল্লার অন্যতম ঘনিষ্ঠ সহযোগী সহচর, গিয়াস উদ্দিন মোল্লা, মোঃ আহাদ মাস্টার, মোঃ কালু মোল্লা, সাত্তার মোল্লা, ছিদ্দিক মোল্লা, মিজান মোল্লা, লোকমান মোল্লা এবং জালাল সরদারকে দিয়ে একের পর এক মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে মিজান মোল্লার সম্মানহানী করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয় বলে জানায় এলাকাবাসী।

---

মিজান মোল্লা জানান, ২০২০ইং সালে কাদের মোল্লার অন্যতম সহযোগী গিয়াসউদ্দিন মোল্লার স্ত্রী ফারজানা আক্তার চুমকি কতৃক কাদের মোল্লার প্ররোচনায় আমার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং (৬১৪/২০২০)। তবে উক্ত মামলাটি তথ্যপ্রমাণে কোন ভিত্তি না থাকায় আমাকে মামালা থেকে অব্যাহতি দেয় মহামান্য আদালত। পরবর্তীতে উক্ত মিথ্যা মামলায় ব্যার্থ হয়ে ২০২০ইং সালে গিয়াসউদ্দিন ােল্লা বাদী হয়ে ফের আদালতে আরেকটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে যার মামলা নং-সি-আর (১১২/২০)। অতঃপর এই মামলাটিও মিথ্যা বলে গন্য হওয়ায় মহামান্য বিচারক আদালতে উক্ত মামলাটি খারিজ করে দেন।
পরে ২০২১ সালে চর উমেদ এলাকার ৯নং ওয়ার্ড বাসিন্দা মহিবুল্লাহ মোল্লাকে প্ররোচিত করে (সি-আর ৪/২১) আরো একটি মিথ্যা মামলা করান কাদের মোল্লাসহ গিয়াসউদ্দিন মোল্লারা। অত্র মামলার বিষয়ে বাদী মহিবুল্লাহ মোল্লা তার এক জবানবন্দিতে বলেন, মূলত হোসেন মিজান মোল্লার সন্মানহানী করতে গিয়াসউদ্দিন গংরা তাকে প্ররোচিত করে এই মিথ্যা মামলা দেওয়ায় বলে জানান। পরবর্তীতে তার নিজ বিবেকের তারনায় একজন নিরপরাধ ব্যক্তিকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিতে তিনি উক্ত দায়েরকৃত মামলাটি তুলে নেন বলে জানান তিনি। মহিবুল্লাহ এই মামলাবাজ গিয়াসউদ্দিন মোল্লা ও কাদের মোল্লার বিচার দাবি করেন। এদিকে অপর একটি ঘটনায় জানা যায়, বছর খানেক আগে গজারিয়া চর উমেদ ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা দিনমজুর শ্রমিক কালু মোল্লা মহিউদ্দিনের মিলে কাজ করতে গিয়ে লেদ-মেশিন চলা অবস্থায় হাত মেশিনে চাপ পরে গুরতর আহত হয়। এবং পরবর্তীতে ঢাকার উন্নত চিকিৎসার পর সুস্থ হন। তবে উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্রকরে কাদের মোল্লা ও গিয়াসউদ্দিন চক্রান্ত করে হোসেন মিজান মোল্লাকে ফাঁসাতে দিনমজুর কালুকে প্ররোচিত করে মিথ্যা মামলা দায়ের করায়। যাহা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ বলে জানান স্থানীয়রা। উক্ত মিথ্যা মামলাটি প্রমানিত হওয়ায় ভোলা লালমোহন জোনের সার্কেল এর নির্দেশনায় পুলিশের তদন্ত সাপেক্ষে উক্ত ঘটনাটি মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় আদালতে একটি তদন্ত রিপোর্ট পেশ করেন।
এ বিষয়ে সেই দিনকার ঘটনা সম্পর্কে স্থানীয় শ্রমিক নিরবসহ অন্যন্যরা জানান, মূলত হোসেন মিজান মোল্লাকে বিতর্কিত করতে এবং তার সন্মান বিনষ্ট করতেই শ্রমিক কালুকে দিয়ে এই মিথ্যা মামলা করায় কাদের মোল্লা ও গিয়াসউদ্দিন মোল্লারা।
উক্ত মিথ্যার মামলার বিষয়ে দিনমজুর কালুকে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, মেশিনে কাজ করা অবস্থায় তিনি আহত হওয়ার ঘটনা স্বীকার করেন। তবে পরবর্তীতে গিয়াসউদ্দিন মোল্ল¬া এবং কাদের মোল্লার মিথ্যা প্ররোচনায় হোসেন মিজান মোল্লার বিরুদ্ধে তিনিও মামলাটি দায়ের করেন বলেও জানান।
এব্যাপারে অভিযুক্ত গিয়াসউদ্দিন মোল্লাকে এসকল মিথ্যা মামলার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে সাংবাদিকদের কোন সুনির্দিষ্ট সঠিক উত্তর দিতে ব্যার্থ হন। তবে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগগুলো তিনি অস্বীকার করেন।
সর্বশেষ মিথ্যা মামলার বাদীর পক্ষে লালমোহন পুলিশের পক্ষহতে দেওয়া তদন্ত রিপোর্টে ঘটনাটি মিথ্যা প্রমানিত হলেও মামলাবাজ গিয়াসউদ্দিন গং আদালতে পুলিশের রিপোর্টের ফের নারাজি দিলে, আদালত উক্ত মামলাটি ভোলার গোয়েন্দা শাখ (ডিবি) পুলিশ এর পুনরায় তদন্তের জন্যে পাঠানো হয় বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে ভোলা জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবি পুলিশের (ওসি) মাহবুবুর রহমান জানান, উক্ত মামলার বিষয়টি অতি দ্রুতই সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে রিপোর্ট আদালত পেশ করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩:১০:২৫   ৬৮৩ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

অপরাধ’র আরও খবর


ভোলায় পোস্ট অফিসে আইসক্রিমের ব্যবসা
লালমোহনে আবাসনের ঘর জবর দখলের অভিযোগ
ভোলায় যাত্রীবাহী লঞ্চ থেকে ৮৫ মণ মাছ জব্দ
ঘুষ ছাড়া কাজ হয়না ভোলার বিএমইটি অফিসে॥ প্রতিদিন ঘুষের আয় প্রায় অর্ধলক্ষ টাকা!!
ভোলায় ফিল্মি স্টাইলা অপহরণ ॥ কতিপর উদ্ধার
ফুঁক দিয়েই সব সমস্যার সমাধান করেন ফরিদ!
প্রেমিকের সঙ্গে ‘বিয়ে’ রফাদফায় এসে কিশোর গ্যাংয়ের হাতে ধরা তরুণী, অতঃপর…
ভোলায় যৌতুকের মামলা দেওয়ায় স্ত্রীকে তালাক দিলো স্বামী ॥ শিশু সন্তান নিয়ে দুশ্চিতায় হাফছা
ভোলায় যুবকের রহস্যজনক ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
টাকা নিয়ে প্রতারণা, সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার



আর্কাইভ