বুধবার, ২০ মার্চ ২০২৪

ভোলায় ১০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট নির্মাণ কাজ সম্পন্ন

প্রচ্ছদ » জেলা » ভোলায় ১০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট নির্মাণ কাজ সম্পন্ন
মঙ্গলবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১



বিশেষ প্রতিনিধি ॥
জেলার সদর উপজেলার ব্যাংকের হাট এলাকায় ১০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘ভোলা টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট’ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এরমধ্যে ৬৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকায় অবকাঠামো নির্মাণের কাজ চলতি বছরের জুন মাসে শেষ হয়েছে। বাকি ৩৭ কোটি ১৫ লাখ টাকা টেকনিক্যাল বিষয়সহ অন্যখাতে বরাদ্দ ধরা হয়েছে। ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ব্যাংকের হাট এলাকায় ৫ একর জমির উপর এর কাঠামো নির্মাণ কাজ শুরু করা হয় ২০১৬ সালের জুলাই মাসে। কারিগরী শিক্ষার প্রসারে বন্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রকল্পটি’র ভবন সংশ্লিষ্ট কাজ বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় গণপূর্ত বিভাগ।

---

বর্তমানে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ’র কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে এখানে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা গ্রহণের সুজোগ পাবে।
এটি চালু হলে দ্বীপ জেলায় কারিগরী শিক্ষারমান বৃদ্ধিসহ সার্বিক শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন সাধিত হবে। একইসাথে পরবর্তি কর্মসংস্থানের অনেক সুযোগ সৃষ্টি করবে। এখানে বৃহৎ আকারের ৮টি ভবন নির্মাণ ছাড়াও ছোট আরো বেশ কিছু স্থাপনা নির্মিত হয়েছে।
গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সরোয়ার হোসেন জানান, এখানে মূলতঃ টেক্সটাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের উপরে লেখাপড়া করার সুযোগ পাবে শিক্ষার্থীরা। নির্মিত ৮টি ভবনের মধ্যে রয়েছে ৪তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন। ৬ তলা করে দু’টি ছেলেদের ও মেয়েদের হোস্টেল। ৬ তলা বিশিষ্ট ডরমেটরি উইথ রেস্ট হাউজ। অফিসার্স কোয়ার্টার ৬ তলা। ৪ তলা স্টাফ কোয়ার্টার। কর্টন ¯িপনিং শেড ৪ তলা বিশিষ্ট এবং উইমিং এন্ড ডাইয়িং শেড হয়েছে।
তিনি আরো জানান, ছোট স্থাপনার মধ্যে ২ তলা বিশিষ্ট প্রিন্সিপাল কোয়ার্টার, ২ তলা ওয়র্কশপ কাম লাইব্রেরি, ২ তলা বিশিষ্ট মিটিং শেড, জুট শেড ও একটি শহীদ মিনার, অভ্যন্তরীণ সড়ক, কম্পাউন্ড সংলগ্ন ট্রেন নির্মাণ। কাজের শতভাগ গুণগতমান বজায় রেখেই এসব নির্মিত হয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মো. সাইদুর রহমান বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের অবকাঠামো নির্মাণসহ সকল মেশিনারিজ স্থাপন স¤পন্ন হয়েছে। বর্তমানে বৈদ্যুতিক লাইন স্থাপনের কাজ চলছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ৩৬টি পোস্টের অনুকূলে জনবল নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। অনেকেই যোগদান করেছেন। চলতি বছরের মধ্যেই প্রতিষ্ঠানটি পাঠদানের উপযোগী করা যাবে। এখানে শিক্ষার্থীদের জন্য মোট ১২০ টি আসন রয়েছে। এটি চালু হলে অবহেলিত এই অঞ্চলে শিক্ষা ব্যবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।
এ ব্যাপারে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর রুহুল আমীন জাহাঙ্গির মনে করেন, বর্তমানে দেশের বস্ত্রখাত একটি সম্ভাবনময় খাত। এই খাতে প্রচুর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন দক্ষ ও যোগ্য জনশক্তি। তাই এই ইনস্টিটিউটটি চালু হলে মাইলফলক হয়ে থাকবে। এই অঞ্চলের ছেলে-মেয়েরা কারিগরী শিক্ষায় তাদের মেধার অবদান রাখতে পারবে।

বাংলাদেশ সময়: ০:১৫:৪৬   ৬৫৪ বার পঠিত