আজকের ভোলা রিপোর্ট:
পূর্নিমার জোয়ার এবং লঘু চাপের প্রভাবে ভোলায় মেঘনার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে । এতে জোয়ারে তলিয়ে গেছে বাঁধের বাইরের বিস্তীর্ন এলাকা। বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৫টায় মেঘনার পানি বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে জোয়ার- ভাটার উপর নির্ভর করেই তাদের দিন কাটছে।
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল, পূর্নিমার প্রভাব এখন আবার নতুন করে লঘু চাপের প্রভাবে পানি বেড়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তারা। জোয়ারে লোকালয়ে পানি ঢুকলেও ভাটায় পানি নেমে যায় বলে তারা জানায়।
মেঘনার জোয়ারে প্লাবিত এলাকার মধ্যে রয়েছে সদরের নাছির মাঝি, মনপুরার চরনিজাম, কলাতলীর চর, চর যতিন, চর জ্ঞান, চরফ্যাশনের কুকরি-মুকরি, ঢালচর, চর পাতিলা, মাঝের চর, চর শাহজালাল, কচুয়াখালীরচরসহ ২০ চর প্লাবিত হয়েছে বলে স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন ওইসব এলাকার অন্তত ৩০ হাজার বাসিন্দা।
চর পাতিলা থেকে ইউপি সদস্য বেল্লাল হোসেন জানান, জোয়ারের পানিতে ফসলের ক্ষেত, খাল, বিল ও রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। এতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন মানুষ।
কুকরি-মুকরি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আবুল হাসেম মহাজন বলেন, গত শুক্রবার থেকে প্রতিদিন পানিতে কুকরী-মুকরি ও চরপাতিলার বাঁধের বাইরের নিচু এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এতে পানিবন্দি হয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন ৭ হাজার মানুষ।
ধনিয়া এলাকার বাসিন্দা এরশাদ ফরাজি বলেন, জোয়ারের পানিতে সিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে, তবে পানির চাপ কিছুটা কম। ২ শতাধিক ঘরবাড়ি তলিয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন মানুষ। বাঁধের বাইরের এসব মানুষ গত এক সপ্তাহ ধরে কস্টে দিন কাটাচ্ছেন।
ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ হাসানুজ্জামান জানান, পূর্নিমা এবং লঘু চাপের প্রভাবে মেঘনার বিপদ সীমায় প্রবাহিত হওয়ায় নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তবে এখন তেমন ক্ষয়-ক্ষতির সম্ভাবনা নেই।
বাংলাদেশ সময়: ০:০৪:০৫ ৩৩৮ বার পঠিত