বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

দৌলতখানে বিদ্যালয়ের জমিতে বাড়ি নির্মাণ

প্রচ্ছদ » অপরাধ » দৌলতখানে বিদ্যালয়ের জমিতে বাড়ি নির্মাণ
শুক্রবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১



বিশেষ প্রতিনিধি ॥
দৌলতখানে ৪নং দক্ষিণ চরশুভী জাতীয়কৃত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওই বিদ্যালয়ের জমি দখল করে বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রধান শিক্ষক আবু তাহের বিদ্যালয়ের ৪৩ শতক জমি নিজ দখলে রেখে ২৪ শতক জমির ওপর বাড়ি নির্মাণ করে পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করছেন। এছাড়াও বিদ্যলয়ের জমি নিজ দখলে রেখে পাশেই একটি মসজিদ এবং সাবেক শিক্ষক মাহে আলমের জমিতে বিদ্যালয়ের তিনতলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। ভবনটি সৌদি আরবের জনৈক দাতার অর্থায়নে ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়। ওই বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক মাহে আলম প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও জেলা প্রশাসক বরাবরে বিদ্যালযের জমি দখলমুক্ত করার দাবিতে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ পত্র ও অভিযোগকারী সূত্রে জানা যায়, ২ অক্টোবর ১৯৭২ তারিখে ১২৯৫নং দলিলে ৭৫ শতাংশ জমি রাধাবল্লভ সাবরেজিস্ট্রি অফিসে ওই এলাকার নুরুল হক মুন্সি বিদ্যালয়ের নামে সাফ দলিল দেন। পরে প্রধান শিক্ষক ওই জমির ৩২ শতক বিদ্যালয়ের নামে নামজারি করিয়ে বাকি ৪৩ শতক জমি নিজ দখলে রাখেন। বিদ্যালয়ের দলিল পত্রে দেখা যায়, দাতা নুরুল হক মুন্সি বিদ্যালয়ের নামে চর ছোট লামছি ধলী মৌজার জেএল নং ২৬, দাগ নং ২০৮৬, খতিয়ান নং-৩৯৬ থেকে ৫১ শতক এবং চরশুভী মৌজার জেএল নং-২৭, দাগ নং-১৯২৬, খতিয়ান নং-২৭৯ থেকে ২৪ শতক জমি সাফ দলিল দেন। অথচ প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের ভবনটি অভিযোগকারী মাহে আলমের জমিতে নির্মাণ করান।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক আবু তাহের বলেন, বিদ্যালয়ের জায়গা ভবন নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের পছন্দ না হওয়ায় মসজিদ পরিচালনা কমিটির সম্মতিতেই মসজিদের পরিত্যক্ত জমিতে ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। আমার দখলে বিদ্যালয়ের কোনো জমি নেই। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের জমি দখলের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে ওই ক্লাস্টারের সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে জানার জন্য সোমবার প্রধান শিক্ষককে বিদ্যালয়ে থাকার জন্য ফোনে বলা হয়েছিল। সোমবার পূর্বাহ্নে বিদ্যালয়ে গিয়ে বিদ্যালয়টি অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় তালাবদ্ধ পাওয়া যায়।

বাংলাদেশ সময়: ২২:৫২:৪৪   ৩৩০ বার পঠিত