ভোলা সদর হাসপাতালে করোনার টিকাদান ও টেস্ট বিষয়ে কিছু প্রস্তাবনা

প্রচ্ছদ » সম্পাদকীয় » ভোলা সদর হাসপাতালে করোনার টিকাদান ও টেস্ট বিষয়ে কিছু প্রস্তাবনা
শনিবার, ৭ আগস্ট ২০২১



ভোলা সদর হাসপাতালের করোনার টিকাদান ও করোনা টেস্ট নিয়ে ইতোমধ্যেই বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। টিকাদান ও করোনা টেস্ট কেন্দ্রের সামগ্রীক পরিবেশ এতই খারাপ যে সকলেরই ধারণা যার করো না নাই সে যদি ওখানে যায় সাথে করে করোনা নিয়ে ঘরে ফিরবে। ওখানে নির্ধারিত কক্ষে টিকা দেয়া হচ্ছে অন্যদিকে করোনা টেস্ট করা হচ্ছে। কোনটাই সুস্থ এবং স্বাভাবিক ভাবে হচ্ছে না। গাদাগাদি করা দীর্ঘ লাইনে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। আবার কেউ কেউ টাকা পয়সা দিয়ে পরে এসে আগে টিকা দিয়ে যাচ্ছে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। শুরু থেকেই এখানে এ ধরনের সমস্যা বিদ্যমান ছিল। প্রচুর লোকজন টিকা গ্রহণের জন্য আসায় এ প্রবলেম হচ্ছে। করোনা টেস্ট করতে আসা অসুস্থ লোকের ও যথেষ্ট ভিড় রয়েছে। ভির এতই বেশি যে সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকছে না। একজনের গায়ের উপর আরেকজন পড়ার মত অবস্থা। তাছাড়া একটি কাউন্টার থেকে এসব কার্যক্রম পরিচালিত হওয়ায় ভিড় সামাল দেওয়া সম্ভবও হচ্ছে না। এখানে যারা গিয়েছেন তারা আশঙ্কা করেন যে , করোনা না থাকলেও হাসপাতাল থেকে করোনা সাথে নিয়ে বাসায় ফেরার আশঙ্কা রয়েছে। এ ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং ভোলার স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান সিভিল সার্জন মহোদয়ের কাছে  আমাদের কিছু প্রস্তাবনা রয়েছে।
এক। ভোলা হাসপাতালে চারদিকে হাসপাতাল সংলগ্ন মাঠ এবং খোলা জায়গা রয়েছে। করণা টেস্ট করা এবং করোনার টিকা দেয়ার জন্য এই মাঠের খোলা জায়গাকে ব্যবহার করা যেতে পারে।
দুই। এজন্য মাঠের মধ্যে আলাদা দুটো তাবু খাটিয়ে সেখানে একটি তাঁবুতে টিকা প্রদান আরেকটিতে করোনা টেস্টের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
তিন। উভয় তাঁবুতে প্রয়োজন অনুযায়ী চার-পাঁচটি কাউন্টার করা যেতে পারে।
চার। টিকা দানের জন্য নির্ধারিত তাবুতে টিকা রেজিস্ট্রেশনের জন্য আরেকটি কাউন্টার থাকা প্রয়োজন। যে কোন লোক সেখানে আইডি কার্ড দেখিয়ে রেজিস্ট্রেশন করাতে পারবে।
পাঁচ। একাজে রেডক্রিসেন্ট, রোভার স্কাউটসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের কর্মীদেরকে ভলেন্টিয়ার হিসেবে সহযোগিতার জন্য নেয়া যেতে পারে। আমরা মনে করি ভোলার সিভিল সার্জন মহোদয় উদ্যোগ নিলে অতি সহজেই এ সমস্যার সমাধান
করতে পারেন।
বর্তমানে টিকাদান ও গণটিকার নামে যা চলছে তা নিয়েও অনেকের প্রশ্ন রয়েছে। অনেকের ধারণা টিকার মান ও কার্যকারিতার জন্য  টে¤পারেচার ঠিক রেখে হাসপাতাল থেকেই তা পুস করা উচিত।
গ্রামেগঞ্জে ছড়িয়ে দেয়ার নামে যদি টিকার মান ক্ষুন্ন হয় কিংবা এর কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায় তাহলে সে ধরনের কর্মসূচি অবশ্যই পরিত্যাজ্য।
আমরা আশা করবো বৈশ্বিক মহামারী করোনার মতো মহা সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে ভোলার প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, রাজনৈতিক সংগঠন, সাংবাদিকবৃন্দ, সুশীল সমাজ সবাই সিভিল সার্জনের যেকোনো শুভ উদ্যোগকে সমর্থন জানাবে এবং তা বাস্তবায়নে সাধ্যানুযায়ী সহযোগিতা করবে। টিকা প্রদান ও করোনা টেস্ট এর ক্ষেত্রে এখন যা চলছে তা নিয়ে বিভিন্ন মহলের সমালোচনাও বন্ধ হবে। এসব কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য উপরোক্ত পরামর্শগুলো গ্রহণ করা যায় কিনা কর্তৃপক্ষ তা বিবেচনা করবেন বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।

বাংলাদেশ সময়: ২৩:৩৪:২৬   ৪৪৯ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

সম্পাদকীয়’র আরও খবর


ডলার বাজারে অব্যাহত অস্থিরতা
ইন্টারনেট প্যাকেজ নিয়ে প্রতারণা
রাজনৈতিক সংলাপের তাগিদ : সমঝোতার বিকল্প নেই
বাজারে কারসাজি
নৌ দুর্ঘটনা রোধে আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করুন
চিকিৎসক ধর্মঘট: রোগীদের জিম্মি করে কর্মসূচি অনৈতিক
নৌযানে অগ্নিদুর্ঘটনা রোধে পদক্ষেপ নিন
ফিটনেসহীন নৌযান: ভোলা নৌপথে দ্রুত ব্যবস্থা নিন
চরফ্যাশনের ঢালচর বনের ঢাল কারা?
বাজারে ভোক্তাদের নাভিশ্বাস : সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর অস্তিত্ব দৃশ্যমান হচ্ছে না



আর্কাইভ